পদাবলি



রেশমী চুল
সিত্তুল মুনা সিদ্দিকা 

কার্নিশে বেয়ে ওঠা মাধবী লতার লাল গোলাপী ফুলের
মাতাল করা গন্ধ ছড়ালো চারিদিক।
পুড়ছে কানন আজ মধ্য গগনের অগ্নিঝরা রোদে।
 খুব চেনা ঐ শুকনো মাটির গন্ধে লাগে নাকে
চোখ জ্বালা করে রবির দহনে
তবুও চুপকরে জানালায় বসে চেয়ে দেখতে দেখতে ব্যথাতুর
এই মন হায়ায় অলক্ষ্যে আপন সীমানা এড়িয়ে বহুদূর
দূরের গাঁয়ের শ্যামল টানে,
যেখানে হেলে দুলে গ্রাম্য বালিকা চলছে বাড়ির পথে,
ওর পটলচেরা চোখের চাহনিতে আছে অজানা এক বিস্ময়,
হেঁটে যেতে যেতে পুকুর পাড়ে পা ডুবিয়ে
শাপলার পাতা সরিয়ে ফুল তোলে আপন মনে,
পথের ক্লান্তি এড়াতে বট বৃক্ষের ছায়া খোঁজে।
মধ্য দিবসের তাপদাহ বেড়েই চলছে তখনো,
হঠাৎ বেহিসেবি উত্তরী বাতাস এসে এলোমেলো করে
তার দীঘল কালো রেশমী চুল!


আমি ধার্মিক হইনি
রাফাতুল ইসলাম আরাফাত

এই পথে জীবন ফুরিয়েছে
পথের দু’পাশে অশোকের সারি
ঠিক জীবনের মতো-
জীবন নয়।

এক হাতে রাইফেল,
আরেক হাতে বাইবেল।
ভালোবাসা এক মহান ধর্ম-
আমি প্রেমিক হতে গিয়ে ধার্মিক হইনি।


মনের অলি
দিপংকর দাশ

ঝরণা হয়ে পাহাড় বেয়ে শীতল করো বক্ষ,
রুক্ষ হৃদয় খুব মরুময় খোলা মনের কক্ষ।

তপ্ত দুপুর বাজে নূপুর বিষ মনে হয় বাঁশি,
চুপিসারে ডুব সাঁতাওে উঁকি দাও গো আসি।

দেখলে চাঁদমুখ ভুলে সব দুখ হাসবো পরাণ খুলে,
নীল পাহাড়ে রং বাহারে পুষ্প যেমন ঝুলে।

গুনগুনিয়ে মধু নিয়ে সাজো মনের অলি,
তোমার পাখায় ভালোবাসায় মনের কথা বলি।

আঁধার কালোয় মৃদু আলোয় জোনাক আলো তুমি,
ধন্য হবো সুখে রবো তোমার ললাট চুমি।



অন্তিম চাওয়া
রুহুল আমিন রাকিব

ঝলসে যাওয়া মাংস বলে কথা;
আহ্লাদী মন নিয়ে তুমি চিবিয়ে খাও।
নাহ আমি বাঁধা দিব না, যতো খুশি
ইচ্ছে মতো হামলে পড়ো আমার ঝলসে যাওয়া দেহের উপর।
একটু একটু করে চুশে খাও আমার শরীরের সমস্ত রক্ত!
প্রয়োজন শেষে, দাফন করিও তোমার বুকের শহর জুড়ে
ভালোবাসার আগুনে ঝলসে যাওয়া দেহের এইতো অন্তিম চাওয়া।





এক পশলা বৃষ্টির জন্য
ফারুক মোহাম্মদ ওমর

সেই কবে থেকে দাঁড়িয়ে আছি
বাঁধভাঙ্গা ইতিহাসকে আলিঙ্গন করে,
নিদ্রাহীন এক পশলা বৃষ্টির জন্য

বজ্রসঙ্কেত সারা আকাশ জুড়ে
আমি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছি তোমার আঙ্গিনায়।

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট