পদাবলি : ০২

 



ভালবাসা দুরত্ব মানে না
রাসেদুল হাসান রাসেল

মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে-
তোর কপালে কালো টিপ হয়ে তোর সাথে মিশে থাকি।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে-
তোর খোঁপার ঐ কালো কেশে রক্ত জবা হয়ে ফুটি।
তোকে সাজাই আমি আমার মতো করে।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে-
তোর বারান্দায় দক্ষিণ পাশে রাখা পিঞ্জরের সবুজ টিয়ে হয়ে
তোর সাথে সারাক্ষণ কথা বলি।
তোকে গান শুনাই।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে-
তোর আলতা রাঙা পায়ে নুপুর হয়ে রিনিঝিনি শব্দে তোকে ব্যাকুল করে রাখি।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে-
তোর খোলা জানালার পর্দা হয়ে তোকে আড়াল করে রাখি।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে-
তোর বসত ঘরটা আমার বাড়ির আঙ্গিনায় নিয়ে আসি,
কারণ-
ভালবাসা দুরত্ব মানে না।



পাথর এবং ক্ষত বিক্ষত হওয়ার গান
দ্বীপ সরকার

পাথরের ধ্বনি বলে কোন ধ্বনি নেই ,সব কিছু মানুষের সাথে মানুষের ধ্বনি
ধূসর ডিগবাজির নাম-

পাথরের ঘর্ষণে রসুন পিঁয়াজের কি যে দহন ! লৌকিকতা ছাড়িয়ে বহুদূর,
বহু নিবির ও প্রকাশ্যে বিস্তারিত সুর
সমর্পিত হলে কান্নার রোম- পাঁজরের সাথে ছুপ ছুপ রক্তগুলো কথা বলে ইদানিং

ডাকসাইটে রাতÑ ঘুঙুর সরানো ভুল, জোসনার মতো শরৎ ভাঙা আকাশের ডানা
আচমকায় ঘুম ভেঙে দেয় আমার। বালিশের চেকপোস্টে লেগে আছে দাউ দাউÑ
সেই যে দুঃখকালের পরন্ত জোসনা রাত ,পাথরের ধ্বনি কানে বাজে আমারÑ সিলপাটার ঘর্ষণে  যে সুর তুলেছিলো নববঁধু নিখুঁত করে

ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় পাহাড়ের ঘুমে- জ্বলে ওঠা হরিণীর শিং
পাগলের মতো তাড়িয়ে বেড়ায় কে বা কারা দৌড়োয়;
ছাতিম বৃক্ষ পর্যন্ত তার মোহন পায়ের আওয়াজ-
সে এক ক্ষত বিক্ষত হওয়ার গান !


পৃথিবীর বিবর্তনবাদ
দিপংকর ইমন

থেমে গেছে জন কোলাহল
পৃথিবী এখন শুধু পাখিদের দখলে।
কিছু মেঘ ডাকে,
ভৈরবী রাগ কিনা, অপ্রাসঙ্গিক সময় এখন।
বৃষ্টির ঝুমুর তালে আন্দোলিত হয় না কবিতা
তবুও লাল কাঁকড়ার শিল্প চর্চা
আশা জাগায় গৃহবাসীর।
পৃথিবী থামেনি
পাখিদের রাজত্ব কেবল।
বিবর্তনবাদ আজ গলা ছেড়ে গান গায়
উচ্চাঙ্গ সংগীতের রাজকীয় ঢংয়ে।
 


শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট