মিলনের বইটি মুক্তিযুদ্ধের সত্যনিষ্ঠ ইতিহাস”র্চ্চায় গবেষকদের কজে লাগবে

 



মিলনের বইটি মুক্তিযুদ্ধের সত্যনিষ্ঠ ইতিহাস”র্চ্চায় গবেষকদের কজে লাগবে 

নির্মলেন্দু গুণ    


আমার জন্মসাল আর সংগ্রামী জননেতা এডভোকেট রহমত আলীর জন্মসাল এক, ১৯৪৫। আমি একই খ্রিষ্টবর্ষের জুনে, তিনি সেপ্টেম্বরে। অকালপক্ব শুভ্র-শ্মশ্র“ ও দাড়ির কারণে আমরা দীর্ঘ চলি¬শ-বিয়ালি¬শ বছর ধরে পরস্পরকে অগ্রজ বলে জ্ঞান করে এসেছি। ‘অর্ধ শতাব্দীর রাজনৈতিক জীবন : কালের আয়নায় রহমত আলী’ গ্রন্থের পান্ডুলিপি পাঠ করে জানলাম তিনি আমার প্রায় জন্ম-সহোদর। জন্মগ্রহণ করার জন্য দ্বিতীয বিশ্বযুদ্ধের তান্ডবমুক্ত ১৯৪৫ বছরটি যে মন্দ নয়, আমার এই ধারণা ও দাবির প্রতি জনাব রহমত আলীর সমর্থন রয়েছে জেনে আমার খুব আনন্দ হলো। 

আত্মজৈবনিক রচনার প্রতি আমার বিশেষ আগ্রহ এবং দুর্বলতা রয়েছে, তা যদি কোনো অখ্যাতজনের জীবনীও হয়, তাতেও আপত্তি নেই। নীরদ সি চৌধুরীর ‘অটোবায়োগ্রাফি অব এন আননোন ইন্ডিয়ান’- গ্রন্থটির কথা স্মরণ করা যেতে পারে। 

শ্রীপুরের কৃতী সন্তান, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট রহমত আলীর অর্ধ-শতাব্দী-ব্যাপ্ত রাজনৈতিক জীবনের এমন অনেক অজানা-অধ্যায় বর্তমান গ্রন্থটিতে বর্ণিত হয়েছে, যা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সত্যনিষ্ঠ ইতিহাস”র্চ্চায় গবেষকদের কজে লাগবে।     

তিনি তাঁর জীবনকথা নিজে রচনা করেননি বটে, তবে, তরুণ কবি-সাংবাদিক ইজাজ আহমেদ মিলন যে তাঁর নির্দেশিত পথেই তাঁর সংগ্রামী জীবনের আলেখ্য রচনা করেছেন, সে আমি ব্যাক্তিগতভাবে জানি। ইজাজ আহমেদ মিলন সুখপাঠ্য কাব্যিক ভাষায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহচ্ছায়ায় বেড়ে-ওঠা জননেতা রহমত আলীর দীর্ঘ জীবনকাব্যের অনেকটাই পাঠকের দরবারে বিশ্বস্ততার সঙ্গে হাজির করতে সমর্থ হয়েছেন। 

এই গুরুত্বপূর্ণ জীবনী-গ্রন্থের প্রাক-কথা রচনার দায়িত্ব দিয়ে জননেতা বন্ধুপ্রতিম রহমত আলী আমাকে গৌরবান্বিত করেছেন। 

আমি পরম করুণাময়ের কাছে তাঁর জন্য সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন কামনা করছি। 


নির্মলেন্দু গুণ

কামরাঙ্গীর চর, ঢাকা।



শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট