‘সুকুমার বড়ুয়া’ বাংলা ছড়ার দিকপাল


সাহিত্যবিশারদ সুহৃদ চট্টগ্রাম’র সংবর্ধনায় ড. মাহবুবুল হক
‘সুকুমার বড়ুয়া’ বাংলা ছড়ার দিকপাল
 

৫ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে চারটায়, চট্টগ্রাম একাডেমি মিলনায়তনে সাহিত্যবিশারদ সুহৃদ চট্টগ্রাম আয়োজিত ছড়া-জাদুকর সুকুমার বড়ৃয়ার ৮০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন, বিশিষ্ট গবেষক-প্রাবন্ধিক ড. মাহবুবুল হক। ড. আনোয়ারা আলমের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন, কবি-শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ, কবি-সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল, কবি-সাংবাদিক আবু তাহের মুহাম্মদ। ড. মাহবুবুল হক তার বক্তব্যে আরো বলেন, সুকুমার বড়–য়া আমাদের গর্ব, তিনি একাই বাংলা সাহিত্যের ছড়াকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। তার ছড়ায় কী নেই, আনন্দ-বেদনার সবটুকুই পাওয়া যায় সুকুমার বড়–য়ার ছড়ায়। অসাধারণ গুণি এ মানুষের ছড়া নিয়ে আমাদের কৌতূহলে শেষ নেই। আরমানউজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সুকুমার বড়–য়ার জীবনী থেকে পাঠ করেন মোস্তফা হায়দার। সুকুমার বড়–য়ার সৃষ্টিকর্ম নিয়ে প্রবন্ধ পাঠ করেন ইলিয়াস বাবর।

কামরুল হাসান বাদল বলেন, আমরা যে চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, যে স্বপ্নে বিভোর ছিলেন জাতির পিতা তা, সুকুমার বড়–য়া তার দীর্ঘ ছড়াজীবনে যা দেখেছেন, বিভিন্ন ইঙ্গিতে তা বলে যাচ্ছেন ছড়ায়। তার জন্যে আমাদের অবারিত শ্রদ্ধা। আবু তাহের মুহাম্মদ বক্তব্যে বলেন, তার ছড়ায় শব্দ প্রয়োগ অসাধারণ। বিশেষ করে আঞ্চলিক শব্দের ব্যতিক্রমি ব্যবহার তাকে করে তুলেছে একেবারেই আলাদা। রাশেদ রউফ বলেন, ছড়া-জাদুকর সুকুমার বড়–য়া তার ছড়ার মধ্য দিয়েই আমাদের যাপনের কথা বলে যান প্রতিনিয়ত। তার শব্দ চয়ন, চমৎকার অন্ত্যমিল এবং রসভাব তার ছড়াকে করেছে ছড়াকারদের আদর্শ। শুধুমাত্র ছড়া দিয়েই তিনি অর্জন করেছেন যত পুরষ্কার আর ভালোবাসা-শ্রদ্ধা। সুকুমার বড়–য়া তার বক্তব্যে বলেন, আমি চট্টগ্রামেরই সন্তান, চট্টগ্রামেরই সাহিত্যবিশারদ সুহৃদ যে আয়োজন করেছেন তাতে আমি আনন্দিত। সারা জীবনই আমি ছড়ায় বলতে চেয়েছি মানুষের আনন্দ-বেদনার কথা। মনের আনন্দে লিখেছি, তাতে অনেকেই অনেকভাবে আমার ছড়া নিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন। আসলে শিল্প হয় মনেরই খেয়ালে। আমি আশা করবো, আমাদের তরুণ প্রজন্ম ছড়াতে তুলে আনবে তাদের স্বপ্নের কথা, আশার কথা। সাহিত্যবিশারদ সুহৃদ চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে সুকুমার বড়–য়াকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন ড. মাহবুবুল হক, উত্তরীয় পরিয়ে দেন ড. আনোয়ারা আলম, নগদ অর্থ তুলে দেন রাশেদ রউফ। এছড়াও বক্তব্য রাখেন কবি-শিশুসাহিত্যিক শেখ সাইফুল্লাহ রুমী ও সাংবাদিক আবু ওবাইদা টিপু। সুকুমার বড়–য়ার জন্মদিন উপলক্ষে প্রকাশিত দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের বিশেষ সংখ্যা প্রদান করেন, সাহিত্যসম্পাদক কবি অমিত বড়–য়া, সাপ্তাহিক স্লোগানের  বিশেষ সংখ্যা নির্বাহীসম্পাদক গল্পকার ইফতেখার মারুফ, দৈনিক ইনফো বাংলার বিশেষ সংখ্যা সিনিয়র রির্পোটার রাজু চৌধুরী। সুকুমার বড়–য়াকে নিবেদিত লেখাপাঠ, আবৃত্তি ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় অনেক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন। সুকুমার বড়–য়ার হাত দিয়েই মোড়ক উন্মোচন হয় আরমানউজ্জামানের শিশুতোষ বই ফুলপরীর উপহার। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. আনোয়ারা আলম বলেন, সাহিত্যবিশারদ সুহৃদ সত্যিকার অর্থেই একজন কিংবদন্তী নিয়ে আজকের আয়োজন করেছে। আমাদের তরুণেরা শ্রদ্ধায়-নিবেদনে সাহিত্যের উজ্জ্বল এ নক্ষত্রের সংবর্ধনা দিয়েছে, তার জন্যে তারা ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। সুকুমার বড়–য়া এভাবেই নতুনদের সাথে মিশে আছেন আয়োজনে, পঠন-পাঠনে। তাকে আমাদের অশেষ শ্রদ্ধা।


বার্তাপ্রেরক
ইলিয়াস বাবর



শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট
১১ জানুয়ারী, ২০১৮ এ ৩:৪৯ AM

ধানশালিক সবসময়ই তরুণদের প্রাধান্য দেয়... জয় হোক তারুণ্যের

Reply
avatar