তারুণ্যের কবিতায় সময়ের সাহসী উচ্চারণ




তারুণ্যের কবিতায় সময়ের সাহসী উচ্চারণ
আনোয়ার কামাল

শব্দের সাধারণ অর্থ ও কাব্যার্থ পৃথক বস্তু। কবিতায় ব্যবহৃত শব্দার্থের ক্ষেত্রে থাকে একটির পরিবর্তে দ্বিতীয় বা সহ-অর্থÑ এটাই নন্দন-পরিভাষায় ব্যঞ্জনা নামে অভিহিত। বাক্যাংশ বা যে-কোনো শব্দ উক্ত ব্যঞ্জনা দ্যোতিত করে বলেই বাক্য শব্দ কবিতাগত হয়। এই ব্যঞ্জনাশক্তির গুণেই সৃষ্ট হয় প্রতীক-উপমা-রূপক-উৎপ্রেক্ষা-চিত্রকল্পের অন্তহীন জগৎ। [কবিতার নান্দনিকতা প্রাচীন ও মধ্যযুগ, বেগম আকতার কামাল]
‘কবিতাকে সাধারণত দুটি দিক থেকে দেখা হয়ে থাকে। তার ভাষা ও তার ভাবনা। কিন্তু ভাষা যেমন ভাবনাকে আশ্রয় করে বেড়ে ওঠে, তেমনি ভাবনারও একটা অবলম্বন চাই। বিষয়বস্তু সেই অবলম্বন। ফলত, আমরা যখন কাব্যবিচার করতে বসি, তখন ভাষা ও ভাবনার মতো, বিষয়বস্তুও আমাদের বিচার্য বৃত্তের মধ্যে এসে যায়।’ বলেছেন কবিতার শিক্ষক নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁর ‘কবিতা কোথায়’ প্রবন্ধে।
সেই কবিতার নান্দনিকতা নিয়ে, তার ভাষা ও ভাবনার কথা নিয়ে আজকের তরুণ কবিদের কাছে আমাদের অঢেল প্রত্যাশা রয়েছে। তরুণ কবিরা তাদের মননশীল কবিতার জমিনে কালোক্রমে যে বীজ রোপন  করে চলেছেন তারই পরিক্রমায় আজও তারুণ্যের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেকাংশে বেড়েছে। আমরা এখনো তারুণ্যের দিকে চেয়ে থাকি, অসীম সাহসে জয়গান গাইবার জন্য।
যদি তুমি ভয় পাও
তবে তুমি শেষ
যদি তুমি রুখে দাঁড়াও
তবে তুমিই বাংলাদেশ।
[তুমিই বাংলাদেশ, রকিব লিখন]
বাংলাদেশের আজকের তরুণ কবিদের কবিতায় এই সুর অনুরণিত হতে দেখা যায়। কেননা কবিতার ক্যানভাসে সেই কবে থেকেই তরুণ-যুবকদের দ্রোহের পঙ্ক্তিমালার ধ্বনিময়তা সাধারণ পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। মানুষকে প্রতিবাদে সামিল হতে উদ্বুদ্ধ করেছে। মানুষের অবচেতন মনের কোণে গুনগুন করে তারই উচ্চারণ যেন বেরিয়ে আসে। আমরা আমাদের অগ্রজ কবিদের ভেতরও তার তরুণ-যুবক বয়সের তারুণ্যখচিত পঙ্ক্তিমালা বাঙ্ময় হয়ে প্রস্ফুটিত হতে দেখেছি। ‘এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ হেলাল হাফিজের কালজয়ী এ কবিতায় যদি আমরা ফিরে দেখি তবে দেখা যাবে কবিতাটি কত সহস্রবার ঠোঁটের ডগায় উচ্চারিত হয়ে যুবকদের প্রাণিত করেছে, সাহসী করে তুলেছে। কত দেয়ালের বুকে জ্বল জ্বল করে দেদিপ্যমান হয়ে জেগে থেকেছে, যা থেকে সময়ের সাহসী সন্তনেরা আরো সাহসী হয়ে উঠেছে। জ্বলে উঠেছে স্বাধীন চেতনায় ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে।
আবার যখন দেশময় অরাজকতার এক ভয়াল গ্রাসে নিমজ্জিম ঠিক তখনই আমাদের রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ আকাশ-বাতাস বিদীর্ণ করে একটি পঙ্ক্তি ছড়িয়ে দিলেনÑ‘আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই/ আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ন নৃত্য দেখি।’ আহা! সেই লাশের পুতিময় গন্ধ থেকে কী আমরা আজো মুক্ত হতে পেরেছি? মাটিতে এখনো মৃত্যুর নগ্ন নৃত্য আমাদের ঘিরে রেখেছে। এ কবিতাটিও কত সহস্রবার অবলীলায় উচ্চারিত হয়েছে, কবিতাকর্মী থেকে শুরু করে সাংস্কৃতির পরিম-লের আবেগঘন পরিবেশে। দেয়ালের গায়ে কালো হরফে লেখা হয়েছে...। আমরা এমনি কিছু কালজয়ী কবিতার চরণ যুগ যুগ ধরে ধারণ করে চলেছি। আমাদের বোধের ভোতা নিউরণে টোকা দিয়ে উসকে দেওয়া এসব পঙ্ক্তিমালা ভুলে যেতে পারি না। আরো একটু পিছন ফিরে দেখলে দেখতে পাইÑ ‘ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে মানচিত্র খাবো’। আহা! কি জ্বালাময় কবিতার পঙ্ক্তিমালা। কতখানি ক্ষুধার্ত হলে, কতটুকু বেদনায় কুঁকড়ে গেলে একজন কবি মানচিত্র খেতে চান। কবির দ্রোহের বান ভেঙে জোয়ারে প্লাবিত হয় অন্যায়ের বাঁধ। বালির বাঁধের মতো অন্যায়ের বেড়াগুলো ধ্বসে যায় অবলীলায়। আমরা কি তার এ বয়ানের গভীরে লুক্কায়িত বেদনার ভাবনাকে ব্যবচ্ছেদ করতে পেরেছি? আমরা কী তার যাতনার অংশীদার হতে পেরেছি?
রকিব লিখনের ‘তুমিই বাংলাদেশ’ কবিতাটি সাহসী কিশোর আর প্রতিবাদী যুবকদের ঠোঁটের ডগায় উচ্চারিত হয়েছে প্রতিক্ষণে। অতি সাম্প্রতিককালে স্কুলের ছাত্ররা তাদের সহপাঠির বাসচাপায় মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে কিশোর ছাত্রদের বিদ্রোহী আবেগকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে য়ায়। সে সময় নানা রকমের ষড়যন্ত্র ও ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে তরুণ-কিশোররা এই শ্লোগানে উজ্জীবিত হয়েছে, তারা হেরে যেতে না মানা বাঁধ ভেঙেছে। পরিশেষে এইসব ক্ষুদে তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরীরা বিজয়ের জয়মালা গলায় পরে রাজপথ ছেড়েছেন। যা বাংলাদেশের সাম্প্রতিককালের ইতিহাসে এই মাইলফলক হয়ে রয়ে গেছে।
অপরদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনে ‘তুমিই বাংলাদেশ’ কবিতার পঙ্ক্তি দারুণভাবে ছাত্ররা লুফে নিয়েছে।
যদি তুমি ভয় পাও
তবে তুমি শেষ
যদি তুমি রুখে দাঁড়াও
তবে তুমিই বাংলাদেশ।
আসলেই যুবকরা সেদিন ভয় পায়নি। তারা ঘরে ফিরে যায়নি। নানান ভয়ভীতি উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন তারা আন্দোলনে নিজেদের জিইয়ে রেখেছেন। রুখে দাঁড়িয়েছে। ফলত, পরিশেষে তাদেরই বিজয় হয়েছে। আসলে যেকোন আন্দোলন যদি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার সাফল্য পরিসমাপ্তিতে আসবেই আসবে।
যুগের পর যুগ কালোক্রমে কবিতায় বিভিন্ন ক্রান্তিকালে সময়ের সাহসী উচ্চারণে কবিতাকর্মীরা পিছপা হননি। তরুণ কবি জয়নাল আবেদীন শিবু তার ছুরি নামক কবিতায় শান দিয়েছেন। ছুরি দিয়ে আমরা কলিজা ফালি ফালি করি, মাথার শিরা, উপশিরা কেটে ফেলি কিন্তু এতো ধারালো ছুরি তা দিয়ে আপেল-কলা বা সবজি কাটে না। কবি যুগলঠোঁটের ডগায় সেই ছুরির সুতোয় শক্ত বাঁধনে আটকে ধরার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। কবিতায় মজে যাওয়া তরুণ এ কবির কবিতায় আমরা প্রেমময় এক ভিন্ন ধরনের সুর ধ্বনির মূর্ছনায় উদ্ভাসিত হতে দেখি। কবি যুগ যন্ত্রণায় জর্জরিত প্রেমের বাঁকা আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে এমন তরো পঙ্ক্তি আওড়ে দিতে পেরেছেন। আমরা তার কবিতায় তারুণ্যনির্ভর এক প্রেমময় সিম্ফনি বুদবুদ হতে দেখি ‘ছুরি’ নামক কবিতায়।
একটা ছুরি
খুব ধারালো
গতি ক্ষিপ্র

কেটে যায় কলিজা
ফালি ফালি
মাথার শিরা, উপশিরা
কাটে না আপেল, কলা কিংবা সবজি

যুগলঠোঁটে জিয়েরাখা ছুরির
সুতোর বাঁধন শক্ত করো
শক্ত করো।
[ছুরি, জয়নাল আবেদীন শিবু]
বর্তমান সময়ে আমরা ভার্চুয়াল জগতের গভীর অরণ্যে ঢুকে পড়েছি। আমাদের যাপিত জীবনের নানান বোধের ভেতর ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি ঢুকে পড়ে জীবনের অনেক দিকের বাঁক বদলে দিয়েছে। আমরা এখন আর নিজের মতো করে বোধ হয় চলতে পারি না। আমাদের যন্ত্রতাড়িত করছে ‘সাইবার এজ’। তাই কবি কাজী শোয়েব শাবাব তার কবিতায় মানুষ যে এখন আর মানুষ নেই পুরোমাত্রায় যান্ত্রিক মেশিনে পরিণত হয়েছে তারই সুনিপুণ চিত্রকল্প এঁকেছেন।

মানুষ নয়, মেশিন।
দৃশ্য নয়, স্ক্রিন।
ডিভাইস শাসিত মস্তিষ্ক
দেখা আর না দেখা টোটালি প্রোগ্রামড।
ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি ভালো লাগে,
বস্তুকাম উপভোগ্য।

বায়োনিক হাত।
যান্ত্রিক শীৎকার
হ্যাঙ্গারে ঝুলন্ত মানুষের আইডি।
পৈতৃক সূত্রে পেয়ে যাবো বিছানায়
পিতার রেখে যাওয়া রোবট স্ত্রী।
[সাইবার এজ, কাজী শোয়েব শাবাব]
তরুণ কবি রাহাত রাব্বানীর কবিতার ছন্দময়তায় তারুণ্যের প্রতিভাস দেখতে পাওয়া যায়। এসময়ের তরুণ কবিদের ভেতর থেকে তার কবিতার সুর নানান বোধের মিশ্রণে আমাদের উদ্বেলিত করে। তার কবিতায় প্রেমের আখ্যান ভিন্নমাত্রিকতায় ধরা দেয়। কবিতা তো এমনই কেউ চলে গেলে তাকে তো আর থামিয়ে রাখা যায় না। হয়তো সে আকাশের পাশে কোনো এক তারা হয়ে জ্বল জ্বল করছে। কেউ কাউকে সুখের স্পর্শকাতরতায় আকড়ে ধরছে না। হ্যাঁ, রাব্বানী প্রশ্ন রেখেছেন, যদি একফালি মেঘ এসে তাকে আড়াল করলে অথবা ভোরের সূর্য তার চিহ্ন মুছে দিলে তখন তার প্রেয়সী কী করবে? এ যুগ জিজ্ঞাসার কোনো প্রতিউত্তর কি রাব্বানী পেয়েছে? কবি প্রকৃতির কাছে তার যুগ যন্ত্রণার সকল জিজ্ঞাসা জানতে চায়। কেউ পায়, কেউ পায় না। তবুও এ পথচলা, তবুও এ কবিতাময় যাপিত জীবন বহমান। কবিতার লিরিকে অনাদিকাল পথ পরিক্রমা।
এই ধরো, আজ আমি চলে গেলাম
আমাকে থামিয়ে রাখতে পারলে না আর

আকাশের এক পাশে একটা তারা হয়ে
তোমাকে দেখেছি, ধরো। অথচ,
কেউ কাউকে স্পর্শসুখে ভাসাচ্ছি না।

আবার ধরো,
হঠাৎ একফালি মেঘ এসে আমাকে আড়াল করে দিলো
নয়তো,
ভোরের সূর্য মুছে দিলো আমার চিহ্ন
তখন তুমি কী করবে? বলো?
[প্রশ্ন, রাহাত রাব্বানী]
কবি পথের দিশা নিয়ে ভাবেন না। কবিকে পথপরিক্রমায় ক্লান্তিতে ধরে না। কবি স্বপ্নদ্রষ্টা, কবিকে ভাবতে হয়। কবি দেশ, জাতি সমাজ নিয়ে ভাবেন, কবিতায় রঙিন তুলির আঁচড়ে ক্যানভাসে মূর্ত করে তোলেন একের পর এক রূপক, উপমা, চিত্রকল্প। কিন্তু কবি যখন তার চারপাশের অশুভ রাজনৈতিক আস্ফালন, বুর্জুয়া রাজনীতিকের পুজিবাদী অট্টহাসি, তখন কবি অনুভব করে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে স্বপ্নের বীজবপনের আবেদন তার কাছে ফিকে হয়ে যায়, নিষ্ফল হয়ে যায়। তরুণ কবি সুব্রত আপনের কবিতায় আমরা তারই সুররিয়ালিজম দেখতে পাই তার ‘রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার’ কবিতায়। তার পরেও বলবো কবিরা সবসময় আশাবাদী। কবিকে নিরাশ হলে চলে না। সমুখ পানে তাকে আশার মশাল জ্বালিয়ে পথ ভোলা পথিককে পথের দিশা করে দিতে হয়।
রাস্তা ভেবে ক্লান্ত হওয়ার মানুষ আমি নই, কিন্তু মহাকালের ঘূর্ণিপাকে
যখন শুনি বুর্জুয়ার রাজনৈতিকের পুজিবাদী অট্টহাসি,
তখন বুঝতে পারি ধ্বংসের ধারপ্রান্তে এসে স্বপ্নের বীজবপন নিষ্ফল।
[সুব্রত আপন, রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার]
‘সকলেই কবি নয়। কেউ কেউ কবি; কবিÑকেননা তাদের হৃদয়ে কল্পনার এবং কল্পনার ভিতরে চিন্তা ও অভিজ্ঞতার স্বতন্ত্র সারবত্তা রয়েছে এবং তাদের পশ্চাতে অনেক বিগত শতাব্দী ধরে এবং তাদের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক জগতের নব নব কাব্য-বিকিরণ তাদের সাহায্য করেছে। সাহায্য করছে; কিন্তু সকলকে সাহায্য করতে পারে না; যাদের হৃদয়ে কল্পনা ও কল্পনার ভিতরে অভিজ্ঞতা ও চিন্তার সারবত্তা রয়েছে তারাই সাহায্যপ্রাপ্ত হয়; নানারকম চরাচরের সম্পর্কে এসে তারা কবিতা সৃষ্টি করবার অবসর পায়। [কবিতার কথা, জীবনানন্দ দাশ]
পরিশেষে এ কথাটি একারণেই বলবার আকাক্সক্ষা জাগলো যে, যাদের হৃদয়ে কল্পনা এবং কল্পনার ভিতরে চিন্তা ও অভিজ্ঞাতার স্বতন্ত্র সারবত্তা রয়েছে তারাই কবিতায় সময়ের সাহসী উচ্চারণ তুলে ধরতে পেরেছে। কবিতা তো হাজারো রকমের লেখা হচ্ছে। কটি কবিতা কালোতীর্ণ হতে পেরেছে।
আজকাল তরুণদের লেখায় এলোমেলো ভাবনার পঙ্ক্তিমালাই বেশি দেখা যায়। এর ভেতরেও যে নান্দনিক শৈলীর আবহে কবিতা রচিত হচ্ছে না, তা কিন্তু নয়। তবে কবিতা তৈরির যে উপাদান, রসদ, কাঁচামাল-মসল্লারও যে প্রয়োজন হয়, তা কিন্তু এখন অনেক কম। আবার যা পাওয়া যাচ্ছে, তরুণ কবিরা সেদিকে পা বাড়াচ্ছে না, প্রতিকূল বৈরি পরিবেশের কারণে। সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যে স্পিরিট নিয়ে কবিতা রাজপথ উপ্তত্ত করেছে, তার ইমেজ তো এখন আর নেই। তা ফিকে হয়ে গেছে। আবার বর্তমানে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে, তাদের নিজেদের রাজনৈতিক স্থিরতাই নেই। কবিতা কিন্তু রাজনৈতিক আবহের ডামাডোলে নিজেকে শাণিত করে তুলে ধরে।
তবে সুখের কথা হচ্ছে, বর্তমানে দেশে যে নারী-শিশু ধর্ষণ-নির্যাতন হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে কবিরা কিছুটা হলেও সোচ্চার হয়ে উঠেছেন, এটাই আশার দিক হিসেবে ধরে নেওয়া যায়। কারণ তারুণ্যের কাছে দেশ-জাতি অনেক কিছুই আশা করে। তরুণ-যুবকরা যা করতে পারে, তা অন্যরা পারে না। এই পারা না পারার দিকেই তো আমরা চেয়ে থাকি; আশার দিশারী হিসেবে কেউ আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাক পাল তোলা নৌকার আলোকবর্তিকা হয়ে।

৪৮, মতিঝিল, ঢাকা ।


শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট