পদাবলি : ০১

 



গাছবৃষ্টি

মিসির হাছনাইন 


এই যে আকাশের নীল রঙ দেখলে

এসব শরতে আমার যেন কি হয়!

খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যাই সবকিছু।

মনে হয় গাছের মতো দাঁড়িয়ে আছি,

আর নদীর ভেতরে বেড়ে ওঠে আমার ছায়া;

নিজকে মনে হয় কত বছরের পুরনো।

তোমাকে আকাশের পথে হাঁটতে দেখি

মনে মনে ভাবতে থাকি আহা!

যদি পাখি হতাম তোমার আকাশের নীল

রঙে উড়তে উড়তে তোমাকে ছুঁয়ে দিতাম।

তারপর খুব গোপনে আমরা ঢুকে যেতাম

মেঘের ভেতরে; তোমার মুখ পানে চেয়ে

গভীর প্রেমের কতগুলো সূত্র মনে পড়ে।

এরপর দেখি আকাশ কাঁদে-আমিও কাঁদি...

হয়তো এর নাম শরতের হঠাৎ বৃষ্টি

আমরা দেখি- খুব ধীরে উবে যাচ্ছে একটা মানুষ;

ওরা দেখে-মানুষের গায়ে ঝরে পড়ছে গাছবৃষ্টি।


ফুলের ইশকুলে শেখা

অসীম মালিক


তৈরী হয়েছে এক মানচিত্র,

টানা হয়েছে অনেক রেখা।

মেঘ, রোদ, বৃষ্টির ইশকুলে

বন্ধু, কিছুই হয়নি শেখা।


রোদের ইশকুলে কাঁটাতার !

এ বৃষ্টির ব্যাকরণে লেখা।

মেঘের কোনও সীমান্ত নেই

আকাশের চোখে দেখা।


আমরাই শুধু সীমান্ত খুঁজি,

দু’হাতে টানি অদৃশ্য রেখা।

বদলায়না, মাটির গন্ধ

সব, ফুলের ইশকুলে শেখা।


পরিত্যাজ্য নাম

সুজন আরিফ


সেই পরিত্যাজ্য নামটি

আর মুখে নেই নি।


অধিকাংশ জল’ই ঘোলা হয়ে গেছে

ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে

দুই পাড়’ই যে চূর্ণ-বিচূর্ণ;

আমার চারপাশেই এখন

রাক্ষসী নদীর পাহারা

তবুও একলা চলার নীতি নিয়ে

শূন্যতাকেই ধরে আছি।


আমি জানি

শেষ পর্যন্ত দূরে থাকাই ভালো

নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রের মতন

কেবল সতন্ত্র সত্তার জোরালো জানান

অথচ আলোর এতটুকু কমতি নেই

মানুষ, সেতো ক্লান্তিহীন এক প্রজাপতি

কাক্সিক্ষত সুখে অবিরাম ওড়াউড়ি ।


শুধু অর্ধযুগ কেন

শত যুগেও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা

আমি এক সুবোধ পাহাড়

অভিমানী মেঘকে ছুঁয়ে ছুঁয়েই শুধরে নেবো

এই জীবনের যাবতীয় ভুল

অন্ধ প্রেমিক ফিরে পাবে

অকালে হারিয়ে ফেলা অতিপ্রিয় প্রণয়ের কূল।


সেই পরিত্যাজ্য নামটি

আর মুখে নেই নি।



শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট