পদাবলি : ১




এক দম্পতির গল্প
শাহীন মাহমুদ

ইচ্ছের ফোটা গুলো ভাঙ্গে জানালা। এই নগরে আজ ঝরছে স্বপ্নবৃষ্টি
এই শহরে বসবাস এক অলৌকিক দ¤পতির। ঝুলে আছে পুরো কংক্রিট নগর
পাঁজরের সিঁদ কাঁটা রাস্তায়;ফিসফিস সরল প্রেম বলে-সব রাখা আছে টেবিলে
চুপচাপ খেয়ে চলে যাও; আজ না হয় তুমি আগন্তুক আমার ঘরে।
ইচ্ছের ফোটা গুলো ভাঙ্গে জানালা। মাঝরাতে ঝিমধরা বোধের জোনাক
মৃত্যুর ঠিক এক মিনিট আগে মৃদুস্বরে বলে
আসলে আমরা দম্পতি ছিলাম এক অলৌকিক দ¤পতি।


কথা বলো
জোবায়ের মিলন

কথা বলো
যে কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলো।
মাছ নিয়ে কথা বলো, মাছি নিয়ে কথা বলো;
জল নিয়ে কথা বলো, স্থল নিয়ে কথা বলো;
কথা বলো।
কথা বলতে বলতে প্রস্ফুটিত হবে- কী নিয়ে কথা বলতে হয়
কী নিয়ে কথা বলতে হয় না কখনো,
কী নিয়ে কথা বললে পূণ্যে পূণ্যে ভরে ওঠে রাশিফল
কী নিয়ে কথা বললে অসূচী হয় মহাভারত।

কথা বলো
আর কোনো বিষয়, কোনো সহপাঠী না পেলে
নিজেই নিজের সাথে কথা বলো,
যুক্তি-খন্ডন করো প্রতি:ছায়া’র সাথে।

শরণার্থী প্রেমিক
দালান জাহান

প্রতিটি নিঃশ্বাস যেন বেদনার দীর্ঘ ট্রেন
অভিজাত অহংকার অধ্যয়নে
চলে যায় সে হৃদয় বিদীর্ণ করে চলে যায় ।

আষাঢ় শ্রাবণ চোখে তবুও
প্রশ্ন তুলে কাজল কোকিল
না বলা কথাগুলোর হাজার কথায়
মরা নদীর ঢেউয়ে ভেজায় নতুন ঘুড়ি
পুরণো সেই শিবির থেকে
ওঠে আসে শরণার্থী প্রেমিক
আর আমি জ্বলতে থাকি
বিরাবান আরাকানের মতো।

বিষাক্ত চোখ ও ভুল সার্জারি
শাহমুব জুয়েল

বিষাক্ত চোখ ও ভুল সার্জারিতে কেঁপে উঠে অবুঝ শরীর, শায়িত উঠোনে, কার শরীর, কার ঘাম, তাতেও নিশ্চয়তা নেই, গন্ধশুকে পাগলা হাওয়ায় ভেসে যায়। সবুজের আড়ালে, জলের ঢেউয়ে-উর্বর মাটির সিনায়। বালিয়াড়ি দ্বীপে, উপেক্ষিত কচকচে রোদ্দুর ভাঁজে, নজরশুন্য এক মনবলির রাজত্বে, উন্মাদ রোদে উড়ে উন্মাদ সময়-উদাসীন প্রাণ কারো বাঁধায় হটা নয়, চলুক খেল---পড়–ক বেলা। ডাল থেকে ডালে, পাড় থেকে পাড়ে, ক্রুটিপূর্ণ মেশিনবদলের মত, নতুন যন্ত্রদানবে মত ভর করে আলগোছে লুকিয়ে থাক দূয়ন্ত শরীর ছায়া। নেমে আসুক দিগন্ত মাঠে, কামিনী রোদ ভেঙ্গে চাহনি নদীর পেটে, রোদ-নদীর দৌরাত্ম্যে পেটে-পীঠে আজ বেকার সভ্যতাভিমানী সময়....

ভুলে ভুলে জীবন বাসায় অজানা এক উদ্যত সমুদ্র¯œানে, রোদ্দুর দিনের মত গর্জানো শরীর শুকায় কাঠুরির কাঠসমেত স্তুপের মত, ত্যাজহীন নদীর জলখেলার মত, পুরনো কারখানার মত, হারায় হীরকসম জীবায়ু। মজা ও স্বাদের আরশিতে ফুটে উঠে নাবালক সময়, ক্লান্ত বিবেক বেশ আনমনে উপায় বধে সয়ে যায়। কি বা করার থাকে বলো অসহায়-এ রাজত্ব।

রাজ্যময় ত্যাজ যার গোটা দুনিয়াও তাঁর, আসন থেকে আস্তিনে বিষাক্ত চোখ এসে সার্জারি করে রক্তধনুতে শুকায় বেখেয়ালি সময়, বিষাক্ত চোখ সার্জারিতে উড়ে প্রাণ আগ্নেয়গিরির দুর্দান্ত ভুলহাওয়ায়...



শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট