শব্দমিছিল : আহমেদ বাবলু


শব্দমিছিল
 আহমেদ বাবলু

একজন একলব্যের বয়ান 

বোধের সমস্ত ঢেউ আমার ব্যক্তিগত নদীর।
ঢেউয়ের অভিঘাত আমাকে শিক্ষিত করে অবিরাম,
তুমি যার হদিস পাবে না প্রিয়।
অথচ কখনও খুব গভীর নিভৃতে, কখনও বা উচ্চকিত কলরবে,
সেইসব ঢেউ নির্মান প্রক্রিয়ায় তোমারও ভূমিকা ছিল বেশ।
আমার বোধের নদীতে তুমি ঢিল ছুঁড়েছিলে, ভিজিয়েছিলে পা;
তোমার উত্তপ্ত শরীর ডুব মেরেছিল কোনো কোনো দিন-
তুমি শান্ত হতে চেয়েছিলে,
কখনও কোনো মায়াবি সন্ধ্যায়, একটি হাতের কয়েকটি আঙ্গুলের ঝাঁপটা,
সাক্ষী হয়েছিল- আমার বোধের জল।
সেইসব তরঙ্গ থেকে- আমি ক্রমাগত পাঠ নিতে নিতে
শিখে ফেলি জীবনের বিচিত্র ব্যাকরণ;
তুমি জানলে না! আমি তোমার একলব্য হই।


একটি ছবি আঁকা হবে 

মানুষের বিচিত্র ব্যর্থতা নিয়ে যখনই কোনো ছবি আঁকতে গেছি
আঁকা শেষ হলেই কী করে যেন তা একেকটি সেলফ পোট্রেটে রূপান্তরিত হতো।
এবার ভাবছি তোমার হৃদয়হীন সকল সফলতার রঙ এক করে
নতুন কোনো একটি ছবি আঁকা যায় কিনা
এবং সে ছবি আঁকতে গিয়ে আমি এবার কী করে আমাকে এঁকে ফেলি
তা প্রত্যক্ষ করবার জন্যে, নিজের পাশেই বসে থাকবো
ভেবে রেখেছি।


গভীর অসুখের কবিতা

বুকের ভেতর গভীর এক অসুস্থতা বোধ হলে
আমি তোমার মুখের দিকে চেয়ে থাকি হে মাতৃভূমি।
তুমি আমার চোখে চোখ রেখে আমাকে পড়তে পারো নাকি?
তোমার বুকে যে অমৃত পান করবো বলে আমি মুখ রাখি বার বার
তুমি কি আমার সেই তৃষ্ণা অনুভব করো?
মাগো- বড় অসুখ এ বুকে ! সে অসুখ সারা দেহে ছড়িয়ে পড়বার আগে
আমাকে তুমি রক্ষা করো। আমি অমৃতের পুত্র হতে চাই।



শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট