পদাবলি

 



খাটুনি

শরীফ সাথী


তোমার সংসারে কত খাটুনি খাটলাম

ঘুম থেকে উঠে কাঁথা বালিশ গুছিয়ে

ঘর উঠোন ঝাড়–, থালা বাসন মাজা

রান্নাবান্না, ছেলেমেয়েদের একের পর হুকুম

ত্রুটি হলে তোমার চোখ রাঙানো

বুঝলেনা আমার, সারাদিন বিরাম নেই

এত খাটুনি তবুও একবার ও নাম হলো না।



বনলতা

মাসুদ পারভেজ


এই তো ঘুরে আসলাম বনলতা হয়েই 

বনলতা এখনো জীবনানন্দময়ী-- 

চিরায়ত চিরকাল 

জীবনের কথা কয় 


কিন্তু ‘জীবনানন্দ দাশ’-এর কবিতার মতোই 

বিরহবিধুর বাঁশি বাজাচ্ছ এ হৃদয়! 


আমিও একদিন ঝরে যাব বনলতা আক্ষেপ বুকে লয়ে- 

হৃদয়ের জমাকৃত শিশিরজল 

রাঙাবে ঘাস- পথ- 


আমি ধুলো হয়ে মিশে রব এ-ই বাংলায়! 


আহা মিটিবে না মিটিবে না 

আর- বনলতা- তোমার দেখার সাধ! 



বিভাজন 

কামাল আহমেদ 


প্রিয়, মিথ্যে স্বপন করিনা বপন,

কারো খ্যাতি-চন্দন করিনা মোচন।


দেশ-মাতা-মাটি যত পরিপাটি,

স্বপনের হাঁটাহাটি রাখি তত খাঁটি। 

আপনারে তাই ছোট ভাবি ভাই, 

স্বপন সাজাই, ঘাস পথে যাই,

গালিচাতে হাঁটিনা ভাবি তা বারণ।


পথে পথে যার গালিচা সোনার , 

অধম কি আর পথ মাড়ে তার? 

তারই সুখ-গান করি বিরচন।


তুমি-আমি-ওরা সুখে-দুঃখে জোড়া, 

এক ভবে মোরা এক মাটি-গড়া। 

তবু কেন প্রিয়জন এতো বিভাজন? 



শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট