ভালোবাসাবাসির পদাবলি : ০২













ভালোবাসার নেই দিবস
শাহীন খান

ভালোবাসা কি ছেলের হাতের মোয়া
কিংবা ধরো ফাগুন বেলার কোকিল
হঠাৎ করে আলত কারো ছোঁয়া
মুচকি হাসি অথবা খিলখিল?

ভালোবাসা কি শুধুই ফোনে কথা
ম্যাসেনজারে কীবোর্ড টেপার ঝড়
অথবা কি ফেবুক আকুলতা
ম্যাঁও ধরানো হাবিজাবি অন্তর?

ভালোবাসা কি মিছে মায়ার ঘোর
লোলুপ নয়নে তাকানো দেহের পানে
দু’দিন যেতেই কাছে পাবার ঘোর
শয্যা যে হয় এখানে- সেখানে!

ভালোবাসার নেই দিবস ক্ষণ মাস
দু’টি মনের মিলনকে কয় প্রেম
পেয়ে হারানোর থাকে দীর্ঘশ্বাস
যেখানে থাকে না শুভংকরের গেম।




দুঃখ নয় ভালোবাসার কাছে
মোহাম্মদ আবদুর রহমান

আর কোন দুঃখ
আমাকে হারাতে পারেনা
বরং হেরে যায় তারা
জীবনে তো শুধু দুঃখের সাগর গড়েছি
এত টুকু হৃদয়ে।

কোন দুঃখ দ্রুত গতিতে আসে
অহংকার বুকে নিয়ে
কিন্তু লজ্জিত হয়ে ফিরে যায়।
যখন দেখে তার আয়তন
হৃদয়ের দুঃখের সা¤্রাজ্যের তুলনায়
সে অতি নগন্য ।

তবে সামান্যতম ভালোবাসার কাছে
হেরে যায় বার বার
শোষক পদার্থের মত দুঃখকে শোষণ করে।
ঘন কালো অন্ধকার জীবন
হয়ে উঠে সুখের উর্বর ভূমি।
তবে কে দেবে ভালোবাসা
তেমন কপাল তো আমার নেই।


আমাদের শহর
আহমাদ সোলায়মান

যে শহরে নেই কোন নিশিথের মুখোশ
নেই কোন রাতের ডানামেলা প্রজাপতি
লাল-নীল, সবুজ রঙিন আলো নেই
পথে পথে নেই কোন তৃষ্ণার্ত দৃষ্টি।

আমাদের শহরে শুধু তুমি আর আমি
তোমার কথা যেন আবৃত্ত প্রেমকাব্য
আমার তৃষ্ণার্ত কণ্ঠে বাজে প্রেমসঙ্গিত
তোমার দৃষ্টন্দর জুড়ে প্রেমের সফেন।

তোমার একটু দূরত্ব জানিয়ে দেয় বিপদ সংকেত
শহর থমকে দাঁড়ায়, চাঁদ ওঠতে ভুলে যায়
তিলে তিলে গড়ে ওঠা স্বপ্নে জাগে টর্নেডো
বার্মুডা ট্রায়াঙ্গলে থাকে না ঘুর্নিপাক!

আবার, তুমি কাছে এলে
তোমার ছায়া পেয়ে জেগে ওঠে সূর্য
তখন, অসম্ভব বলে কিছু বেঁচে থাকে না।



মৃত মাছের অপলক চোখ
মিজান মনির

তোমার জন্যেই বাঁচবো
পথ হেঁটে একযুগ জন্মদিন পালন করেছ
মৃত মাছের অপলক চোখে তোমার বেড়ে ওঠা দেখে
প্রহর গুনছি
গোলাপ-জুঁই-বেলির সাথে খেলা করছি
আমার জপ-তপ-ধ্যানে শুধুই তুমি

মহামায়া পেছনে ফেলে
সাঁজাবো হৃদয়ের আঙিনায়
অব্যক্ত কথা বলবো আলোহীন একরাতে!
গোলাপের গন্ধ শুঁকে শুঁকে।


এক জনমের চাওয়া
মজনু মিয়া 

পৃথিবীর বুকে ভালোবাসা ক্রমশ বাড়ছে
কমছে আমার জন্য,
চৈত্রের খড়তাপের মত শুকিয়ে যাচ্ছে মন -
সেই অপলক চাহনি।
তরমুজের বীজের মত ঝকঝকা দাঁত আর
মুগ্ধ করা হাসি এখন বাসী,
তবুও একটা আজন্মের চাওয়া থেকে গেছে
হৃদয়ের গ্রন্থিতে জমা।
উর্বশী তোমার লোমশ শরীরে সাদা চামরার-
ভীড়ে আমার আকুতি,
কালো কেশের নীড়ে আমাকে যদি একবার
নরম কপোল ছুঁতে দিতে!
তোমার গহিন বুকে হারিয়ে যেতাম আজীবনের-
এ স্বাদ আমার পূরাও,
যূগল পায়ে, নিজ হাতে পড়াতে দাও  নূপুর-
কমলা ঠোঁটে হারিয়ে যাই,
জানি শেষ নেই, তোমাকে চাওয়ার তবুও চাই -
পারলে একবার দেখা দিও।







শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট