স্বপ্নদোষ



একা বিছানা আর শ্মশানে পুড়িয়ে যাওয়া ছাই সমান লাগে ইদানিং।ঘুম থেকে উঠে প্রিয় নারী মুখের দু-চপল হাতের তালুতে চেপে ললাট জুড়ে চুমু বসিয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার আহ্লাদ মাথা গিলে নিয়েছে বাবুইয়ের।অন্য পুরুষদের কাছে চাওয়াগুলো স্বাভাবিক হলেও বাবুইয়ের কাছে অসম্ভব রকমের দূর্লভ মনে হয়।রঙ বেরঙের কত রকম কাগজের নৌকো বানিয়ে রেখেছে প্রিয় মানুষ টি বাস্তবে এলে একসাথে কনিষ্ঠা ধরে শানবাঁধানো ঘাটে গিয়ে ভাসাবে বলে।মেঘালো আকাশটা খুব বেশি ভাবিয়ে তোলে বাবুইয়ের মন! ঝিঁঝিঁর শব্দ রাত নিরবতার সঙ্গম বিরতি নিয়ে আসে যখন, বাবুই তখন আকাশ মুখে স্বপ্ন আঁকে! আর্ট পেপাড়ে ধুলো পরে গিয়েছে, তুলিতে লেগে থাকা রঙ শক্ত হয়ে আছে।আঙুল স্পর্শে প্রাণোৎসল তুলিটি এখন শুধুই জড়ো! রঙের ছটা নেই ও শহরে! আগে সিঁদুর,শঙ্খ ধ্বনি,ঢাকের শব্দ,কাশ ফুল,শরৎকাল হৃদয়কে চঞ্চল করে তুলত, আর এখন এসব বিষদতার শিখর ছোঁয়ায়! প্রতিটা দূর্গা পূঁজোয় নতুন জীবনের স্বাদ নিত বাবুই!এখন হৃদয় জুড়ে কি এক দূর্বোধ্য বিদঘুটে সব প্রলাপ বকন!নিশাচড় আর বাবুই যেন একই রকম! ঘুমের স্বপ্ন দেখেনা কোন দিন!যদি ঘুমের মধ্যে ঘুমিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখে ফেলে! আজ হঠাৎ করেই আড়মোর ভাঙ্গে প্রভাত বেলায়।৬টা বছর যেন ঘুমের কাতরতাকে দূড়ে ঠেলা দুটো চোখ সেই অভ্যেস বদলাতে পারে না! আজ ঘুম বিবর্জিত ঘুমের দুঃস্বপ্ন দেখা চোখ দুটোই ঘুম চায়ছে!দুঃস্বপ্নের বৈঠায়ে জল বিহীন নদী চায়না।নদী চায় স্নাতো হতে।নদী চায় শান্তির সফেট ছোঁয়ায় বৈঠা ভিজিয়ে নৌকা উজানে বায়তে!আষ্ঠে পিষ্ঠে নদীও মাঝির গল্প চায় সমাপ্ত কিংবা সূচনা।
বাবুইয়ের শার্টের বোতাম কে যেন খুলে দেয়!উষ্ণ নিঃশ্বাসে কেউ কাছে টানে! লালায়িত অধর কে যেন নরম অধরে পুরে নেয়। তার পর নদীও জলের থৈথৈ খেলা!ক্ষয়িষ্ণু হৃদয়ে প্রকম্পন জাঁগে যতবার, রুমন্থিত হয় ততোবার একটি স্বপ্ন,একটি শরীর,শরীরে ক্রমাগত ডুঁব সাঁতারের স্মৃতি গুলো!প্রেমময়ী শব্দ গুলো,! বালিশ ভিজে যায় প্রতি নিশীথে,শরীরে স্বাদ ভুলতে না পারায়,নাকি হৃদয় ভাঙ্গার নোনা স্রোতে কে জানে!

কি যে অময়িক হাসি মৃদুর মুখে। বাবুইয়ের বলে যাওয়া এসব আগা মাথা ছাড়া কথাগুলোকেই গল্প ভেবে গভীর মনোযোগে শুনে যায়। বাবুইয়ের সব কিছুর সাথে কেমন যেন মিল মৃদুর।কাউকে কেউ বাস্তবে দেখেনি কখনো! অথচ, একে অপরের হৃদপিন্ড!একজন কিছু ভাবলে আরেকজন সেই ভাবনার প্রকাশ করে ফেলে।একজনের জ্বর এলে আরেকজনের জ্বর আসে।একজন একটি কথা বলতে গেলে আরেকজন সে কথা বলে ফেলে।স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের
ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে।গভীর থেকে গভীরে পৌঁছে যায় তাঁরা।প্রতিটা শুক্রবার এলেই বাবুইয়ের মন ছটফট করতে থাকে মৃদুর জন্য।ঈদ এলেতো চিন্তার অন্ত থাকে না।ভয় থাকে খুব! যদি মৃদুর বিয়ে হয়ে যায়!!
প্রভাত বেলায় বাবুই মৃদুর ফোন রিসিভ করে..
মৃদু কাঁদতে থাকে।স্বপ্ন দেখেছে মৃদুর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে অন্য পুরুষের সাথে।বাসর রাতে অন্য পুরুষ মৃদুকে আগলাতে আসলে মৃদু সেখান থেকে পালিয়ে বাবুইয়ের কাছে যাবার চেষ্টা করে।
বাবুই মৃদুর সামনে একটুও কাঁদে না।ফোন কেটে দিয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।সে কান্নার শব্দ চোখের জলের স্বাক্ষী থাকে বেডশীট,ভিজে যাওয়া বালিশ,আর সিলিং ফ্যান।উত্তর এবং দক্ষিন মেরু এক হবার স্পন বুনে চলে বিনাকৃতির দুটো মন।কর্কটক্রান্তি
পৃথিবীর মধ্যবর্তীতে অতিক্রম করে পৃথিবীর মধ্যসীমা নির্ধারণে।আর উত্তর ও দক্ষিন মেরে পৃথিবীর দুপ্রান্ত হওয়া সত্বেও এক হবার স্বপ্ন বুনন।প্রত্যহ কত আহ্লাদ! বাবুই বলে...
-- তোমার চুল চিরুনী করে বেনুনী করে দেব।
মৃদু: আমি তোমার আচড়ানো চুল এক্কেবারে অগোছালো করে ফেলবো,এ আমার জন্মের সখ।
বাবুই-- তুই ঘুমালে টুপ করে তোর গায়ের কাঁথা ফেলে দিয়ে তোর উপর ঠান্ডা পানি ঢেলে দেব।
মৃদু: আর আমি কি করব?(ভ্রু নাচিয়ে)
বাবুই-- কি করবি?
মৃদু: ভেজা গায়ে তোকে জড়িয়ে পিঠ খামচে ধরে বলবো "ভালোবাসি"।
আহ্লাদ গুলো মনে করে চোখ মুছতে থাকে বাবুই,একটা সত্যি চাপা রাখার জন্য..!
যখন খুব কাছে চলে যায় মৃদু এবং বাবুই,বাবুই তখন তাঁ্র প্রথম দোষ পরা স্বপ্নের কথা বলে বসে।বিবর্ণ অতীত ভাঙ্গা কাচের মত কচ কচ করে মৃদুর হৃদপিন্ডে বিঁধে যায়।
বাবুই তাঁ্র নিকৃষ্ট অতীত এতকাল মৃদুর কাছে লুকিয়ে রাখায় মৃদু শকট হয়ে যায়।কিছুতেই মানতে পারে না, বুকে হাত রেখে এত কাল তাঁ্র প্রিয় মানুষ টি মিথ্যে বলে গিয়েছে অনায়াশে!!
অন্য ধর্মের অন্য রমনীর ঠোঁটে রাখা ঠোঁট, ঐ শরীর,ঐ হাত মৃদুকে স্পর্শ করবে ভাবতেই যেন চন্দ্রকে গিলে নেয় ঘুট ঘুটে অন্ধকার!
মৃদুর প্রান্ত থেকে ফোনে কোন শব্দ না পেয়ে বাবুই রিং্যের পর রিং দিতেই থাকে।
মৃদু আকাশ মুখে এক দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে বিধাতাকে অভিমানে বলতে থাকে
." আল-কোরআনে উল্লেখ করেছ,যে যেমন তার সঙ্গীও ঠিক তেমনঈ হয়!বাবুইয়ের সাথে আমার সব মিল!এদিকটাই মিল নেই কেন বিধাতা?!
ওতো অন্য নারীকে স্পর্শ করেছে,কিন্তু আমি...!
কি কারণে এত গুলো বছর এক্লা থেকে বাবুইকে মনে ধরলো এবেলা!?
উত্তর দেবে বিধাতা????
আমার প্রথম স্বপ্নে যে দোষ পরে গেল বিধাতা!!

বাবুই রিং দিতে দিতে এক সময় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবার শব্দ পেল।বিচ্ছিন্ন হয় মৃদুর বোধগম্যতা!টানা তিন দিন কোন প্রকার খোঁজ না পেয়ে রওনা হয়ে যায় বাবুই মৃদুর ঠিকানায়।বাসে প্রতিবারের মত এবারো দু সিটের টিকেট কাটে।যাতে তাঁর পাশের সিটে কোন মেয়ে বসতে না পারে।মৃদু বলেছিল ভাড়া ডাবল গেলেও পাশের সিট ফাঁকা রাখতে,এখানে সে বসবে।বাস কিছুদুর যেতেই ঝাকুনিতে আধঘুম চোখ খুলে বাবুই ফাকা সিটের দিকে তাকিয়ে চোখ মোছে।
কোন এক পাগ্লী বলেছিল, আমরা দূরে কোথাও যাব।কাছাকাছি গা ঘেষে বসব।হাত শক্ত করে ধরে থাকব।তুমি যেই আমার কাঁধে মাথা রাখবে তখনি আমি তোমার বুক পকেটে বমি করে দেব হিহিহি......
কিছু পথ যাবার পরে ডাস্টবিনে কুকুর দেখে বাবুই হেসে ওঠে- মৃদুর মিষ্টি সুরেলা কন্ঠ কানে বাজতে থাকে।তাঁ্র আহ্লাদী শাসন মগজ গিলে নেয়...
শোন বাবুই,তুই দুনিয়ার কোন মেয়ের সাথে কথা বলবিনা,কোন মেয়ে না!একমাত্র তোর মা বোন,চাচী,ফুফু,কলেজ ম্যডাম বাদে।আর অন্য সব মেয়ে হারাম।যদি কোন দিন মেয়ে ক্লাশমেটকে তুমি সম্ভোদন করতে শুনেছি,আমি নিরব হয়ে যাব।রাস্তায় যদি মেয়ে কুত্তা দেখিস,তাকেও আপ্নি করে বলবি।বলবি,শোনেন কুত্তা,থুরি, শোনেন কুত্তি আপনি কি হাড় খাবেন বা ETC.
শোনেন কুত্তি,আমার বউ,মানে আমার আত্মা বলেছে সব মেয়েদের আপ্নি করে বলতে,এমনকি আপ্নাদের স্বজাতিকেও!!
কথাগুলো কান থেকে সরবার আগেই বাবুই বুকে হাত চেপে অস্ফূট স্বরে বলে ওঠে.. পাগল রে...!
মৃদুর শহরে প্রথম পা রাখে বাবুই।কথা ছিল প্রথম যেদিন দেখা করতে আসবে সেদিন দুজন চুম্বক এবং লোহার মত দু প্রান্ত থেকে কাছে এসে যাপ্টে ধরবে। তার পর সবার সাম্নে মৃদুর ললাট চুমে দিবে বাবুই!আজ শূন্য হৃদয়ে শুধু স্মৃতির বাড়াবারি।
অচেনা শহর.. অচেনা মানুষ!
পথিকের দেওয়া লোকেশন মাফিক মৃদুর বাড়ির সাম্নে জিজ্ঞাসু চোখে দাঁড়াই বাবুই।
বাক শূন্য দৃষ্টি প্রবেশ দ্বারে ঝুলন্ত তালাতে!লোকের মুখে শোনে ঐ বাড়ির ছোট মেয়ে হাসপাতালে!!
তিন তলায় ৫০৪ নং রুমে লাইফ সাপোর্টে রাখা মৃদুর সরল মুখে বাস্তবে চোখ বুলাতে গিয়ে ঝাপ্সা হয় বাবুইয়ের দৃষ্টি!উজ্বল শ্যাম চাঁদ মুখ টা কেমন নিরব নিথর। দুচোখ ভরে কাজলের চিহ্ন এখনো যায়নি।অক্সিজেন লাগানোয় খৈ ফোঁটা যুগল অধর নরছে না।
বাবুই মৃদুর বেস্টফ্রেন্ড পরিচয় দেয়।মৃদুর মায়ের কাছে মিনতি করে নার্সের সাথে ভেতরে যায়।নার্স যখন সূচ বিদ্ধ করে মৃদুর শরীরে,বাবুই চোখ বন্ধ করে।
কানে ভেসে আসে আহ্লাদী কন্ঠে...
আত্মা,আমায় কোনদিন হাত তুলবেনা,জানোতো মশা কামড় দিলেও আমি খুব ব্যথা পাই।
বাবুইয়ের ইচ্ছে করে একবার জড়িয়ে ধরে মৃদুর কপালে চুমু আঁকতে।মৃদু যখন অসুস্থ হত কাঁতর কন্ঠে বলত,কপালে এক্টা চুমু দাও, ঠিক হয়ে যাব। রোজ নিয়ম করে তাঁ্র চুমু চায়,প্রভাত। বেলায় চুমুর শব্দে তাঁ্র ঘুম ভাঙ্গাতে হবে!!
মৃদুর মা বাবুইকে ডেকে পাঠান আলাদা রুমে! খুব শান'ত স্বরে জিজ্ঞাসা করেন--
তুমি কে?
-- বাবুই।
তুমি কি সত্যিই মৃদুর বন্ধু?
-- জ্বি,শুধু নয়; খুব ভালো।
কথা ঘুরিওনা!সত্যি বলো,ওর এ অবস্থা কেন?
বাবুই ইতস্তো ঝেড়ে সব খুলে বলে।
মৃদুর মা বাবুইয়ের দিকে তাচ্ছিল্যে তাকান!


বলে ওঠেন--
তুমি জানতে না ওর হার্টে প্রব্লেম!?
-- জ্বি,জানতাম।
তাইতো বলি, যে মেয়ে আমার হাত ছাড়া ভাত খেত না,একা ঘুমোতো না,সে মেয়ে একা ভাত খায়,একা ঘুমায় কি করে?আজ কতোগুলো দিন আমার দুষ্টু সোনা আমার হাতে ভাত খায়না,আঙুলে কুট করে কামড়ে দিয়ে খিল খিলিয়ে হাসেনা।
মৃদুর মা চোখ মোছেন।বাবুই ঝাপসা চোখে নিজের হাতের দিকে তাঁকায়, মনে পরে মৃদুর বলা--
আত্মা,তুই যদি আমায় না খাইয়ে দিস,আমি সারা দিনেও খাব না।যখন আমায় খাওয়াতে আসবি আমি কুট করে তোর আঙ্গুল কামড়ে দেব।আর যখন আমায় মারতে আসবি যাপটে ধরব তোকে।
মৃদুর মায়ের কর্কশ কন্ঠে ভাবনা ভাঙ্গে বাবুইয়ের।


তুমি বোধ করি জানোনা কত বড় অপরাধ করেছ!আমিতো একজন মা,তাই চাইনা তোমার মায়ের বুক শূন্য হোক!
মৃদুর দিদি,দাদা,বাবা জানবার আগেই তোমার স্থান ত্যগ করা আবশ্যক।

বাবুই মৃদুর মায়ের পায়ে চোখের জল ফেলে,উৎস্বর্গ করতে চায় নিজের জীবন।কিন্তু মৃদুর মা কোন অনুমতি দিলেন না! স্থান ত্যাগের পথ ২য় বারের মত দেখিয়ে দিলেন!
বাবুই শেষবার অসহায় দৃষ্টিতে তাঁর নিস্তব্ধ শ্যামা পড়ীর দিকে চোখ ফেরায়!
বৃষ্টির দাপট জানালার পাশে বসা নির্বাক বাবুইয়ের চেতনা ফেরাতে পারেনা।বাসের সবাই যার যার মত জানালা বন্ধ করতে থাকে।বাবুই ভিজতে থাকে বৃষ্টি ও চোখের জলে।আদ্র চোখে জুয়েলারী দোকানের নাকে নথ পরা ছবিটির দিকে চোখ পরেই সোদ ফিরে পায়!
মৃদুর মিষ্টি কন্ঠ যেন ফিস ফিসিয়ে বৃষ্টির শব্দ ভেদ করে মস্তিষ্ক স্নায়ুকে নারা দিয়ে হৃদয় কাঁপিয়ে তোলে..
শোন বাবুই,যখন আমি পালিয়ে যাব তোর ঘরে.. সেদিন আমায় বউ সাঁজাবি তুই।লাল টুকটুকে বেনারশী পড়িয়ে দিবি আমায়।তোর উড়ুর উপর আমার পা নিয়ে নুপুর পড়িয়ে দিবি।হাতে লাল চুড়ি পড়িয়ে দিবি।চোখ ভর্তি করে কাজল দিয়ে দিবি।চোখে পানি আসলে কি করবি তখন?
হেহেহে.....তোর স্যান্ডু গেঞ্জি খুলে চোখ মুছে দিবি হিহিহি...
আমার নাকে নথ পড়িয়ে দিবি।তার পর পায়ে গাঢ় করে আলতা দিয়ে দিবি।সব সাজানো গোছানো শেষ হলে আমি তোকে ঘর থেকে বের করে দেব। তার পর বাংলা সিনেমার গ্রাম্য বধুর মত বিছানায় বসব,তুই ঘরে এসে ঘুমটার নীচ দিয়ে নাকের নথ আর আমার অধর দেখতে পাবি!!
ফোন রিংটনে বাবুই চমকে ওঠে,অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসে..."ফিরে এসো আমার জীবনে!!মানছি অতীতে আমার ভুল ছিল!!ফিরে এসো আগের মত আমার হয়ে।তোমাকে ছেড়ে আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে গিয়েছে,ফিরে এসো!
বাবুই ফোন কেটে দেয়!
মৃদু সাদা মখমল একের পর এক ভাঁজ করতে থাকে!আবহাওয়া ঠান্ডা হওয়ায় ভাঁজ করা সাদা মখমল গুলো গায়ে জড়াতে থাকে।একের পর এক গায়ে জড়াতে জড়াতে দম নিতে কষ্ট হয়।শীত কমার বদলে ক্রমাগত বাড়তে থাকে!চারিদিকে কুয়াশা ঘিরে নেয়।পুরো শরীর জুড়ে ঠান্ডা পিপারমেনের মত হাওয়া বইতে থাকে।
সুগন্ধী সুবাস মগজ গিলে নেয়।কানে বাজতে থাকে '' আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহ্দাহু লা শারীকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান,আবদূহু ওয়া রাসূলুহু....''
মৃদুর হাজার বারণ সত্বেও কানে বাজতে থাকা শব্দ কমেনা।
সাদা মেঘের ভেলায় এলো চুলে বসে আছে মৃদু!সাদা মেঘের সাদা পাখায় দিগন্ত জুড়ে উড়তে থাকে।মৃদুর পুরো গা সাদা হাঁসের পালকে ঢাকা,মাথায় পালকের মুকুট।মৃদুকে অত্যন্ত শুভ্র লাগছে!মুখ ভরা এক ঝলক হাসি!
বাবুই বাস থেকে নেমে পিচ ঢালা পথে পা বাড়াতেই বিকট শব্দ,চিৎকার এবং লোকজনের ভিড় জমে যায়।সুগন্ধীর সুবাস ক্রমাগত ছেয়ে নেয় বাবুইয়ের পুরো শহর!!
 
 



শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট