ছেঁড়াগল্প


ছেঁড়াগল্প

আশরাফ চঞ্চল


এক শিশি বিষ কিংবা বেকার প্রেমিকের গল্প


সাত বছর প্রেম করার পর অনিতা এসে বললো, ‘আমার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হইছে, হয়তো এই দেখাই শেষ দেখা, পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও। ওই ছেলে সরকারি চাকরি করে আর তুমি তো বেকার, নিজেই তো চলতে পারোনা, আমাকে চালাবে কী করে?!’

আমার উপর দিয়ে বড় ধরনের একটা ভূমিকম্প বয়ে গেলো। চোখ ভরা অথৈ জল। দেখছিনা কিছুই। ওহে হারাধন কোথায় আছিস, আমাকে এক শিশি বিষ এনে দে ভাই! আমি অন্যজগতে গিয়ে প্রেমবিহীন বাঁচতে চাই!


বউ কাহিনি


প্রথমা সংসারে এসেই বললো, আমার নাকি কিছুই নেই, তলে তলে আমি পুরোটাই হিজড়া!

দ্বিতীয়া এসে বললো, আমার নাকি চরিত্রই ভালোনা, পর নারীতে আসক্তি, মদ জুয়ায় মেতে থাকি! তৃতীয়া এসে বললো, আমি নাকি পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকি, বৃদ্ধ মা-বাবাকে বেশি গুরুত্ব দেই! তাই সংসার করা সম্ভব না। চতুর্থার কথা ভাবতেই সিটি কর্পোরেশনের লোক এসে বলে গেল, পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা রেডি রেখে বিয়ে করুন! কৈ রে বিপাশা, তুই-ই বল, শহর ছেড়ে এখন কই যাই?


প্রেমপত্র


মোবাইলে এক সাহিত্য সম্পাদকের কাছ থেকে একটা মেসেজ এলো, অচিরেই প্রেমপত্র সংখ্যা বেরুচ্ছে। লেখাদিন। বাহ্! আমি তো আনন্দে আত্মহারা, এই বুঝি সুযোগ এলো প্রিয় মানুষেরে নিয়ে কিছু একটা লেখতে! ঘরে খাতা তো নেই! খাতা এলে কলম নেই! হায়রে ডিজিটাল যুগ! লেখতে গিয়ে বুঝলাম, আমার মনে এখন প্রেমই নেই! সবটাই ধু ধু ফাঁকা। কর্পোরেটের এই যুগে আবেগ অনুভূতি ধুয়ে মুছে শেষ হয়ে গেছে। বেঁচে থাকার টানাপোড়নে চাঁপা পড়েছে স্মৃতিমুখর শৈশবকাল! শত চেষ্টা করেও লেখতে পারলাম না কিছুই। মনিষা তুই কই রে, আমাকে একটা প্রেমপত্র লেখে দে না!


টাওয়াইল, খারুয়া,নান্দাইল, ময়মনসিংহ।






শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট