তারুণ্যের শিল্প সরোবর : ধানশালিক : সংখ্যা ১৫৭শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০...
বিজয়ের বেদনা
বিজয়ের বেদনাসৈয়দ আসাদুজ্জামান সুহানতখনও পুব আকাশে সূর্য ওঠেনি, সকাল হতে আরও কিছু সময় বাকি। এদিকে প্রচন্ড প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছে কিশোরী বঁধূ ছালেহা বেগম। বাড়ির বাহির বারান্দায় বসে অস্থির ভাবে হুক্কা টানছে ফজলু মিয়া। অল্প কিছু সময় পরেই করুণ সুরে ফজরের আযান দিচ্ছে মুয়াজ্জিন হুজুর। ফজলু হুক্কা রেখে পুকুরে গিয়ে ওযু করে মসজিদের দিকে পা বাড়ায়। যদিও সে সূরা কালাম কিছুই পারে না। মুয়াজ্জিন হুজুর তখন...
এই পতাকা আমার, আমার আত্মার!
এই পতাকা আমার, আমার আত্মার!মুহম্মদ মাসুদএকটি শোক সংবাদ! একটি শোক সংবাদ! উত্তর পাড়ার...।শেষরাত্রি। ফজরের আজানের খুব কাছাকাছি। মিনিট কয়েক দূরত্ব। হয়তো তারও একটু কাছাকাছি। সত্যি! এই সময়টায় মৃত্যুর সংবাদ কলিজা অবধি গেঁথে যায়। খুবই আফসোস হয় এই ভেবে কেউ একজন ফজরের নামাজ আদায় করতে পারলো না।ঘুমের ঘোরে তখন হুঁশ বেহুঁশে অজ্ঞান অবচেতন হয়ে ঘুমিয়ে আছি। নানামুখী স্বপ্নের অংশগ্রহনে সংক্ষিপ্ত পদার্পণ এবং হেলে-দুলে...
বিজয়ের পদাবলি : ০১
কালকেউটেমাহমুদ হোসেন মৌসুমআপনি না হয় ফুল-ফল, লতা-পাতা নিয়ে কথা বলুনবিস্তৃত আকাশ আর পাশপাখালি নিয়ে ভাবতে থাকুনসাগর নদীর গল্পগাথা বলুনআর বসন্ত উৎসবের রঙ গায়ে মাখুনভুলেও ওদিকে তাকাবেন নাওদিকে টকটকে লাল রঙের ফুল ধরছেরাজপথে কিংবা ওলিতে গলিতেসে ফুল দুমড়ে মুচড়ে পড়ে আছেতরতাজা রক্তরাঙ্গা সে ফুলের ঔদ্ধত্যআপনি বইতে পারবেন নাআপনি আরো বড় কিছু নিয়ে ভাবুনবড় বড় মানুষের সাথে ঘনিষ্ট থাকুনসামান্য ক’টা মানুষ নিয়ে...
বিজয়ের পদাবলি : ০২
কাঙ্ক্ষিত একটি আলোর শহররফিকুল ইসলামলাবণ্য প্রবাহে কনকময় জোছনা আসেনি আজওআঁধার রাতের আঙিনা দ্বারে,ক্ষয়ে ক্ষয়ে ফিরে গেছে ক্ষীণতনু খ-পা-ুর চাঁদ আমার আকাশ ছোয়া স্বপ্ন পারে।দখিনের খোলা দরজায় কত বসন্ত বাতাস এসেছেকতবার ফিরে গেছে আবার,যেখানে ফোটে আগুনঝরা রক্তরাঙা শিমুল সম্ভার পাখিরা বিজয়ের গান গাইবে অনিবার। ফুলেরা ছুঁতে পারেনি পাষাণ দেবতাদের পদতলকল্পনার সিঁড়িতে বুনেছে মাকড়সার জাল চারিপাশ...
মুক্তির লড়াই
মুক্তির লড়াইসানজিদা আকতার আইরিনবিঘা দু এক জমি ছিলো করিম মুন্সির। স্বামি স্ত্রী খাটা খাটনি করে সংসারের শান্তির গতি বাড়াতে কখনো আলসেমি করেনি বলে খেয়ে পড়ে ভালোই কাটছিলো দিন গুলো তাদের । বেশি খাটনির ধকলে করিম মুন্সির স্ত্রী নেতিয়ে পড়ে খানিকটা, ফলে শরীরে বাসা বাঁধে নানা জটিলতা। যার খেসারতে রুগ্ন কায়া দেহ খানা ফেলে তার আত্তা পৃথিবীর মায়া ত্যাগকরে খুব সহজে। ছেলে মেয়ে দুটোর যতেœর ভার সৎ মাকে দেয়া হয়...
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)