পদাবলি : ০১




তিমির হননের গান
মিজান মনির

শোকের বিষে আগুন, দু’চোখে স্বজন হারানোর জল
পৈশাচিক থাবায় মানচিত্র ছিন্নভিন্ন; স্ফুরিত ঘৃণা অতল
ক্ষোভে ভারি ষোলো কোটি প্রাণ, দিগি¦দিক রক্তজ্বলা কবিতা-গান
দানব ধ্বংসের ঘন্টা বেজে উঠুক তৃষ্ণার্থ চোখের এ আহ্বান।

সোনালি আলোর মুক্ত আকাশ কেউ পাবে না কিনে
ফুলের উঠোনের আগাছা-ছত্রাক এবার নেবে চিনে
অসুর শক্তি নয় ভক্তি আর নয় গর্জনে মন হরণ
ভোরের লাবণ্যে সুখের উল্লাসে জেগে উঠুক শুভ্র বন।

মধু আহরণে প্রজাপতি মেলবে ডানা, মন জুড়াবে এবার
বিসর্জন নয়; সুরভিত গোলাপ হয়ে ফুটবে সহ¯্র আবরার
সত্যের নৌকা পাল ওড়াবে অবিরাম নেই বাধা কোনো ভয়
তিমির পাঠ নিপাত যাক, এ বারতায় ধ্বনিত হউক জয়।

পূর্ণাঙ্গ
জোবায়ের মিলন

কখনোই ভাবিনা, হোঁচট খেলে কেউ টেনে তুলবে
এও ভাবিনা, রোগ-শোকে সান্তনা দেবে কেউ।

পড়তে পড়তে উঠতে শিখেছি
শিখতে শিখতে এতো দূর এসেছি। পথ কি
শেষ হলো? মোটেও না।
এখনো মেঘ থেকে শিখি, রোদ থেকে শিখি
সন্ধ্যা থেকে শিখি, রাত থেকে শিখি;
এখনো কাউকে ভালোলাগলে তার থেকে শিখি
মন্দ লাগলে সেও শিখি-
এই শেখাটাই উঠতে বসতে কাজে লাগে, আর সব
উবে যায়, উড়ে যায়।

অন্য হাতের ভরসা করে পঙ্গু-বিকলাঙ্গ যারা
পূর্ণাঙ্গ তো তারা, যারা নিজেকে নিজেই
টেনে তুলতে পারে খাদ কিংবা
গিরিখাদ থেকে।

একটা লম্বা লাইন ও অন্যান্য
সুকান্ত ঘোষাল

একটা লম্বা লাইন - অসংখ্য মাথা
এ লাইন আমাকে দিয়ে বানানে
এর সামনে-পিছনে-মাঝে
একমাত্র আমি
কারণ আমার মতোই এর একই অসুখ
উপশম এক

কিংবা উল্লাসের উপরে
তুমি আমাকে যোগ্য ভেবেছো
যা এই তীর্যক করে এই অনুভব
আর কত দেবে
এই উপহার , গোল গোল মেডেল

চোখ দিয়ে শুনে
কান দিয়ে বেরিয়ে গেল শোক
তার চেয়ে এস ওই
ফাঁকায় আরেকটু দাঁড়াই
যেখানে সবকিছু ঠিক, সবাই নিপাট সাধুজন
                                   


কিছু কথা অথবা প্লাবন শুধু
আশরাফুল মন্ডল

ঝুলন্ত গাঁটছড়া
উড়ছে কথা কিছু

চারদিকে। ভুল সে ভুলই
কিনারা ভাঙা পতন সাতসমুদ্র

শোক নদী। কুঁড়েমি মোহনবেনু
বেলাশেষে। বিছানায় জাপটে ধরা
কিলবিল সোঁদারূপ। ফুটন্ত সামিয়ানা
অরণ্য রোদনে.....

নিহিত ভালোবাসা
সারিবাঁধা ভাটিয়ালি। পাল ওড়া মধ্যরাত
খুঁজে ফিরি অজানা বালির স্তুপ। ছোঁয়াছুয়ি
প্লাবন শুধু, তবুও.....

অন্ধকারের ফিনকি দেখে ডাঁসা আলো
বতর জাগানো গতর
কাঁপে। প্রভু সত্য হই.....

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট