পদাবলি ০১

 




নতুন ভোরের অপেক্ষায়

শাহ জালাল শামীম 


পরিচিত মুখগুলোর অনেকে হারিয়ে গেছে

পেটের তাগিদে ছিটকে গেছে অনেক মেধাবী মুখ।


স্বামীর অত্যাচার মেনে নিয়ে গুমরে পড়ে থাকা মেয়েটির চোখ জ্বলছে।

সবাই ভাতের হোটেলে কাজ নিতে চায় কেন!


অনেকে ফিরতে পারে না

ইচ্ছে হলেই ফেরা যায় না।

বলা যায় না ভালো আছি

বলা যায় না ভালোবাসি!


তবুও চাই, নতুন ভোর আসুক।



বুকের বাঁ পাঁজর ভেঙে যায় 

রুদ্র সাহাদাৎ 


বুকের বাঁ পাঁজর ভেঙে যায় অজানা শঙ্কায়

পাখিদের গান শুনি না কোনোখানে 

ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক শুনি নৈঃশব্দ্যে অন্ধকার পথে

জোনাকিপোকাও অভিযোগে অভিমান করে আছে। 


আলীশান রোড়ের মোড়ে বসে থাকি 

হারিয়ে ফেলেছি সব স্মৃতি চিহ্ন। 


মানুষ জন্মসূত্রে নিজে নিজেই একা 

স্বার্থে অভিনয় মানুষে মানুষে দেখা। 


দম ফুরালে সবই শেষ 

সাড়ে তিন হাত মাটিতে নিঃশেষ 

বুকের বাঁ পাঁজর ভেঙে যায় অজানা শঙ্কায়

কখন কে আসে কখন কে যায়

হিসেব নেই জীবনপাঠে...



আফসার স্যার  

মিসির হাছনাইন


চোখ ভিজে গেছে নীরব দাঁড়িয়ে থাকা গাছদেরও কি এক গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে আছেন স্যার বুকটা ছিঁড়ে যাচ্ছে.. এতো এতো করে যে ডাকলাম মনে হল, এখনই চোখ খুলে তাকাবেন, সাদা কাপড়ের যে ফুল ঝরে পড়ে আছে ঠান্ডা হিম ঘরেথ কতটা প্রিয় সে চেনা হাসিমুখ দোল খায় হৃদয়ে হৃদয়ে  দূর আকাশের নক্ষত্রথ জীবন জানে কিনা জানি না! যে সান্নিধ্য কখনও মনে হবে না ফুরিয়ে গেছে আপনাকে হারিয়ে এই শরৎ ভাঙা সময়ে চলে যাবে দিন যদি কখনও নক্ষত্র জীবনের মানে বুঝতে পারি, দেখা  হবে নক্ষত্র জীবনে।



শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট