গল্প : পিছনের পিছুটান


 পিছনের পিছুটান
ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী

পিছনের  মনটা ভালো নেই। কদিন ধরেই পিছনের মনে হচ্ছে কি যেন একটা পিছুটান আছে ওর। কি একটা ঘটনা ঝাপসা ঝাপসা। কিছুতেই মনে পড়ছেনা। খুব অস্থির লাগছে। হঠাৎ করে কি হলো সে নিজেও জানেনা। অনেকটা স্বপ্ন দেখার মতো। কিছু স্বপ্ন মনে থাকে আর কিছু স্বপ্ন মনে থাকেনা। ঘুম থেকে উঠে মনে হয় একটা স্বপ্ন দেখেছি কিন্তু কেন যেন মানুষের মাথায় তা আর থাকেনা। তখন মনটা ঘুমকে হাতড়াতে গিয়েও কিছুই খুঁজে পায়না। পিছন  মাকে জড়িয়ে ধরে অনেকটা আব্দারের স্বরে বলে, মাগো ও মাগো বলোনা, আমার কি কোনো পিছুটান আছে। মা হাসেন আর হাসেন আর একটু আদর মাখা ধমক দিয়ে বলেন, আরে, তোর আবার কিসের পিছুটান। বাদ দেতো এসব। পিছুনের বাবা একটু বদরাগী। তারপরও কিছুক্ষন বুক চেপে সাহস নিয়ে বাবার সামনে যায়। বাবা হেলানো চেয়ারে বসে প্রতিদিনের মতো পত্রিকা পড়ছেন। পিছন বাবার সামনে কাচুমাচু করতে থাকে। বলতে গিয়েও বলতে পারেনা। একসময় বাবাই বলেন, কিরে হতচ্ছাড়া, কিছু বলবি। না...হা...না তোতলাতে তোতলাতে পিছন সাহস করে বাবাকে বলেই ফেলে, বাবা আমার কি কোনো পিছুটান আছে। এ কথা শুনে বাবা হেলান থেকে খুব রেগে উঠে দাঁড়ায়। যত্তোসব, বদমাইশি প্রশ্ন। আরে তোর মতো গাধার আবার কিসের পিছুটান। বিকেল বেলা ব্রিজের উপর বন্ধুরা মিলে প্রতিদিন দল বেঁধে আড্ডা দেয়। অনেক বিষয়ে তর্ক বিতর্ক, হাসি, তামাশা সহ পৃথিবীর এমন কোনো জিনিস নেই যা নিয়ে আলোচনা হয়না। পিছনের মনটা আজ আড্ডা দেওয়ার মতো ফুরফুরে মেজাজের ছিলোনা। বন্ধুদের মোবাইলের পীড়াপীড়িতে দো'টানা মন নিয়ে আসতে হয়েছে। বন্ধুরা পিছনকে এমন আগে কখনো দেখেনি। যে ছেলেটা আড্ডা মাতিয়ে রাখতো সেই কেমন জানি চুপসে গেছে। বন্ধুরা পিছনকে হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করে, কিরে দোস্ত তুই কারো প্রেমে পড়লি নাকি ? প্রেম তোকে ধরেছে নাকি তুই প্রেমকে ধরেছিস। এখন বল তো কোন রূপসী তোর মনে ধরেছে। পিছন একটু বিব্রত হয়। গালগুলো লজ্জায় মেয়েদের মতো লাল হয়ে যায়। মাথা নাড়তে নাড়তে বলে, নারে তোরা যে কি বলিস তার মাথামুন্ডু নেই। কথাগুলো পিছন এভাবে বললেও ওর মধ্যে একটা প্রেমিক প্রেমিক ভাব চলে আসে।

একবার মনে হয়, তবে কি এটা প্রেমের পিছুটান হতে পারে। কে জানে। নানান এলোমেলো ভাবনা ভাবতে ভাবতে পিছন কখন ঘুমিয়ে পড়ে তা হয়তো সে নিজেও  জানেনা। পিছনের দাদি খয়ের দিয়ে পান খেতে খেতে প্রায়ই বলেন, ঘুমিয়ে গেলো মানুষ নাকি মারা যায়। নিজের ঘুমটা কেউ দেখতে পায়না, এর থেকে রহস্যের আর পৃথিবীতে কিছু নেই। পিছন রাগ করে বলে আহ্বলাদ নিয়ে বলে, ধুর বুড়ি তুই কিছুই জানিস না। একটু পরেই গভীর কিংবা অগভীর ঘুমে পিছন পিছুটানের স্বপ্ন দেখে। একটা মেয়ে তার সামনে এসে দাঁড়ায়। মুখটা ভালো মতো বোঝা যাচ্ছেনা কিন্তু মনে হচ্ছে খুব আপন। ভালোবাসা, ভালোলাগার মতো একজন যাকে সে খুব গভীরভাবে চিনে কিন্তু মুখটা ধরা দেয়না। পিছন বলে, এই মেয়ে মুখের কাছে কুপিটা ধরনা। তোমাকে প্রাণ ভরে দেখি। চোখ জুড়ায়, মন জুড়ায়। মেয়েটা কুপিটা হাত দিয়ে মুখের কাছে ধরে। মুখটাও কালো কাপড়ে ঢাকা। দূর মেয়ে তোমার কালো কাপড়টা মুখ থেকে সরাও না। মেয়েটা নুপুর পায়ে লজ্জায় দৌড়ি গিয়ে অন্ধকার বোনের মধ্যে মিলিয়ে যায়। মুখের কালো কাপড়টা উড়তে উড়তে পিছনের দুহাতে আটকে যায়। কি যে যা ইচ্ছে তাই রকমের হতচ্ছাড়া ভাগ্য, ধপাস করে ঘুমটাও ভেঙে যায় পিছনের। হয় কপাল, স্বপ্নও রহস্য হয়ে গেলো। ঘুমটা ভেঙে গেলেও পিছন দেখে তার বুক জড়িয়ে ধরেছে সে স্বপ্ন দেখা কালো কাপড়টা। অবাক আর হতভম্ব হয়ে যায় পিছন। এটাও কি সম্ভব। কালো কাপড়টা মুখের কাছে টেনে নেয় পিছন। খুব চেনা একটা রজনীগন্ধার গন্ধ। খুব ভালো লাগে ওর। স্বপ্নেরও তা হলে পিছুটান হয়। কোনো কুল কিনারা খুঁজে পায়না পিছন। পিছুটানের পিছুটানে ঘুরপাক খেতে থাকে পিছনের মন। এই পৃথিবীতে এমন ঘটনাও ঘটে পারে। পিছন বুঝতে পারে কিছু একটা পিছুটা আছে তার জীবনে। কিন্তু সেটা কি সে নিজেও জানেনা। বাড়ির পাশের চিপা গলিটা দিয়ে একটু বেঁকে বাঁ'দিকে যে বিশাল নদীটা আছে পিছন সেখানে নিথর পাথর মতো দাঁড়িয়ে থাকে। টলমল নদীর মতো টলমল করছে তার অশান্ত মন। কেমন একটা অস্থিরতা। আর কালো কাপড়টা হাতে স্বপ্ন আর বাস্তবতা মেলানোর চেষ্টা। একটা ছায়ার মতো কি যেন হেটে যায় পিছনের সামনে দিয়ে। বুঝতে পারেনা। হয়তো মনের ভুল। আরো কিছুক্ষন যায়, দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা আসে। আধো আধো অন্ধকার। পিছন থেকে কে যেন মেয়েলি কণ্ঠে ডাকে পিছন কি ভাবছো। কাল রাতে তো আমাকে দেখতে চেয়েছিলো। এখন দেখছো না কেন। এর পর নুপুরের শব্দ। পিছনে তাকাই পিছন। আরে কেউ তো নেই। তাহলে কে পিছন থেকে ডাকলো। কিছুতেই কিছু মেলাতে পারেনা পিছন তবে সে বুঝতে পারছে কিছু একটা পিছুটান আছে। উদাসী আর ব্যাকুল মন নিয়ে হাটতে হাটতে সে একজোড়া নুপুর পায়। হয়তো সেই মেয়েটার। কিন্তু তার সাথেই এমন হচ্ছে কেন কিছুই বুঝে উঠেনা পিছন। বাড়িতে এসে সটান করে বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ে। একসময় চোখে ভর করে ঘুম। স্বপ্নও এসে চায় চোখে। একটা রজনীগন্ধা খোঁপায় লাগিয়ে মেয়েটা পিছন ফিরে থাকে। খোঁপার রজনী গন্ধা তার সুবাস নিয়ে পিছনের গায়ে এসে পড়ে। এই এই মেয়ে তাকাও না আমার দিকে। ঘুমের মধ্যে বালিশটা নিয়ে এপাশ ওপাশ হয়ে ঘুম ভেঙে যায় পিছনের। গায়ে হাত দিতেই রজনীগন্ধা ফুলটা পিছনের হাতে উঠে আসে। অবাক হয় পিছন। এ কেমন পিছুটান। স্বপ্নটা সত্যি হয়ে যাচ্ছে। একটু একটু ভয় আর আনন্দ দুটোই পিছনের মনে জেগে উঠে। কিন্তু রহস্যের কুল কিনারা সে করতে পারেনা। ভাবে আর ভাবে। এভাবেই ভাবনাগুলো তাকে যেন বলে যায়, পিছন পিছনে ফিরে তাকাও তোমার পিছুটানটা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। সবুজ ধানক্ষেতের সরু কাদা মাটির আইল ধরে খালি পায়ে হাটতে থাকে পিছন। সবুজ বাতাস গায়ে লেগে পিছনের মনকে আবেগে ভরিয়ে দেয়। হালকা মন বেলুনের মতো উড়তে থাকে প্রেমের ব্যাকুলতায়। চোখ পড়ে একটা দামি পাজেরো গাড়ির উপর। গাড়িতে বসা একটা মেয়ের চোখে চোখ পড়ে যায়। গাড়ির খোলা জানলা দিয়ে চুল ভর্তি মাথাটা বের করে মেয়েটা যেন পড়েছে প্রকৃতির প্রেমে। কি এক প্রাণের আকুতি আর পরম সুখ তার রূপকে প্রকৃতির চেয়ে অপরূপ করে তুলেছে।  গ্রামের শিহরণ জাগে পিছনের  মনে। প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়ে যায়। এক পেশে প্রেম। পিছন ভাবে, যদি মেয়েটাও তাকে ভালোবাসতো। জীবনের প্রথম প্রেম তাও আবার একপেশে। কি থেকে কি যেন হয়ে যায়। গাড়ির পিছনে ছুটতে থাকে পিছন। রাজবাড়ীর সামনে এসে দাঁড়ায় গাড়িটা। অনেক বছরের পুরোনো রাজবাড়ী। কোথাও কোথাও লাল মাটির কারুকাজে ধস নেমেছে। বাইজির ঘরটাতে আর নুপুর বাজেনা। কেমন একটা সুরহীন, ছন্দহীন শুন্যতা। বুকটা হাহাজার করার মতো। কোথায় রাজা, কোথায় রাজার বংশধর। এখন সেখানে জীবন আর নেই আছে জড়ের জীবন। রাজবাড়ীর দোতালায় উঠে মেয়েটা একটার পর একটা দামি ক্যামেরার ফ্ল্যাশ লাইটার আলোয় ছবি তুলতে থাকে। সব লজ্জা ভুলে পিছনও দোতালায় মেয়েটার সামনে চলে আসে। পিছনকে দেখে মেয়েটা একটু প্রস্তুত হয়ে পড়ে। মেয়েটা অভিমানী ধমক নিয়ে বলে, এই ছেলে তুমি এখানে কি করছো। মেয়েটার কথা শুনে পিছন আরো বিন্দাস হয়ে যায়। এতো সুন্দর কণ্ঠ জীবনে সে শুনেনি। হুট করেই সে মেয়েটা বলে বসে, আমি তোমাকে ভালোবাসি। মেয়েটা লজ্জিত হয়। মুখটা লজ্জায় লজ্জাবতী গাছের মতো আবৃত হয়ে যায়। এরপর মেয়েটার হাসি আর হাসি।
মেয়েটাও পিছনকে বলে, আমিও তোমাকে ভালোবাসি। এই প্রথম কেউ আমাকে ভালোবাসার কথা বলেছে। তাকে আমি ফিরিয়ে দিবোনা। এ কেমন কথা হঠাৎ দেখা, চোখে চোখ আর মুহূর্তের মধ্যে ভালোবাসা। এটা তো বাংলা সিনেমাকেও হার মানায়। ফিরার সময় মোবাইল নাম্বার আর ফেসবুক আইডিটা দিয়ে চলে যায় মেয়েটা। এর পর মোবাইল আর ফেসবুকে কথা চালাচালি। গভীর থেকে গভীর হয় সম্পর্ক। মনের সম্পর্ক প্রযুক্তির জাদুতে কাছাকাছি চলে আসে। মেয়েটা মেসেঞ্জারে একদিন লিখে, অনেকটা সময় তো হলো, এখন আমাদের সংসার গড়ার সময় হয়ে গেছে। একদিন সন্ধ্যায় মেয়েটা তার মা-বাবাকে নিয়ে পিছনদের বাসায় চলে আসে। কলিং বেল বেজে উঠে। পিছনের বাবা দরজাটা খুলেন। অচেনা মানুষ। মেয়েটার বাবা মা নিজেদের পরিচয় দেয়। সোফার উপর বসে আছে সবাই। সব জেনেছে পিছনের বাবা, মা আর দাদি। পিনপতন নীরবতা। পৃথিবী যেন আটকে গেছে। পিছনকে বাবা ডাকেন, পিছন এ দিকটাই আয়তো। পিছন আসতেই মেয়েটার সাথে চোখে চোখ পড়ে যায়। বাবা পিছনকে বসতে বলেন। এরপর পিছনের মা লাবণ্য আয়তো মা বলে ডাক দেয়। লাবণ্য নামটা পিছনের অপরিচিত মনে হয়। তার বাড়ি আর সে জানেনা এখানে লাবণ্য নাম কেউ থাকে।
একটা রজনী গন্ধা, কালো কাপড়ে মুখটা ঢাকা নুপুরের চঞ্চল শব্দ নিয়ে সামনে এসে দাঁড়ায় লাবণ্য। একদিকে লাবণ্য আর এক দিকে মেয়েটা। একজন দাঁড়ানো আর একজন বসা। একটু বদমেজাজি পিছনে বাবার চোখে কান্না। ছল ছল কান্না। এরপর একটা দুটা শব্দ দিয়ে শুরু করে পিছনের জীবনের কথা বলতে থাকে। খুব আদর সোহাগে বড় হচ্ছিলো পিছন। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। একদিন বড় একটা সড়ক দুর্ঘটনা পিছনের জীবনে ঘটে যায়। ওর কিডনি দুটো ড্যামেজ হয়ে যায়। কিছুদিনের জন্য সে স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলে। আমার বন্ধুর মেয়ে লাবণ্য। সিলেটের চা বাগানে ওদের বাড়ি। একসময় সেই চা বাগানে আমিও চাকরি করতাম। ছেলেবেলায় লাবণ্য ও পিছন খেলার সাথী ছিল। তখন থেকেই লাবণ্যর পিছনের প্রতি ভাললাগা জন্ম নেয়। পুতুলের বর বউ খেলতে খেলতে তার একসময় মনে হয় সে পিছনের বউ। এরপর আমরা এখানে চলে আসি। সেদিন লাবণ্য খুব চিৎকার করে কেঁদেছিলো। তার বয়স যত বাড়তে থাকে পিছনের প্রতি তার ভালবাসা ততই বাড়তে থাকে। যখন সে জানতে পারে দূর্ঘটনায় পিছনের জীবন আশঙ্কাজনক তখন একপেশে ভালবাসার টানে সে পিছনকে বাঁচাতে এখানে চলে আসে। এরপর নিজের একটি কিডনী পিছনকে দান করে। লাবণ্যর মা বাবা সে সময় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলো। আমি তাদের কথা দেই লাবণ্যকে আমার ঘরের বউ করবো। সব শুনে পিছন অবাক হয়ে যায়। তার স্বপ্নের সাথে বাস্তবতার সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চায়। তখন লাবণ্য তার মুখ থেকে কালো কাপড়টা সরিয়ে নেয়। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে ক’ফোটা কষ্টের নোনা পানি। কাঁদতে কাঁদতে লাবণ্য বলতে থাকে প্রতিদিন রাতে পিছন যখন ঘুমিয়ে পড়ত তখন প্রাণ ভরে তাকে আমি দেখতাম। একদিন স্বপ্নের মধ্যে সে কালো কাপড় পড়লে বলে চিৎকার করছিল। তখন তার স্বপ্নকে সত্য করার জন্য তার ঘুমন্ত শরীরের উপর কালো কাপড়টা রেখে আসে। সবসময় চোখে চোখে পিছনকে রাখতাম। যখন সে নদীর ধারে দাঁড়িয়ে অশান্ত নদী দেখছিলো তখন আবেগ আর ভালবাসায় আমার মনও অশান্ত হয়ে উঠে। পিছনকে গাছের আড়ালে থেকে ডাকতে থাকি। কিন্তু দৌড়ে পালাতে গিয়ে নুপুরটা পা থেকে পড়ে যায়। একদিন যখন পিছন স্বপ্নের মধ্যে রজনীগন্ধ্যা কাছে এসো বলে ডাকছিলো তখন বাগান থেকে দৌড় দিয়ে আমি রজনীগন্ধ্যা পিছনের বুকে রেখে আসি। আমি চেয়েছিলাম যাকে আমি ভালবাসি তার কোন স্বপ্নই যাতে অপূর্ণ না থাকে। পিছন একথা শুনে তাকায় মেয়েটির দিকে যাকে সে ভালবাসে। লাবণ্য জানে না সে এখন কি করবে। মেয়েটাও জানে না তার কি করা উচিত। পিছন এবার একটা পিছুটানের মধ্যে পড়ে যায়। সে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কি করবে। বাবা তাকে ভাবার সময় দিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পিছন উত্তর খুঁজে পায়নি কাকে সে গ্রহণ করবে। প্রতিদানকে নাকি তার ভালবাসাকে। পিছন ভাবতেই থাকে।




শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট