ধারাবাহিক উপন্যাস : জোসনারাতে জাগে আমার প্রাণ : পর্ব ০৫



জোসনারাতে জাগে আমার প্রাণ
আবুল কালাম আজাদ

[গত সংখ্যার পর]
বাবা ফ্লাস্ক থেকে চা ঢেলে খেতে লাগল। তখনই কাছে একটা টিট শব্দ শুনতে পেল। প্রথমে টিট। তারপর টিট-টিট। তারপর টিট-টিট-টিট। বাবা চারিপাশে তাকাল। দেখে, তার ডান পাশে ঝাকড়া এক গাছে পাতার আড়ালে বসে আছে খুব ছোট একটা পাখি। বসে আছে ঠিক নয়, একটু একটু লাফাচ্ছে, আর টিট-টিট-টিট ডাকছে। পাখিটা খুবই সুন্দর। উজ্জ্বল এবং চকচকে নীল রঙের পালক। লম্বা বাঁকানো আর সুঁচালো ঠোঁট। ঠোঁটের রঙ কুচকুচে কালো।
নাম কী পাখিটার? টুনটুনি না মৌটুসি? এত ছোট আকারের পাখি। পাখি বিশারদরা বলতে পারবে। বাবা মনে মনে বলল, নাম দিয়ে কাজ কী? পাখিটা সুন্দর। তাকে দেখ। তার গান মিষ্টি। তা শোনো। মানুষের গান শুনলে তার নাম জানার দরকার হয়। কারণ, তার সিডি বা ক্যাসেট বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। পাখির কোনো সিডি-ক্যাসেট নেই। তাই তার নাম জানারও দরকার নেই। রবীন্দ্রনাথের গান না শুনে আজ পাখিন্দ্রনাথের গানই শোনা যাক। বাবা বলল, গা বাবা, মনের সুখে গলা ছেড়ে গা।
বাবা পাখিন্দ্রনাথকে ‘বাবা’ বলে সম্বোধন করল। সে তো মা-ও হতে পারে। না তা পারে না। বাবা জানে যে, সাধারণত ছেলে পাখিরাই গান করে, মেয়ে পাখিরা গান করে না। আবার দেখতেও ছেলে পাখিরাই বেশি সুন্দর। অথচ মানুষের মধ্যে পুরুষের রূপের কোনো কদর নেই বললেই চলে। সব কবি-লেখকই সারা জীবনভর শুধু মেয়েদের রূপের গুণ-গান লিখে যায়।
পাখির স্বর উঠে গেছে সপ্তমে, এবং একটানা হয়ে গেছে। বাবা গান শুনতে শুনতে দুই কাপ চা খেয়ে ফেলেছেন। হঠাৎ আরেকটি পাখি এল। এই পাখিটার গায়ের রঙ উজ্জ্বল বাদামী আর হালকা সবুজের মিশেল। পাখিটা এসে সংগীতরত পাখিটার পাশে বসল। বসা মাত্র শিল্পী তার গান থামিয়ে দিল। তারপর দু’টি পাখি ফুড়–ৎ করে উড়াল দিয়ে কোথায় যেন চলে গেল।  
এক ঘন্টা পার হয়ে গেছে। মাত্র দুই কাপ চা খেতে এক ঘন্টা চলে গেল? পরে বাবা বুঝল, সে দুই কাপ চা খায়নি। খেয়েছে কম করে হলেও আট কাপ। কারণ, সে তো কাপে করে চা খায়নি। চা খেয়েছে ফ্লাস্কের ঢাকনায়। ফ্লাস্কের সাইজ সর্বোচ্চ মাপের। তার ঢাকনাটাও তাই। সেটায় কম করে হলেও স্বাভাবিক কাপের চার কাপ চা ধরবে। খালি পেটে আট কাপ চা খেয়েছে, এ কথা ভাবতেই বাবার পেটের মধ্যে মোচর দিয়ে উঠল। সে হয়তো বমি করে ফেলবে।
তখন দেখল, হাসান আর অন্তর আসছে। হাসানের দিকে তাকিয়ে বাবার বমি পেটের ভেতর চলে গেল, অথবা বাবা বমির কথা ভুলে গেল। তার হাসি পেল খুব। গ্রামের মেয়েরা কলসি কাখে পানি আনে। তাদের কলসি থেকে সলাৎ সলাৎ করে পানি পড়ে যায়। হাসান পানি আনছে কাঁধে করে। তার কলসি থেকেও সলাৎ সলাৎ করে পানি পড়ে তার শরীরের বাম পাশটা ভিজে গেছে। অন্তরের কাঁধেও একটা ব্যাগ। সে ব্যাগে কী আছে বাবা তা বুঝতে পারল না।
হাসান বলল, স্যার, পানি আনার জন্য তো কিছু নেইনি। শেষে এক বাড়ি থেকে এই কলসটা দিল।
কলসটা কি আবার ফেরত দিতে হবে?
না, এটার দাম বারো টাকা। আমি তাদের পনেরো টাকা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা নিল না, এমনিই দিল।
সাহিত্যে এমনিই গ্রামের মানুষদের উদার বলে না?
স্যার, এবার নাস্তা শুরু করা যাক। খুব ক্ষিধে পেয়েছে।
সিওর সিওর। তুমি তো তোমার জামা-প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলেছো। বদলাবার মত তো কিছু নেই। ভেজা কাপড়ে......।
তাতে কোনো সমস্যা নেই স্যার। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুকিয়ে যাবে। ওহো......!
এই বলে হাসান পকেটে হাত দিয়ে কিছু টাকা আর দু’টো কাগজ বের করল। সেগুলো গাড়ির সামনে সার বেঁধে শুকাতে দিল। বাতাসে যাতে উড়ে না যায় এ জন্য সবগুলোর উপরে একটা করে ইটের টুকরো বসিয়ে দিল।
নাস্তা খেতে খেতে বাবা বলল, হাসান, কাগজগুলো কি খুব দরকারি?
না স্যার, আমার ছোট ভাইয়ের চিঠি।
তোমার ছোট ভাই কত বড়?
বলেছিতো, অন্তরের সাথেই পড়ে। ওদের রেজাল্ট গত সপ্তাহে হয়ে গেছে। সেই রেজাল্টের কথাই লিখেছে।
ওদের রেজাল্ট আগেই হয়ে গেছে?
জি।
আরেকটা কাগজ কিসের?
সেটায় আমি চিঠির উত্তর লিখেছিলাম।
এই সেলফোনের যুগে চিঠি চালাচালি?
আমার ভাইটা চিঠি লিখতে পছন্দ করে। ও মনে করে, যে কথা মুখে বলা যায় না, সে কথা অনায়াসে চিঠিতে লেখা যায়।
বাবা পুডিং-এর বাক্সটা খুলল। বাবা কিছুটা পুডিং নিজের প্লেটে নিয়ে বাক্সটা বাড়িয়ে দিল হাসানের দিকে। বলল, তোমার ভাইয়ের রেজাল্ট কেমন হয়েছে?
অংক আর বিজ্ঞানে ফেল করেছে। আর সব বিষয়ে হাইয়েস্ট মার্কস পেয়েছে।
বাবা ঝট করে তাকাল হাসানের মুখে, অন্তরও। এমন অদ্ভূত কথা তারা কখনো শোনেনি। কিন্তু হাসানের মুখে তাকিয়ে বোঝা গেল না যে, সে অদ্ভূত কিছু বলেছে। সে খুব স্বাভাবিক। বাবা বলল, তুমি উত্তরে কী লিখেছো?
লিখেছি-তুই যে এত ভাল করবি আমি তা ভাবতে পারিনি। তোর ওপর আমি খুব খুশি হয়েছি। আগামি মাসের বেতন পেয়ে আমি তোর জন্য একটা উপহার পাঠিয়ে দেব। তবে তোকে তো এবার প্রমোশন দেবে না। তুই অংক আর বিজ্ঞানের দিকে একটু মন দে’। যদিও আমি বাংলা পড়েছি, অংক-বিজ্ঞান ভাল বুঝি না, তবু আমার মনে হয়, এ দু’টো খুব সহজ বিষয়। আইনিস্টাইনের মত একজন অটিস্টিক মানুষ........।
তোমার কি মনে হয়, সত্যি আইনস্টাইন অটিস্টিক ছিলেন?
সব বড় মানুষই সাধারণের কাছে অটিস্টিক। মানুষ যত বড় তার আচরণ তত অটিস্টিক।
তাহলে তুমি এ কথা লিখলে কেন?
একটু সাহস দিতে। অংক-বিজ্ঞানের ব্যাপারে আমার ভাইয়ের মনে একটু সাহস দরকার।
নাস্তা শেষে বাবা পানি খেতে গেল। তখন অন্তর বলল, বাবা, পানির উৎস জানো?
কূপ না নলকূপ?
এর একটাও না।
তাহলে?
কচুরিপানা ঢাকা পুকুরের পানি।
বলিস কী! পুকুরের পানি আনলি কেন?
কূপ বা নলকূপ পাওয়া গেল না। এখানকার মানুষগুলো খুবই গরিব। মাটির ঘর, মাটির হাঁড়ি-পাতিল, মাটির থালা-বাসন। ঘরে বিশেষ কোনো আসবাব নেই। তারা নলকূপের কথা ভাবতেই পারে না। একটা এলাকার সবাই এমন গরিব আমি তা আগে ভাবতে পারিনি।
বাড়তি অভিজ্ঞতা। তোর গল্পের মোড় ঘুরে যেতে পারে। কী ধরনের গল্প লিখতে বসেছিলি?
সায়েন্স ফিকশান।
সায়েন্স ফিকশান এবার শুধুই ফিকশান হয়ে যেতে পারে। আচ্ছা, পানিটা কি খুব নোংড়া? শ্যাওলা-ট্যাওলা ভাসছিল?
না বাবা, যে অংশটা তারা ঘাট হিসেবে ব্যবহার করে সে অংশের পানি খুবই পরিস্কাার-একেবারে স্বচ্ছ-টলটলে।
স্বচ্ছ পানিকে কিসের সঙ্গে তুলনা করা হয় যেন?
জানি না বাবা।
হাসান, তুমি জানো?
হাসান তখন ঢকঢক করে পানি গিলছে। এক নিঃশ্বাসে এক বাটি পানি গিলে বলল, কাকের চোখের সঙ্গে তুলনা করা হয়। বলা হয় কাক-চক্ষু জল।
দেখেছিস অন্তর, সাথে বাংলায় মাস্টার্স থাকলে কত কিছু জানা যায়। এই পানি পান করতে আমার কোনো সমস্যা নেই। কবিতাটা মনে আছে-
আসমানিদের বাড়ির পাশে পদ্ম পুকুর ভরে
ব্যাঙের ছানা-শ্যাওলা পানা কিলবিল বিল করে
মশক সেথা ম্যালেরিয়ার বিষ গুলিয়ে জলে
সেই জলেতে আসমানিদের নাওয়া-খাওয়া চলে।
সেই পানি খেয়ে আসমানি বেঁচে ছিল নব্বই বছর। আর আমরা ফুটিয়ে, ফিল্টার করে পানি খেয়েও পঞ্চাশ বছর বাঁচলে.....।
নাস্তা শেষে হাসান আর অন্তর বাটিতে ঢেলে চা খেল। বাবা আগে আট কাপ খেয়েছে বলে আর খেলেন না। বাবা বলল, অন্তর, তোর কাছেও তো একটা ব্যাগ দেখলাম?
যে বাড়ি থেকে পানি এনেছি তারা বড়ই দিয়ে দিল।
বড়ই তো এখন পাকার কথা না।
আধা পাকা।
আধা পাকা বড়ই লবন দিয়ে খেতে খুব মজা। দেখিস, তোর মা হলুদ-লবন-মরিচ মিশিয়ে তেলের মধ্যে ভিজিয়ে আচার বানিয়ে ফেলবে।
মা’র কথা আসতেই বাবার মোবাইলে ম্যাসেজ এল।বাবা বলল, তোর মা ম্যাসেজ পাঠিয়েছে।
কী লিখেছে?
পড়ে শোনাচ্ছি-তোমার ছেলে এবারও ফার্স্ট হয়েছে। ছেলের নাম ডেকে ডেকে হেডমাস্টর অস্থির। আমি যখন প্রগেস রিপোর্ট আনতে গেলাম হেডমাস্টর বললেন-ফার্স্ট বয় কোথায়? আমি বললাম, বাপের সঙ্গে জঙ্গলে বেড়াতে গেছে। তিনি অবাক হয়ে বললেন-রেজাল্টের দিন জঙ্গলে? কি আশ্চার্য! এখন বিজয় স্তম্ভে কে উঠবে? দুই পাশে দুই জন উঠবে, আর মাঝের স্তম্ভটা খালি থাকবে? তাহলে ছেলের হয়ে আপনি উঠুন। শেষে সেকেন্ড বয় আবীর আর থার্ড বয় চঞ্চলের কাঁধে ভর দিয়ে আমি উঠলাম।
মেসেজ পড়া শেষ হলে বাবা বলল, খুব খুশি হয়েছিস?
না বাবা।
ফার্স্ট হয়েছিস অথচ খুশি হোসনি?
আমি  চেয়েছিলাম সেকেন্ড হতে। চেয়েছিলাম আবীর ফার্স্ট হোক। ও খুব গরিবের ছেলে। খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করে।
ওকে তোর পথ করে দিতে হবে না। ও সংগ্রামী ছেলে, নিজের পথ নিজেই তৈরী করে নেবে। তুই বৈঠা ঠিক মত চালাস। এতটুকু গাফলতি হলে ও কিন্তু তোকে ফেলে চলে যাবে। তখন ওকে ধরতে তোর জিহ্বা বের হয়ে যাবে তিন হাত।
তারপর বাবা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। দীর্ঘশ্বাস ফেলার মত এখানে কিছু হয়নি। তারপরও বাবা বলে কথা। অন্তর বাবার মুখে তাকাল দীর্ঘশ্বাসের কারণ জানতে। বাবা বলল, রবীন্দ্রনাথ শালবনে ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে গিয়ে নবেল প্রাইজ প্রাপ্তির খবর পেয়েছিলেন। আর তুই বাপকে নিয়ে গজারি বনে বেড়াতে এসে পেলি ফার্স্ট হওয়ার খবর। আমার আর রবীন্দ্রনাথের ছেলে রথীন্দ্রনাথের ভাগ্য চিরকালই ঘোলা জলের ডোবা। বড় রকমের ইতিহাস ধরে না সেখানে। এই খবরের পর তোর মুখে একটু মিষ্টি দিতে পারলে ভাল হত। কিন্তু এখন মিষ্টি কোথায় পাব?
হাসান বলল, স্যার, আমার কাছে এক ধরনের চুইংগাম আছে, নাম সেন্টার শক। সেটা মুখে দেবার পর ভীষণ টক। একটু পর ভীষণ মিষ্টি।
তাহলে একটা চুইংগাম ঢুকিয়ে দাও ওর মুখে।
অন্তর চুইংগাম মুখে দিয়ে মুখটা বিকট করে চোখ বন্ধ করে রইল।

(৪)
বনের ভেতর ঘুরতে অন্তরের ভাল লাগছিল। ছায়া ঢাকা পথ। পায়ের নিচে শুকনো পাতার মচমচ শব্দ। মাঝে মাঝে লতাগুল্মের ঝোপঝাড়। তবে পাখি বা প্রাণীর দেখা মিললে আরও ভাল লাগতো। বন অথচ সেখানে পাখি বা প্রাণী থাকবে না তা কেমন করে হয়? হাঁটতে হাঁটতে বাবা বলল, অন্তর, তোর মা যদি জিজ্ঞেস করে কী দেখলি তাহলে কী বলবি?
বলবো গাছ দেখেছি। লম্বা লম্বা গজারি গাছ শক্ত লাল রঙের মাটির মধ্যে পা দাবিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। লতাগুল্মের ঝোপঝাড় দেখেছি।
বনে তো গাছ আর ঝোপঝাড়ই দেখবি। এসব না থাকলে বন হবে কেন? শেয়াল, খাটাশ, বাগডাস, গুইসাপ এসব বলার মত জিনিস। সুন্দর কিছু পাখি-টাখি দেখা গেলেও বলা যেত।
প্রাকৃতিক দৃশ্যের বর্ণনা দিব। সবুজ বন, বনের কোল ঘেষে কৃষকের ফসলী জমি, তারপর গ্রাম। আমি যে গ্রামে ঢুকেছিলাম তাও বলবো। তাদের ঘরবাড়ি, জীবন-যাপন বলবো।
বাহ! তাহলে তোর মধ্যে প্রকৃতি ধরার ক্ষমতা আছে। লেখক না! এ বিষয়ে আমি একটা কৌতুক জানি, বলবো?
বলো বাবা।
হাসান কী বলো, বলবো?
হাসান বলল, বলুন স্যার। বনে হাঁটতে হাঁটতে বন বিষয়ক কৌতুক ভাল লাগবে।
আমি কিন্তু রস মাখিয়ে বলতে পরবো না। আমার মুখে রস কম।
আমরা রস মাখিয়ে শুনে নেব। কী বলো অন্তর, তুমি রস মাখিয়ে কৌতুক শুনতে জানো না?
অন্তর তা জানে না। সে জানে কৌতুক যদি রসের হয়, বলার ঢঙটা যদি সুন্দর হয় তাহলে শুনে হাসি পাবে। কৌতুক রসের না হলে শোনার সময় রস মাখানো সম্ভব না। সে বলল, না, আমি রস মাখিয়ে কৌতুক শুনতে জানি না।
বলো কী? ব্যাপারটা খুব সহজ। কৌতুক শোনার সময় ঠোঁটের কোণে অল্প একটু হাসির রেখা টেনে যে কৌতুক বলবে তার মুখে তাকিয়ে থাকবে। তাহলে সে নার্ভাস হবে না, বলতে উৎসাহ পাবে, তার মুখে রস আসবে।
অন্তর বলল, বাবা, তুমি কৌতুক বলতে শুরু করো। আমি মুখে হাসির রেখা টেনে তোমার দিকে তাকিয়ে রইলাম।
বাবা শুরু করল, এক লোক অনেকের সাথে গিয়েছিল বনের ভেতর পিকনিকে। সে ফিরে এলে.......ফিরে এলে......ফিরে এলে......তোরা এমনভাবে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছিস যে, আমার খুব নার্ভাসবোধ হচ্ছে। তোরা অন্য দিকে তাকা।
অন্তর অবাক হয়ে বলল, হাসান আঙ্কেল, আপনার থিওরী যে উল্টো ফল দিল?
কোনো কোনো থিওরী কারও কারও ক্ষেত্রে উল্টো হতে পারে। আচ্ছা, স্যার আমরা অন্যদিকে তাকালাম, আপনি বলুন।
তো সে পিকনিক থেকে ফিরলে তার বন্ধুরা বলল-কিরে, প্রাকৃতিক দৃশ্য কেমন দেখলি? সে বলল-আর বলিস না, গাছপালার জন্য কোনো দৃশ্যই দেখতে পারলাম না। [ক্রমশ...]


শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট