ক্রাইসিস
স্বপন শর্মা
সব খানে বিশুদ্ধ বাতাসের ক্রাইসিস;
ধোঁয়ায় ধুলিকণা আর লিড সালফাইড;
সূর্যটা বেমালুম ঢেকে যাবে-
নাইট্রাস অক্সাইড আর কার্বন মনোক্সাইডে।
মেঘে আর জল নেই শুধুই এসিড কণা!
জ্বালো হাইড্রোকার্বন ভাঙ্গো ওজন স্তর
ছেয়ে যাক পৃথিবী বিধ্বংসী জীবানু আর বিষে।
সব ভুলে যাই; ব্যস্ত হই বিষ নিবারনে।
পুড়ে যাওয়া ক্ষত, মুছে যাওয়া দাগ
সেলিম রেজা
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুষে নাও অমৃত
নির্ভরতার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাও
হাতে হাত রেখে পাড়ি দাও সুউচ্চচূড়া
ষোল আর ষাটে কী আসে যায়!
ইচ্ছে হলেই সাঁতার সাঁতার খেলায় মত্ত
আকাশ ছোঁয়ার অদম্য বাসনায় জাগো
বয়সে কী আসে যায় এমন
যুদ্ধমাঠে পরাজয় মানতে কে রাজী !
অনভ্যস্ত বালির পথে ফেলে যাওয়া
স্বপ্ন ঘুড়ির নাটাই
চৌরঙ্গি মাঠে প্রেমিকযুগল চুমু খায়
ছুঁয়ে দেয় চিবুক
খোলা রাস্তার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে টিনেজ সময়
রোদে ভিজে পান করে ওয়াটার ম’ম
দীর্ঘ পথ হেঁটে হেঁটে পুষ্টিহীনতায় ভোগে চোখ
আয়না জলে দেখে নিষ্পাপ মুখ
ঢের আছে দেখা ঝরাপাতায় আগুন
পুড়ে যাওয়া ক্ষত, মুছে যাওয়া দাগ;
বেঁচে থাকার দীর্ঘ আয়ু ফিরে পায় স্বপ্ন বালক
নুজ্ব্য সময় বয়সের ভারেও উড়ে কপোতীর পালক...
বিরহী বর্ষা
এম এ ওহাব মণ্ডল
বর্ষা এলে শূন্যতা আহ্বান করে
নিখোঁজ হওয়া একটি নাম।
অথচ,অগণিত মানুষের পৃথিবীতে ওই নামের অবয়ব
হারিয়ে গেছে ফেলে আসা শৈশবের মতো।
এখন বর্ষা আসে গাল ভরা জল নিয়ে
থকথকে বিরহ মন্থন শেষে অস্ত যায়
প্রত্যেহ ডুবে যাওয়া আদিত্যের মতো।
বর্ষা এলেই বুকের ভেতর জেগে ওঠে
কালজয়ী কিছু ক্ষত।
জানালার শিক ভেদ করে আসা
বৃষ্টিভেজা কদমের পরিচিত ঘ্রাণ
কষ্ট বুনন করে যায় শূন্য বিছানায়।
বর্ষা এলেই ভীষণ বিরহ পালক হয়ে ওঠি।
যাতনা সহিষ্ণু গৃহিণীর মতো বিরহ সই
বর্ষার সংসারে।
কতদিন এমন করে ভিজিনি
নূরনবী সোহাগ
কতদিন যায়- স্মৃতিহীন হয়ে
অথচ আমাদের মেঘ দেখা হয়না আয়োজন করে
তেমন করে কি আর বর্ষাও নামে?
চুপচুপে শরীর চুয়িয়ে
নগরের কালোপিচে কখনো বা
হুটহাট নেমে বসে অঝোর ধারা
কই, আমাকে তো ছুঁয়ে দেয়নি কালোজানালা ভেদ করে কিংবা আমি
মরার বৃষ্টি; বলে চারিদিকে কেবল অপবাদ শুনি
আর তুমিও দিনে দিনে পোষ মানলে
ভোঁতা অনুভূতির খোপে
এত এত নি®প্রাণ শিকড় ছিঁড়ে
তুমি ছুটে যাওনি বৃষ্টি ছুঁতে।
আজ অসুখের নাম দাও খরা
পুড়ে যাচ্ছে যেন তোমার আমার নিজস্ব উঠোনটা
ভেবে নাও; ছাদ ঠেকেছে মেঘে
দুমুঠু বৃষ্টি নাও- কতদিন এমন করে ভিজিনি
তুমি আমি, তুমুল আগ্রহে