ফাঁদ

 



ফাঁদ

রফিকুল নাজিম 


-কি রে, সুপ্তি; সাজগোছের ইনিংস কি তোর শেষ হলো? ছেলেটা তো মনে হয় সেই সকালেই চলে এসেছে। ভোরের গাড়িতেই তো আসার কথা। তাড়াতাড়ি কর। এখন অপেক্ষা করাটা ছেলেটার কাছে খুবই বিরক্তিকর ঠেকবে।

-ওম্মা! তুমি কি আমার সৎমা! নাকি ঘষেটি বেগম! মেয়ের বয়ফ্রেন্ডের জন্য দরদ দেখি উতলে উঠছে!

-কি যে বকিস না! তাড়াতাড়ি কর।

-আচ্ছা। এই তো শেষের দিকে। মা, টেবিলে নাস্তা দিয়েছো?

-হ্যাঁ, সেই কখন থেকে তোর বাবা খাবার নিয়ে অপেক্ষা করছে। তাড়াতাড়ি আয় তো। 

-আচ্ছা, আমি আসছি। যাও।

সুপ্তি আসগর সাহেব ও রুমিনা রহমানের একমাত্র সন্তান। দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে। বিজ্ঞানের ছাত্রী হলেও সুপ্তি তিন সাহিত্যের হাবিজাবি বই পড়তে ভালোবাসে। সেই স্কুল জীবন থেকেই বইয়ের ভিতরে তিন গোয়েন্দা বই রেখে পড়ত। সহজ করে বললে তাকে ‘বইপোকা’ বলা যেতেই পারে। দুরন্ত ও তিন হাত কলিজার মেয়ে-সুপ্তি। এই তো একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় কলেজে আসা যাওয়ার পথে পাড়ার এক বখাটে ছেলেকে একদিন সুপ্তি সেইরকম ধোলাই দিয়েছিল। ব্ল্যাকবেল্ট পাওয়ার পর সেটাই সুপ্তির এটাই ছিল প্রথম হাতের কারুকাজ। বখাটে কাসুর নাকমুখের ভূগোল এবড়োথেবড়ো করে দিয়েছিল সেদিন। সেদিন শত শত মানুষের সামনে দিয়ে সুপ্তি কাসুকে টেনে হিঁচড়ে শহরের গোলচত্বরের পুলিশ বক্সে নিয়ে যায়। কয়েকদিন সেই ঘটনাই ছিল সারা শহরের হিট টপিক। চায়ের দোকানে আড্ডায় প্রবলভাবে উপস্থিত ছিল এই সুপ্তির সেই অনন্য কীর্তি। কাগজওয়ালাদের ভীড় সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল আসগর- রুমিনা দম্পতিকে। সারাক্ষণ বাসায় সাংবাদিকদের আসা যাওয়া। কখনো অমুক কাগজে সাক্ষাৎকার তো পরক্ষণে তমুক চ্যানেলে সাক্ষাৎকার! 

অথচ এই ধিঙ্গি মেয়েকে নিয়ে মা বাবার দুশ্চিন্তার কমতি নেই। চোখের সামনে অন্যায় দেখলেই সুপ্তি সটান দাঁড়িয়ে যায়। যেখানে কোনো পুরুষ মানুষও যেতে ভয় পায়। যেখানে জানের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসে না। সেখানেও সুপ্তির সরব উপস্থিতি থাকে। ঘটনার নিজস্ব দাবী অনুসারে মাঝেমাঝে তাকে হাতপা চালাচালি করতেও হয়। অথচ মেয়েটাকে দেখলে কেউ বুঝতেই পারবে না। কী সুন্দর, মায়াবতী রূপ তার! পোষা বেড়ালের মত দেখতে নরম তুলতুলে গাল। খুব আদুরে। কাজল টানা চোখের অতলে একরাজ্য রহস্য খেলা করে। গাল বেয়ে নেমে আসে চাঁদের সবটুকু আলো। দীঘল চুলে খেলা করে দুষ্টু বাতাস। ঠোঁটের কোণে লুকিয়ে থাকে আততায়ী হাসি। দারুণ সংসারী টাইপ চেহারা সুপ্তির। অথচ এই মায়াবতীর হাতেই দশভুজা দুর্গার শক্তি। অন্যায়ের সামনে সে সশস্ত্র বাঙ্কার। ফুটন্ত বুলেট, সোহাগী গ্রেনেড!

সুপ্তি ডাইনিংয়ে আসতে আসতে তার মাকে ডেকে বললো-

-মা, দেখো তো শাড়িটা ঠিকঠাক আছে কিনা? কুঁচিগুলো সমান হয়েছে? 

-হ্যাঁ। সবকিছুই ঠিক আছে। মাশাআল্লাহ। তোকে তো পরীর মতোই লাগছে রে।

-সত্যি, মা! পাম্প দিচ্ছো না তো?

-এই দিব্যি কেটে বলছি, তোকে সত্যিই পরীর মতো লাগছে।

-আচ্ছা। বাবা, তুমি তো দেখছি এখনো রেডি হওনি! কখন রেডি হবা? পাঞ্জাবি পরে এসো তাড়াতাড়ি।

-মা’রে আমার শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। আমি তোকে গলির মাথায় গিয়ে রিক্সাতে তুলে দিয়ে আসবো। তুই যা। এসবে আমাকে টানিস না। 

-হুম। বুঝেছি। আমার কাজ আমাকেই করতে হবে। আমাকে একাই মোকাবেলা করতে হবে সবকিছু।

আসিফের সাথে দেখা করতে যাচ্ছে সুপ্তি। সকাল থেকেই ধিঙ্গি মেয়েটা বাড়িঘর সবকিছু মাথায় তুলে রেখেছে। প্রথম দেখা বলে কথা! বারো দিনের পরিচয়ের মোড়ক উন্মোচন আজ। উত্তেজনার কোনো কমতি নেই মেয়েটার মধ্যে। সুপ্তি নীল শাড়ি পরতে চেয়েছিল। কিন্তু আসিফের পছন্দের কলাপাতা রঙের একটা তাঁতের শাড়ি পরেছে। সাথে কপালে পরেছে গাঢ় লাল রঙের একটা টিপ। খোঁপায় পরেছে বেলিফুলের মালা। সত্যিই তো সাধারণেই খুব অসাধারণ লাগছে সুপ্তিকে। নিজেকে কয়েকবার খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছে আয়নায়। এতোটা সুন্দর করে কখনো নিজেকে দেখেনি সে। আজই প্রথম নিজেকে বারবার আয়নায় দেখা। তাও আসিফের জন্য। ছেলেটা সত্যি হয়তো যাদু জানে। না হলে এরকম একটা ডাক্কু মেয়েকে কিভাবে বশীকরণ করলো! গত চব্বিশ বছর ধরে দেখা মেয়েটাকেও আসগর সাহেব ও রুমিনা রহমানের কাছেও বেশ অপরিচিত ঠেকে! আজকাল সুপ্তি ঘরেও মাকে সাহায্য করে। নিজের ঘর নিজে গুছিয়ে রাখে। বারান্দার ফুলগাছগুলোতে নিয়ম করে পানি দেয়। বিকেল হলে ছাদে যায়। গুনগুন করে গান করে। উদাস চোখে আকাশ দেখে। মোবাইলে সারাক্ষণ কথা বলে। একাকী হাসে। মায়ের চোখে চোখ পড়লেই লজ্জায় লাল হয়! দারুণ একটা সময় যাচ্ছে সুপ্তির। রুমিনা রহমান সবই বুঝেন। টেরও পান। মাঝেমাঝে সুপ্তির মাঝেই হয়তো নিজেকে তারণ্যকে দেখে ভড়কে যান। স্মৃতি বিস্মৃতির অতলে ডুব দিয়ে নিজের সময়টাকে তুলে আনে। থরে থরে সাজিয়ে রাখেন মনের গোপন সিন্দুকে; আড়ালে সযতনে।

সুপ্তির আর খাবার টেবিলে বসতে ইচ্ছে করছে না। একটা গোপন উত্তেজনা শরীর ও মনে ঢেউ তুলছে। ক্ষণেক্ষণে রঙ বদলে যাচ্ছে তার মুখের। শরীরের অঙ্গভঙ্গি ও চলনেও এসেছে খানিকটা পরিবর্তন। সুপ্তি মাকে সালাম করে বের হয়। পেছন পেছন হাঁটে আসগর সাহেব। মেয়ের সামনে চলা যাবেনা। আসগর সাহেব সুপ্তিকে সবসময়ই অগ্রগামী রাখে। হঠাৎ সুপ্তির ফোন বেজে উঠল। সুপ্তি কল রিসিভ করল-

-হ্যাঁ, উপল ভাইয়া। হ্যাঁ, হ্যাঁ- আমি বাসা থেকে বের হয়েছি। আরে না না। চিন্তা করবেন না। আমি ঠিকঠাক সামলে নিতে পারবো, ভাইয়া। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া।

আসগর সাহেব মেয়েকে রিক্সায় তুলে দিলেন। মেয়ে তার প্রেমিকের সাথে প্রথম দেখা করতে যাচ্ছে। বাবা হয়ে সকালে ভোরের ঘুম রেখে বেলিফুলের মালা কিনে আনা, মেয়েকে এগিয়ে দেয়া- এমন কাজ কি আর কোনো বাবা করেছে কিনা- আমার শতভাগ সন্দেহ আছে। আসলে আসগর সাহেব মেয়েকে অনেক অনেক বেশি ভালোবাসেন। রিক্সায় উঠতে উঠতে আসিফের কল।

-আরে বাবা, আসছি তো। মাত্র দশ মিনিট অপেক্ষা করেই বিরক্ত! সারাজীবন সহ্য করবে কিভাবে?

-আসলে বিরক্ত না। বলতে পারো তোমাকে প্রথম দেখার উত্তেজনা। একটু তাড়াতাড়ি আসো। আর অপেক্ষা করতে ভালো লাগছে না।

-আসছি তো। আর পনেরো মিনিটের মধ্যে আমি তোমার সামনে এসে দাঁড়াবো। ওকে জান, অপেক্ষা করো।

সুপ্তির রিক্সা ইনডেক্স প্লাজার সামনে এসে দাঁড়ায়। লোকজনের চাপ কিছুটা কম আজ। শহরতলীর মার্কেট হলেও ইনডেক্স প্লাজা বেশ অভিজাত। রাশভারী মুখের জমিদারের মুড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রধান সড়কের পাশে। প্লাজার গেইটে দাঁড়িয়ে উৎসুক চোখে তাকিয়ে আছে দুটো ছেলে। সুপ্তিকে দেখছে। পা থেকে মাথা পর্যন্ত। বারবার দেখছে। সুপ্তির বুঝতে বাকি রইলো না। এদের একজন আসিফ। সুপ্তি আসিফকে ছাই রঙের পাঞ্জাবি পরতে বলেছিল। কিন্তু পরেনি সে। তাই একটু কষ্ট হলো চিনতে। এই আরকি! একটা ছেলে সুপ্তির দিকে আসলো।

-হাই, আর ইউ সুপ্তি? আ’ম আসিফ।

- ইয়া, আ’ম সুপ্তি। 

সুপ্তির ঠোঁটে লাজুক হাসি। চোখটা নামিয়ে রাখে সে। আসিফ ডানহাত তার পেছন থেকে সামনে নিয়ে আসে। কয়েকটা লাল টকটকে গোলাপ। একদম তাজা। মনে হচ্ছে সবেমাত্র বাগান থেকে গোলাপগুলো তুলে আনা হয়েছে। সাথে একটা ছোট্ট গিফট বক্স। সুপ্তি হাত বাড়িয়ে নেয়। 

-থ্যাংকস অ্যা লট। চলো ভেতরে গিয়ে বসি। আমার পরিচিত একটা রেস্টুরেন্ট আছে এখানে। অনেক জার্নি করে এসেছো।

-আরে না। আমাকে নিয়ে এতো ভাবতে হবে না। আ’ম ওকে, ডিয়ার। চলো বাইরে ঘুরাঘুরি করি। তোমার শহরটা ঘুরে ঘুরে দেখব।

-আচ্ছা। ঠিক আছে। চলো আগে কিছু খেয়ে বের হই। আমারও খিদে পেয়েছে। 

-চলো।

ইনডেক্স প্লাজার ফোর্থ ফ্লোরে রেড চিলি একটা রেস্টুরেন্ট। বেশ নিরিবিলি। পরিপাটি পরিবেশ। খাবারের মানও বেশ ভালো। সুপ্তি, আসিফ ও আসিফের বন্ধু সাফিন রেস্টুরেন্টের পেছনের দিকটায় গিয়ে বসেছে। কয়েকজন বসে খাচ্ছে। সুপ্তি আঁড়চোখে কয়েকবার রেস্টুরেন্টে পরিচিত কেউ আছে কিনা দেখে নিল। কিছু খাবার অর্ডার করলো তারা। খাবার পরিবেশন করলো সুদর্শন একজন ওয়েটার। তিনজনে মিলে খাবারের সাথে টুকটাক আলাপও করছে। এখানকার খাবার একটু বেশিই সুস্বাদু। জিহ্বায় লেগে থাকে। খাওয়ার সময় আসিফ ও সুপ্তি একজন আরেকজনকে আড়চোখে দেখছে। বুঝা যাচ্ছে প্রথম দেখাতেই দু’জন দারুণভাবে রোমাঞ্চিত। আচমকা কিছু লোক সুপ্তিদেরকে ঘিরে ফেলে। আসিফ ও সাফিনের চোখেমুখে ভয়ানক আতঙ্ক। ডিবির পরিচয়পত্র দেখিয়ে সাদা পোশাকে কয়েকজন আসিফ ও সাফিনকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার, ওয়েটার, উপস্থিত খাদকেরা মুহূর্তের ঘটনায় ঝিম মেরে গেল। কারো মুখে কোনো কথা নেই। উপলও সুপ্তিকে নিজের গাড়িতে তুলে নিয়ে গেল। নরসিংদী সদর থানার অভিমুখে সবাইকে নিয়ে গাড়ি ইমার্জেন্সি হর্ণ বাজিয়ে দ্রুতবেগে ছুটছে।


২. 

সুপ্তি সবেমাত্র শায়ার ছেড়ে বের হয়েছে। এইদিকে সেই কখন থেকে আসগর সাহেব ও রুমিনা রহমান ড্রয়িংরুমে সুপ্তির জন্য অপেক্ষা করছে। আজকের সফল অভিযানের গল্পটা শোনার জন্য তারা অধীর আগ্রহে কান পেতে বসে আছেন। সুপ্তি মোবাইলে কথা বলতে বলতে ড্রয়িংরুমের দিকেই আসছে।

-জ্বী, জ্বী, উপল ভাইয়া। এখনই দেখাবে? আচ্ছা। আমি টিভির সামনেই আছি।

কোনোরকম প্রশ্ন না করেই আসগর সাহেব ও রুমিনা রহমানও টিভির স্ক্রিনের দিকে অপলক তাকিয়ে আছে। আমেনাও মুখ বাড়িয়ে দেখছে খবরটা। চ্যানেলে চ্যানেলে দেখাচ্ছে। শহরতলীর এক তরুণীর সাহসিকতার গল্প। টিভিতে দেখাচ্ছে সুচতুর আসিফ ও সাফিনকে। হাতকড়া পরা। পেছনে পুলিশের অভিযাত্রিক দল। প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ উপল চন্দ্র আচার্য্য। এই সফল অভিযানের জন্য সুপ্তিকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন উপল। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ‘সাহসিকা’ উপাধিও দিয়েছেন। গত বারোদিন আগে সুপ্তি তার বাসার কাজের বুয়া আমেনাকে সাথে নিয়ে থানায় গিয়েছিল। আমেনার সাথে ঘটা একটা ঘটনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে। একটা প্রতারক চক্র আমেনার কাছ থেকে কৌশলে বিকাশের মাধ্যমে বিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। অনেক কষ্টে তিলে তিলে জমানো তার চৌদ্দ হাজার টাকা এবং মুদি দোকানি রহিম মুন্সীর কাছ থেকে ছয় হাজার টাকা ধার করে মোট বিশ হাজার টাকা প্রতারকদের নাম্বারে বিকাশ করেছে। বিকাশ করার কিছুক্ষণ পর আমেনা বুঝতে পারে সে লোভের ফাঁদে পা  দিয়েছে। তার কান্নাকাটি আহাজারি শুনে সুপ্তি তাকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ নথিবদ্ধ করে। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে থানার প্রধানকর্তা উপল চন্দ্র আচার্য্য সুপ্তির কাছে সহযোগিতা চায়। পুলিশকর্তার পরিকল্পনা শুনে সুপ্তিও এই গোয়েন্দা অভিযানে সানন্দে রাজি হয়ে যায়। তারপর সুপ্তি আসিফকে প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে নেয়। আর সেই মায়ার জালেই আটক হয় দেশের কুখ্যাত প্রতারক চক্রের দুই সদস্য।

আসগর সাহেব সুপ্তির দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। মেয়েটা কত্তো বড় হয়ে গেছে! তারপর ধীর পায়ে মেয়ের কাছে এগিয়ে যান তিনি। মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। অনেকক্ষণ। বিজয়ের এই আনন্দ পর্বে এসে যোগ দেন রতœগর্ভা মা রুমিনা রহমান।

সুপ্তি আমেনাকে ইশারায় কাছে ডাকে এবং ধমক দিয়ে বলে

-আর এমন বোকামি করবা না, আপু। তুমি খুব সহজ সরল। সাবধানে থেকো। আর এই নাও- এই খামে দশ হাজার টাকার আছে। পুলিশ সুপার স্যার এটা আমাকে সাহসিকতার জন্য পুরষ্কৃত করেছেন। তুমি এই টাকা থেকে রহিম মুন্সীর পাওনা টাকাটা দিয়ে দিবে। কেমন? বাকি টাকায় একটা ব্যাংকে জমা রাখবে।

আমেনা ডান হাতে টাকার খামটা লুফে নিলো। কোনো কথা না বলেই রান্নাঘরের দিকে হেঁটে যায় আমেনা। কিছু দূর গিয়ে শাড়ির আঁচলটা টেনে সে দুই চোখ মুছে।


পলাশ,নরসিংদী। 



শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট