ধারাবাহিক উপন্যাস : জোসনা রাতে জাগে আমার প্রাণ : পর্ব ০৩



জোসনা রাতে জাগে আমার প্রাণ
আবুল কালাম আজাদ

[গত সংখ্যার পর]
পরদিন খুব ভোরেই অন্তর প্রস্তুত হয়ে গেল। বাবাও প্রস্তুত।
মা’র মুখ মলিন। অভিমানে রাঙা। অভিমানটা বাবার ওপর। তারপরও সবকিছু বেঁধে-টেধে দিল। বড় একটা ব্যাগে শুধু খাবার। ভাত-রুটি-মাংস-সবজি-গুড়-মুড়ি-ফল আরও কত কি। কাপড়-চোপড়ের জন্য আরও দু’টি ব্যাগ। অন্তর বুঝতে পারছিল না যে, এত ব্যাগ বহন করবে কে। বাবা নিশ্চয় তার কাঁধেও দু/একটা তুলে দেবেন। এরকম ব্যাগ কাঁধে করে বন ভ্রমণ আনন্দের হবে?
নিচে নেমে অন্তর তাজ্জব বনে গেল। মা নিচ পর্যন্ত এগিয়ে দিতে এসেছিল। তার বিস্ময়ও সীমা ছাড়িয়ে গেল। নিচে নীল রঙের একটা প্রাইভেট কার দাঁড়িয়ে। গাড়ি থেকে ড্রাইভার বের হয়ে বাবাকে স্যালুট করার মত করে সালাম ঠুকল। মা বলল, গাড়ি কোথা থেকে?
বাবা বলল, আমার বন্ধু মঞ্জুর আহসানের কাছ থেকে। সেবার অন্তরের জন্ম দিনের অনুষ্ঠানে এসেছিল না?
তুমি বন্ধুর কাছে গাড়ি ধার চাইতে গেলে? মানুষ তো পায়ে হেঁটেও বিশ্ব ভ্রমণ করে।
আমি ধার চাইনি। ছেলেকে নিয়ে বন ভ্রমনে যাচ্ছি শুনে সে নিজে থেকেই গাড়ি পাঠাতে চাইল।
আর তুমি নিতে রাজি হয়ে গেলে?
না, আমি বলেছি-দরকার নেই। এতটুক পথ পাবলিক বাসেই যেতে ভালো লাগবে। কিন্তু সে আমার নিষেধ শুনল না। আর এ নিয়ে এত মাথা ঘামানোরও কিছু নেই। একটু সাহায্য-সহযোগিতা না পেলে আবার বন্ধু কিসের?
ড্রাইভার বাবার কথায় মাথা ঝাঁকিয়ে বলল, জি স্যার, জি স্যার।
 গাড়ি ছুটে চলছে গাজিপুরের দিকে। বাবা কি একটা ম্যাগাজিন বের করে তার পাতা উল্টাতে শুরু করল। অন্তরের মনে নানা প্রশ্ন। চন্দ্রা পৌছুতে কত সময় লাগবে? বনটা কি খুব বড়? শুধু কি গাজারি গাছ, নাকি অন্য কোনো গাছও আছে? সেখানে কী ধরনের পশু-পাখি আছে? হিংস্র প্রাণী আছে কি না।
বাবা ম্যাগাজিন থেকে চোখ ফিরিয়ে বলল, সকাল সকাল রওয়ানা হয়ে খুব ভাল করেছি, তাই না?
ড্রাইভার বলল, জি স্যার, জি স্যার।
নাহলে মহাখালি পৌছুতেই এক ঘন্টা বসে থাকতে হত।
জি স্যার, জি স্যার।
আমার মনে হয় এদেশের ট্রাফিক জ্যাম সমস্যা কখনো দূর হবে না। উড়াল সেতু দিয়ে দেশ ঢেকে ফেললেও না।
জি স্যার, জি স্যার।
দূর হবে কী করে, যারা দূর করবে তাদের সদিচ্ছা থাকতে হবে তো।
জি স্যার, জি স্যার।
আমার মনে হয়, যেদিন এদেশের দুর্নীতি দূর হবে, মানুষ সবাই সৎ হবে সেদিন আপনা থেকেই সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
জি স্যার, জি স্যার।
আমাদের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীদের বিশেষ ব্যবস্থায় রাস্তা খালি করে না নিয়ে যদি একদিন জ্যাম ঠেলে কোথাও নেয়া যেত তাহলে তারা বুঝতেন সাধারণ মানুষের কষ্ট।
জি স্যার, জি স্যার।
সেদিন পত্রিকায় একটা কলামে দেখলাম কলামিস্ট লিখেছেন, এ দেশের রাজনীতিবিদরা জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করে না, তারা রাজনীতি করে আপন স্বার্থে।
জি স্যার, জি স্যার।
বাবা যে কোনো প্রসঙ্গে কথা বলতে বলতে রাজনীতিতে গিয়ে ঠেকে। এ দেশের রাজনীতি ও রাজনীতিকদের ওপর বাবার বিরক্তি চরম।
অন্তর দেখল, এ এক মহাসমস্যা। হয়ত সারা পথই বাবা একটা করে মন্তব্য করবে আর ড্রাইভার ‘জি স্যার-জি স্যার’ বলে যাবে।
অন্তর ড্রাইভারকে বলল, আঙ্কেল, আপনি কি বাবার সব কথায়ই এভাবে ‘জি স্যার-জি স্যার’ করে যাবেন?
নাহ! তা করবো কেন? যেখানে ‘না স্যার-না স্যার’ করার দরকার হবে সেখানে ‘না স্যার-না স্যার’ করব।
ধন্যবাদ আপনাকে।
বাবা আবার ম্যাগাজিন খুলল। বাবার এ ব্যাপারটাও অন্তরের ভাল লাগছে না। সে বাবার সাথে বেড়াতে বের হয়েছে। একটু গল্প-গুজব হবে অথচ.....।
হঠাৎ বাবা বলল, বিভূতিভূষনের পথের পাঁচালীর অপু বাবার সাথে সর্ব প্রথম গ্রামের বাইরে পা দিয়েছিল গরুর গাড়িতে করে, আর তুই সর্বপ্রথম বাবার সাথে ঢাকার বাইরে পা দিচ্ছিস মোটর গাড়িতে করে।
বাবার কিছু কথাবার্তা অন্তরের কাছে খুবই অদ্ভূত লাগে। অন্তর বলল, আমি বুঝি এই প্রথম ঢাকার বাইরে পা দিচ্ছি? এর আগেও তো কত জায়গায় বেড়াতে গেছি।
তখন তো তোর মা সাথে ছিল। এবারই শুধু বাবার সাথে বনবিহারের উদ্দেশ্যে.......।
তাই বলো।  
ড্রাইভার বলল, স্যার, একটা জায়গায় ভুল হয়েছে।
কোথায়?
অপু কিন্তু বাবার সাথে গরুর গাড়িতে গ্রামের বাইরে যায়নি, গিয়েছিল পায়ে হেঁটে।
তুমি পথের পাঁচালী পড়েছো?
জি স্যার। বইটা আমার প্রায় মুখস্তের মত। অপু জন্মিয়া অবধি কোথাও কখনো যায় নাই। এ গাঁয়েরই বকুল তলা, গোঁসাইবাগান, চালতে তলা, নদীর ধার, বড় জোর নবাবগঞ্জ যাইবার পাকা সড়ক এই পর্যন্ত তাহার দৌড়। মাঝে মাঝে বৈশাখ কি জৈষ্ঠ্য মাসে খুব গরম পড়িলে বৈকালে দিদির সঙ্গে নদীর ঘাটে গিয়া দাঁড়াইয়া থাকিত। দিদি ঘাট হইতে উঠিলে অপু আঙুল দিয়া ঘাটের ওপাড়ের ঝাউ গাছটা দেখাইয়া বলিত-দিদি, ঐ যে ঐ গাছটার পেছনে অনেক দূর, তাই না? দিদি হাসিয়া বলিত-অনেক দূর তাই দেখাচ্ছিলি? ধুর, তুই একটা বোকা। আজ সেই অপু সর্ব প্রথম গ্রামের বাহিরে পা দিল। কয়েকদিন আগে হইতেই উৎসাহে তার রাত্রিতে ঘুম হওয়া দায় হইয়া পড়িয়াছিল। দিন গণিতে গণিতে অবশেষে যাইবার দিন আসিয়া গেল।
তাহাদের গ্রামের পথটি বাঁকিয়া নবাবগঞ্জের সড়ককে ডাইনে ফেলিয়া মাঠের বাহিরে আষাড়–-দুর্গাপুরের কাঁচা রাস্তার সঙ্গে মিশিয়াছে। দুর্গাপুরের রাস্তায় উঠিয়াই সে বাবাকে বলিল-বাবা, যেখান দিয়ে রেল যায়, সেই রেলের রাস্তা কোন দিকে?
বাবা ড্রাইভারকে থামিয়ে বললন, থাক আর বলতে হবে না। তুমি কি তাঁর এই একটা উপন্যাসই পড়েছো না আরও.........?
বিভূতিভূষনের প্রায় সব উপন্যাসই আমার মুখস্তের মত। আরণ্যক থেকে বলবো?
না, বলতে হবে না। বিভূতিভূষনের বাইরে......?
বাংলা সাহিত্যের প্রায় সবাইকেই আমার পড়া। বিশ্বসাহিত্যের অনেককেও। আলবেয়ার কাম্যু, গ্রন্টার গ্রাস, হোসে সারামাগো, গী দ্যা মোঁপাসা, অরুন্ধতী রায় আরও অনেককে আমি পড়েছি এবং পড়ছি। কাম্যু’র ‘আউট সাইডার’ আর অরুন্ধতী রায়ের ‘গড অব স্মল থিঙ্কস’ আমার সবচেয়ে প্রিয় উপন্যাস। বর্তমান শতাব্দীতে সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখক কে জানেন স্যার?
কে?
ফ্রানৎস কাফকা। একশ’জন নবেল পুরস্কার বিজয়ীর বত্রিশজনই স্বীকার করেছেন যে, তাঁরা সরাসরি কাফকার দ্বারা প্রভাবিত। অথচ......।
অথচ কী?
অথচ কাফকা তাঁর বিয়াল্লিশ বছরের জীবনে লিখেছেন মাত্র চল্লিশটা গল্প, তিন/চারটা অসম্পূর্ণ উপন্যাস এবং কিছু চিঠিপত্র ও ডায়েরিতে কিছু নোট।
তোমার লেখাপড়া কতদূর?
বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স।
বাবা নড়েচড়ে বসল। অন্তরও বিস্ময় নিয়ে তাকাচ্ছে একবার বাবার মুখে, একবার ড্রাইভারের মুখে। না, ড্রাইভারের মুখ দেখা যাচ্ছে না। অন্তর তাকাচ্ছে ড্রাইভারের পিঠে। ড্রাইভারের পিঠটাই অন্তরের কাছে মুখ হয়ে উঠেছে।
বাবা বললন, বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স হয়ে তুমি ড্রাইভারের চাকরি করছো!
স্যার, সেই কৌতুকটা শুনেছেন?
কোন কৌতুক?
এক বাংলায় মাস্টার্স চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েছিল একটা চাকরির জন্য। নিয়োগকর্তা বলল-আমাদের গরিলার খাঁচাটা শূন্য আছে, কারণ গত মাসে গরিলাটার মৃত্যু হয়েছে। তুমি যদি গরিলা সেজে সেই খাঁচায় থেকে মানুষকে আনন্দ দিতে পার, তাহলে ভাল বেতন পাবে। নিয়োগকর্তা যে বেতনের কথা বলল, বাংলায় মাস্টার্সের জন্য বেতনটা মন্দ নয়। সে চাকরিটা নিয়ে নিল। গরিলার খাঁচার পাশের খাঁচাটা সিংহের। মাঝের যে রেলিং-এর পার্টিশন তার উপরের অংশ ফাঁকা। সে গরিলা সেজে দর্শনার্থীদের ভালই মজা দিতে শুরু করল। সারাদিন রেলিং ধরে লাফায়। কখনো উপরে উঠে সিংহকে  উত্যোক্ত করে। সিংহ বিরক্ত হয়ে তার দিকে তেড়ে এলে সে লাফ দিয়ে নিজের খাঁচায় চলে আসে। দর্শকরা এই ব্যাপারটাতেই বেশি মজা পায়। একবার সে সিংহের লেজ ধরে টান দিয়ে দ্রুত রেলিং বেয়ে উঠতে গিয়ে হাত ফসকে সিংহের খাঁচায় পড়ে গেল। পরে গিয়ে তো তার আত্মারাম খাঁচা ছাড়। জীবনের মায়ায় সিংহের খাঁচার মধ্যে প্রাণপণে দৌড়াতে লাগলো। সিংহও ছুটছে তার পিছে পিছে। এক সময় ভয়ে সে চিৎকার করে উঠল। উপস্থিত দর্শকরা তো হতবাক। গরিলা ঠিক মানুষের মত বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করছে কিভাবে? পেছন থেকে সিংহ ফিসফিস করে বলল-থাম বেটা, আমিও বাংলায় মাস্টার্স। চিৎকার করে নিজের চাকরি তো খেয়েছিসই, আমারটাও খাবি।
কৌতুকটায় অন্তর খুব মজা পেল। সে ফিক করে হেসে দিয়ে বাবার মুখে তাকাল। দেখল বাবার মুখে হাসি নেই। বাবার মুখ বিমর্ষ। ড্রাইভার যেন খুব দুঃখের কিছু বলেছে। এই  হল বাবা।
বাবা বলল, তোমার আর কে আছে?
বাবা আছেন, মা আছেন-অসুস্থ-বিছানায় শোয়া। একটা ভাই আছে। একটা বোন আছে।
ছোট ভাই-বোন লেখাপড়া করছে?
ভাইটা এবার এবার এইটে উঠবে। বোনও এইটে, তার থাকার কথা ছিল টেন-এ।
দুই বছর লস হল কেন?
স্যার, আপনি ছেলেকে নিয়ে বন ভ্রমনে যাচ্ছেন। এখন আনন্দে থাকার সময়, দরিদ্র মানুষের দুঃখের কাহিনী শোনার সময় এটা না।
আনন্দ করবো বনে গিয়ে। এখন গাড়ির মধ্যে চুপচাপ বসে থাকার চেয়ে কথা বলা ভাল। আমি কবি-লেখক না হলেও জীবন ব্যাপারে আমার আগ্রহ সীমাহীন। আমি তোমার জীবনের গল্প শুনতে চাই। এখানে তুমি বেতন কত পাও?
সাকুল্যে দশ হাজার। থাকা-খাওয়া ফ্রী। বছরে বেতনের সমপরিমাণ দু’টো উৎসব ভাতা। আমার স্যার খুবই ভাল মানুষ। আমাকে ভীষন ভালোবাসেন। ভালোবেসে মাঝে মাঝে কিছু উপহার দেন। মাঝে মাঝে ছোট ভাই-বোনের লেখাপড়া বাবদ বাড়তি কিছু দেন, মায়ের চিকিৎসার জন্যও কখনো কখনো কিছু দেন।

তুমি অন্য কোনো চাকরি খুঁজবে না?
না, দশ হাজার টাকা বেতন, দু’টো উৎসব ভাতা, ফ্রী থাকা-খাওয়া, ভালোবাসা মাখা কিছু উপহার নিয়েই আমি সন্তুষ্ট। সবচেয়ে বড় কথা, আমি এখানে অবসরে বই পড়ার সুযোগ পাই। এরই মাঝে আমি দেড় হাজার বই জমিয়েছি। একজন মানুষ যদি ষাট বছর বেঁচে থাকে, এবং প্রতিদিন একটা করে বই পড়ে তাহলে সে জীবনে একুশ হাজার নয়শ’ বই পড়তে পারবে। আমি বাইশ হাজার বই সংগ্রহ করতে চাই। হয়তো প্রতি দিন একটা করে বই পড়া হবে না......।
কিন্তু তুমি এত বই রাখবে কোথায়?
আমি আমার স্যারকে আমার ইচ্ছার কথা জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, তিনি আমাকে একটা ঘর দেবেন বই রাখা ও পড়ার জন্য। এতবড় সুযোগ হাত ছাড়া করে আমি অন্য কোথাও চাকরি করবো না।
তোমার নামটা কিন্তু জানা হয়নি এখনো।
পারভেজ-পারভেজ হাসান।
পারভেজ, আমি যতদূর জানি, এই দেশে দুইভাবে মানুষ বড়লোক হয়। এক-অসৎ পথে, মেধা ও শ্রম ব্যবহার না করে। দুই-সৎ পথে, মেধা ও শ্রম ব্যবহার করে। প্রথম পদ্ধতিতে ধনী হয় রাতারাতি এবং এদেশের বেশির ভাগ ধনীই এই পদ্ধতিতে হয়েছে। আর দ্বিতীয় পদ্ধতিতে ধনী হয় ধীরে ধীরে। তোমার স্যার, মানে আমার বন্ধু মঞ্জুর আহসান বড়লোক হয়েছে দ্বিতীয় পদ্ধতিতে। বর্তমানে আমার চাকরির বয়স বিশ বছর। আমার চাকরিতে ঢোকার পাঁচ বছর আগে থেকে মঞ্জুর ব্যবসা শুরু করে-হ্যাঁ, সেটা ছাত্র জীবন শেষ হবার আগেই। আমরা ধরে নিয়েছিলাম, তার মাস্টার্স আর শেষ হবে না। কিন্তু অবাক হলাম ওর পশুর মতো খাটুনি দেখে। দিনে গরুত্বপূর্ণ ক্লাশ করেই চলে যেত নিজের তেহারি ঘরে। সেখানে একজন মাত্র কর্মচারি ছিল। সে নিজ হাতে  থালা-বাসন ধুয়ে কাস্টমারদের তেহারি খাওয়াতো। সারাদিন এই কাজ করে এসে রাতে পড়তে বসতো। মাস্টার্স শেষ করার আগেই তেহারি ঘর হয়ে গেল বিরিয়ানি হাউজ। তারপর রেস্টুরেন্ট। ক’দিন পরে তার সাথে যুক্ত করল  অডিও-ভিডিও’র দোকান। তারপর অডিও প্রকাশনা। সেখান থেকে সৃজনশীল সাহিত্য প্রকাশনা। এখন তো রেডিও, টিভি, পত্রিকা সবকিছুরই মালিক। তার ব্যবসা বিস্তৃতির জন্য সে কোনো রাজনৈতিক নেতার কাছে যায়নি। কাউকে এতটুকু তোষামদ করেনি। এখন যদি কোনো মিডিয়াকে নিউট্রাল ধরা হয় তার রেডিও-টিভিকেই ধরতে হবে।
অন্তর উসখুস করছিল। এইসব বিষয় তার ভাল লাগছিল না। গল্পগুলো বড়দের। বনভ্রমণে যাওয়ার সময় এরকম গল্প উপযুক্ত নয়। সে গল্পটা নিজের মধ্যে নিয়ে আসতে চাইল। হয় তার আর বাবার মধ্যে গল্প হোক, অথবা তাদের তিনজনের মধ্যেই হোক। আর এ জন্য গল্পের বিষয় পরিবর্তন করতে হবে।
[ক্রমশ...]

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট