প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবতায় কর্মমুখী শিক্ষা



 প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবতায়
 কর্মমুখী শিক্ষা

এ আই জাজাকী

কয়েকদিন আগে একটি সরকারি চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম। তখন এক ব্যক্তির সাথে আমার পরিচয় হয়। দেশের চাকরির বাজার আর শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে অনেক কথা বলছিলাম। কথা বলতে বলতে হঠাৎ তিনি প্রায় কাঁদোকাঁদো অবস্থায় বললেন, ভাই গত পাঁচ বছর আগে মাস্টার্স শেষ করেছি। তখন থেকে আজ পর্যন্ত আমার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির চেষ্টা করছি কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। আমি যেমন চাকরি চাই বা যে বিষয়ের ওপর আমি অনার্স-মাস্টার্স করেছি সে অনুযায়ী কোনো চাকরিই মিলছে না। সার্কুলারে যে স্বল্পসংখ্যক নিয়োগ হয় তাও পর্দার আড়ালেই থেকে যায়। লিখিত পরীক্ষা দিই তো ভাইভার ডাক আসে না, ভাইভা দিই তো পরে যোগাযোগ করা হবে বলে বিদায় করা হয়। পরে আর কোনো খোঁজ-খবর পাই না। দীর্ঘ সতেরো-আঠারো বছর পড়ালেখা করে কি একটা চাকরির যোগ্যতা অর্জন করতে পারিনি? তাছাড়া আমি তো আর এত খারাপ ছাত্রও না। যদি তাই হতাম তাহলে কি আর এতদূর আসতে পারতাম? এ বছরই আমার চাকরিতে আবেদনের বয়স শেষ হবে। এমনও হতে পারে যে, এটাই আমার শেষ চাকরির পরীক্ষা। কারণ আর যে কয়েকমাস বাকি আছে এর মধ্যে তো নতুন সার্কুলার নাও হতে পারে। কথাটুকু বলেই তিনি দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। আমি মনে মনে বললাম, এক কাঙাল বলে আরেক কাঙালকে। আমার নিজেরও তো এই হাল। তারপরও পাশের লোকটিকে সামান্য সান্ত¦নার উদ্দেশ্যে বললাম, ভাই শুধু শুধু সময়গুলো কেন নষ্ট করছেন? উদ্যোক্তা হোন, নিজে কিছু করুন। বাংলাদেশে তো এখন অনেককিছু করার সুযোগ আছে। শুধু সরকারি চাকরির পেছনে ছুটে জীবন পার করলে চলবে? লোকটি আবারও একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, ভাই আমিও তাই ভাবছিলাম। কিন্তু কী করব বলুন? দীর্ঘ দেড়যুগ বাপ-মার কাঁধের ওপর বসে খেয়েছি, পরেছি, লেখাপড়া করেছি। শত কষ্ট হলেও লক্ষ লক্ষ টাকা তারা আমার পেছনে ব্যয় করেছে। তাদের তো এখন আমার ওপর একটা দাবি আছে, আশা আছে। পুরোটা পরিবার আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তারা ভাবছে, ছেলে এতদূর লেখাপড়া করেছে। এবার নিশ্চয়ই ভালো একটা চাকরি পাবে। সংসারের হাল ধরবে। এত লেখাপড়া করে গ্রামে গিয়ে চাষবাস করলে সেটা তাদের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব না। আর ছোট চাকরিও আমার যোগ্যতার সাথে যায় না। তারপরও করতাম। পেটে ভাত না থাকলে মান-সম্মান দিয়ে কী হবে? কিন্তু পরিবার পরিজনের কথা চিন্তা করেই তা করতে পারি না। কারণ তারা একটা সমাজে থাকে। যারা আমার সাথে একই বছর এসএসসি পাশ করে বেরিয়ে গার্মেন্টসে ঢুকেছে তারাও এখন মাসে পঁচিশ-ত্রিশ হাজার টাকা আয় করে। আর আমি যদি এত লেখাপড়া করে এখন ছোট কিছু করতে যাই তাহলে সমাজে পরিবার পরিজনরা মুখ দেখাতেই লজ্জা পাবে।  কথাটুকু বলতে বলতে দেখলাম উনি প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে টিস্যু বের করে চোখ মুছছে। আমি যেন খেই হারিয়ে ফেললাম। ছোট মানুষের চোখে পানি দেখলে সহ্য করা যায় কিন্তু একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের চোখে পানি দেখলে নিজেকে সামলানোই দায় হয়ে পড়ে। তারপরও নিজেকে সামলে বললাম, ভাই ছাড়–ন তো। সরকারি চাকরি কি সবার কপালে জোটে? যাদের মামা-চাচার জোর আছে তারা পড়ালেখা যেমনই করুন না কেন সময়মতো একটা সরকারি চাকরির ব্যবস্থা তাদের হয়েই যায়। আপনি বরং এক কাজ করুন, বেসরকারি চাকরির জন্য চেষ্টা করুন আর নাহয় নিজে উদ্যোক্তা হোন। তিনি বললেন, বেসরকারি চাকরিইবা এখন কম সোনার হরিণ? ইন্টারভিউ দিতে গেলেই আগে জিজ্ঞেস করে, আপনার অভিজ্ঞতা কেমন? আরে ভাই, একটা মান্ষু পড়ালেখা করবে নাকি চাকরি করে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে? তারপরও যদি কোনোরকমে চাকরিটা হয় তখন একটা মাস্টার্স পাশ ব্যক্তিকে বেতন দেয় দশ থেকে বারো হাজার। এ যুগে একজন মানুষের কোনোরকমে চলতেই তো পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকার প্রয়োজন পড়ে। আর উদ্যোক্তা হওয়ার কথা বললেন না? সেটা কীভাবে করব। পড়ালেখা করেছি এক বিষয়ে এখন যদি অন্য একটা বিষয় ভালো করে বুঝতে যাই তাহলেই তো পাঁচ বছর লেগে যাবে। আমি বললাম, তা বলেছেন ঠিক। তাই বলে কি মানুষ বেসরকারি চাকরি করছে না? উদ্যোক্তা হচ্ছে না? অহরহ অনার্স, মাস্টার্স করা মানুষ সেসব দশ, বারো হাজারী চাকরিই করছে কিংবা উদ্যোক্তা হচ্ছে। এছাড়া আর উপায় কী?
এ তো গেল একটি বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা। এবার আসল কথায় আসি। বাংলাদেশে এরকম হাজার হাজার প্রমাণ আছে। লাখো লাখো  বেকার আছে যারা উচ্চশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও পাচ্ছে না যোগ্যতা অনুযায়ী কোনো চাকরি। আর এর আধিক্য বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন। এর প্রধান কারণ হিসেবে আমি যেটাকে দাবি করব সেটা হলো কর্মমুখী শিক্ষার অভাব। এরূপ পরিস্থিতি ও একঘেয়ে শিক্ষার ধারণা আমাদের মধ্যে প্রবল হয়ে গেছে। আমরা মনে করছি প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাই আমাদের চলার পথ সুগম করে দেবে। আসলে তা নয়। যদি তাই হত তাহলে দেশে লক্ষ লক্ষ বেকার থাকার প্রশ্নই আসত না। অথচ বাস্তবে আমরা তাই দেখছি। আজ কর্মক্ষেত্র নেই অথচ বড় বড় সার্টিফিকেটধারীর কোনো অভাব নেই। অথচ একটা সময় ছিল যখন মানুষকে ডেকে ডেকে চাকরি দেয়া হত। জনসংখ্যার আধিক্য, প্রচলিত একঘেয়ে শিক্ষাব্যবস্থা ও কর্মক্ষেত্রের অপ্রতুলতার জন্য এখন লক্ষ তরুণ ফাইল হাতে ঘুরে বেড়ায় এখানে-ওখানে। আমি একটা কথা সবসময় বলি যে, জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। আর সে সুযোগটা আমাদের তৈরি করতে হবে। মানুষ তো ফেলনা জিনিস নয় বা দেশের জন্য বোঝাও নয়। হ্যাঁ, আমাদের দেশ একটি ছোট্ট ও উন্নয়নশীল দেশ। আর এ সুযোগটাকেই আমাদের কাজে লাগাতে হবে। জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরের দায়িত্বটা প্রথমত সরকারকে গ্রহণ করতে হবে। আর সেটার একমাত্র ও প্রধান উপায় হলো কর্মমুখী তথা বহুমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটানো। এখানে প্রচলন শব্দটি ব্যবহার করা যেত কিন্তু তা না করে প্রসার শব্দটির ব্যবহার করার কারণ হলো, ইতোমধ্যে আমাদের দেশে বহুমুখী শিক্ষার প্রচলন করা হয়েছে। কিন্তু তা খুবই স্বল্প পরিসরে। যা পুরোপুরি প্রসারিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। আমাদের ধারাণাকে পাল্টে বাস্তবধর্মী তথা কর্মমুখী শিক্ষার প্রসারই একমাত্র দেশের বেকার সমস্যার সমাধান করতে পারে। ঘুরিয়ে দিতে পারে অর্থনীতির চাকা। এখনও বেকারজনিত সমস্যা লক্ষের ঘরেই রয়েছে। তবে তা যে হারে বাড়ছে তাতে কোটির ঘরে পৌঁছাতে খুব বেশি সময় লাগবে বলে আমার মনে হয় না। তবে এখনই যদি সঠিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় তাহলে লক্ষ তরুণের মেধাকে কাজে লাগানো সম্ভব এবং কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে ভবিষ্যতের এরূপ সমস্যারও সমাধান করা সম্ভব। দেশে বর্তমানে প্রতিবছর ১০টি বোর্ডে ২০ থেকে ২২ লক্ষ এসএসসি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। সেখানে শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ শিক্ষার্থীই সন্তোষজনক ফলাফল করে পাশ করছে। আবার প্রতিবছর ১১ থেকে প্রায় ১৩ লক্ষ পর্যন্ত পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। সেখানেও পাশের হার সন্তোষজনক। কিন্তু একটি বিষয় খেয়াল করবেন যে, প্রতিবছর এসএসসি থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কিন্তু প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। তারপর এইচএসির পর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যেতে পারছে তারও অর্ধেক। কিন্তু তারা যাচ্ছে কোথায়? অবশ্যই অনেকে চাকরির পেছনে ছুটছে। অনেকে ছোটখাট ব্যবসার চিন্তা করছে। আবার অনেকে বাবা-মায়ের কাঁধের ওপর বসে খাচ্ছে। চেয়ে আছে ভাগ্যের দিকে। আর যারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে তারাই কি পড়ালেখা শেষ করে ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারছে? অনেকে নির্দিষ্ট বয়সসীমা পর্যন্ত চাকরির পেছনে ছুটতে ছুটতে যখন ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত তখন নিজের যোগ্যতার চেয়ে কয়েকগুণ ছোট বেসরকারি চাকরিতে ঢুকতে বাধ্য হয়। আর যারা সে সুযোগটুকুও পান না তারা যোগ হয়ে যান বেকারদের তালিকায়। এর মধ্য খেকে কিছু লোক বের হয় যারা নিজে উদ্যোক্তা হতে পারে। তবে বেশিসংখ্যকদেরই সে সুযোগ বা সামর্থ্য থাকে না। গত কয়েকদিন পূর্বে একটি ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরাঘুরি করছিল যেখানে আমিনুল ইসলাম নামে একজন বিসিএস পাশ নন ক্যাডার ব্যক্তি একটি ফেস্টুন বুকে ঝুলিয়ে ঘুরছিলেন একটি উত্তরের জন্য যে, বিসিএস পাশ করেও কেন তিনি বেকার? তার এ প্রশ্ন ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি। তো এখন কী বলবেন? যেখানে বিসিএস পাশ করেও চাকরি নিশ্চিত হয় না সেখানে আপনি এ সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে কী করবেন? এর কোনো সদুত্তর আছে কি! অথচ লক্ষ লক্ষ তরুণ প্রতিবছর চাকরির আশায় বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং এর মধ্যে বেশিরভাগেরই ধারণা যে বিসিএস পরীক্ষায় পাশ করলেই চাকরি মিলবে। কিন্তু বাস্তব তো তা দেখাচ্ছে না। তবে হ্যাঁ, প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জনগণের প্রয়োজন হয় যারা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত। আর বাকি শিক্ষিতদের আর গতি হয় না। তাই এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হলো কর্মমুখী শিক্ষা। যে পদ্ধতিতে শিক্ষাগ্রহণ করলে দেশে একটি মানুষও বেকার থাকবে না। আমার মনে হয় না প্রতিবছর ১০ বা ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি  পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন আছে। বরং উন্নত বিশ্বের মতো প্রতিটি শিক্ষার্থীকে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর পর তাদের অ্যাপটিচ্যুড টেস্ট করে তাদের পছন্দের বিষয়গুলোর উপরে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হোক। যাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে তারা দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী হিসেবে বের হয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে। কিছুদিন আগে শুনেছিলাম যে, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নাকি প্রাথমিক শিক্ষা করা হবে। হ্যাঁ, যদি তা হয় তাহলে খারাপ হয় না বরং এতে কর্মমুখী শিক্ষার পথ আরও সুগম হয়। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের পর প্রতিটি শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা উচিত। যারা অবহেলিত ও দরিদ্র শিশু রয়েছে তাদেরও সরকারি উদ্যোগে প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা হোক। আর এর ভেতরেই সে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান সম্পর্কে ভালো ধারণা লাভ করবে। প্রাথমিক শিক্ষা স্তর শেষ হওয়ার মধ্য দিয়েই প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজের পছন্দ, ইচ্ছা, অনিচ্ছা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তখন তাদের আগ্রহের ভিত্তিতে বিভিন্ন কারিগরি, কর্মমুখী ও সাধারণ শিক্ষা প্রদান করা যাবে। সেই সময় থেকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাদের শুধুমাত্র সেই একটি বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ (হাতে-কলমে শিক্ষা) দিয়ে তাদের দক্ষ করে তোলা যাবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা দক্ষ হয়ে ওঠার পর বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের মেধার মূল্যায়ন করা যেতে পারে। তারপর তাদের অনায়াসেই রাষ্ট্র কাজে লাগাতে পারে আর তারাও পেতে পারে সুনিশ্চিত ভবিষ্যত।
এখন প্রশ্ন হতে পারে তাহলে রাষ্ট্র এত কর্মক্ষেত্র পাবে কোথায়? এর উত্তরে বলব, যেহেতু প্রতিটি শিক্ষার্থী বিশেষ বিশেষ কাজে দক্ষ হয়ে ওঠবে তখন তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে অবশ্যই তারা অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম হবে। আর তাদের সে কর্মসংস্থানের জন্য সরকারকে পূর্ব থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে। অর্থাৎ দেশে কর্মক্ষেত্র তৈরির জন্য সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। বেসরকারি শিল্প-কারখানা স্থাপন পদ্ধতি সহজ করতে হবে। প্রয়োজনে লোন পাওয়ার উপায়ও সহজ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানায় বিভিন্ন শিল্প-কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন  করতে হবে। প্রয়োজনে সেসব পরিচালনার জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় বা দপ্তর স্থাপন করা যেতে পারে। যা একটি নিখুঁত পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের পক্ষে করা তেমন কোনো কঠিন কাজ নয়। কারণ যে দেশের জনশক্তি রয়েছে সে দেশে বেকার শব্দটি থাকা সমীচীন নয়। কেননা, তা শুধু আমাদের অর্থনীতিকেই পঙ্গু করে না বরং বিশ্বের দরবারে দেশটির মান ক্ষুণœ করে। বয়ে নিয়ে আসে লজ্জার মহাপ্লাবন।


শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট