শব্দমালা : হাসান মাহমুদ

 



চন্দ্রিমা


কুয়াশায় মুড়ানো চাঁদ শিশির ফেলো নক্ষত্রের ওপর-


দূর্বাঘাসের গালিচায় জলজ কুয়াশায় ফেলো নিভু নিভু নরম আলো; 

জোছনারঙের দুইফালি কুমারী চন্দ্রিমা 


আজ 

শিশিরের গড়িয়ে পড়া দৃশ্যে হোক প্রেমের জলসা। 


ঝিম ধরা এই রাত্রি শেষে ভোরে ফুটুক 

শিশির ভেজা কুসুম; 

কুসুমের জল পতন বড়ো সুন্দর-


ও দুধরঙের চাঁদ! তুমি তোমার রূপে সুন্দর।




জলজোছনার গান


তোমার গহিনে ফকফকা আলো শরতের উঠোনে যেন চিরায়ত শাদা কাশফুল-


সমুদ্রের উত্তুঙ্গ ঊর্মির ফেনায়িত জলোচ্ছ্বাস 

খেলে যাচ্ছে জলজোছনায়-


একটা মার্জারী হামাগুড়ি দিচ্ছে দুধের বাটিতে; 


দুধেল চাঁদ যেন আরও হেসে উঠছে এমন ঘনীভূত আলোর গানে।


চাঁদের মহিমায় নিজস্ব আলো নেই: 

চাঁদের আছে জলজোছনার গান-

তোমার সলাজ চাঁদের বদনে যেন আনে কোলাজ-


কী অপূর্ব তুমি- তুমি ও চাঁদ যেন পাতানো সই!



অলিভের ছায়া


তুমি এমন

যেন

চাঁদ সূর্যের দূরত্ব রেখা-


সন্ধ্যা ঘনালো সূর্যের কিরণ লুপ্ত করে-

গরম সূর্যটি রেখেছে চাঁদের দূরত্ব;

তুমিও তাই!


ডুমুরের ছোট ছোট ছায়ায় যে গোল দৃশ্য 

সে ছায়াদৃশ্য তোমার বুকজুড়ে-


মসজিদে 

মন্দিরে 

প্যাগোডায়

গির্জায় 

হলো ধর্ম আর কর্মের উৎসব-

তখন তুমি জপছ আমার নামে ইশক;


যেন দ্বিপাক্ষিক কোনো

চুক্তিতে তুমি আমায় প্রেমের ঘরে

দাঁড় করিয়ে দিলে-


বলো, 

প্রেম কেন মানে ধর্মের মিথ?


মসজিদে আজান হলো-

মন্দিরে হরি জপ-

প্যাগোডায় বুদ্ধের নাম-

গির্জায় যীশুর নাম-


সব নামের পর; প্রার্থনায় প্রেমই আগে আসে!

বলো তুমি কোন্ প্রেমে বেছে নেবে আমায়?


প্রেমের মাহফিলে আমি বাংলার চিরায়ত 

সবুজ মেখেছি প্রেমের অবগাহনে-

আমায় আপন করে রেখো তুমি: 

অলিভের ছায়ায়।



শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট