কাজী নজরুল ইসলাম
অসাম্প্রদায়িক, সাম্যবাদী ও মানবতার কবি
সৈয়দ আসাদুজ্জামান সুহান
বর্তমান
পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় সংকটের নাম হচ্ছে মানবতা। অধিকাংশ মানুষের মুখে একটাই
কথা, বিশ্বব্যাপী বিপন্ন মানবতা। মানুষের মাঝে মানবিক মূল্যবোধ ক্রমেই
হ্রাস পাচ্ছে। দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে সামাজিক বৈষম্য, বিনষ্ট হচ্ছে
ধর্মীয় ও জাতিগত সম্প্রীতি। অদৃশ্য সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার ও শাসন আজও
পৃথিবীর বুকে স্পষ্টভাবে বিদ্যমান। এই অত্যাধুনিক যুগেও সাম্প্রদায়িকতার
বিষবাষ্পে পৃথিবীতে হিংসা-বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ছে আর অকাতরে নিরীহ মানুষ হত্যা
করা হচ্ছে। বর্বরতার চূড়ান্ত সীমা ছাড়িয়ে গেছে নারী নির্যাতন। আর এসবের
বিরুদ্ধে লড়াই করে গিয়ে ছিলেন বিংশ শতাব্দীর কিংবদন্তি বাঙালি কবি কাজী
নজরুল ইসলাম। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী, সাম্যবাদী, বিদ্রোহী,
প্রেম ও দ্রোহের কবি। বাংলা সাহিত্যের ক্ষণজন্মা, বিরলপ্রজ বিস্ময়কর
প্রতিভা ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ,
ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, গায়ক, অভিনেতা,
সাংবাদিক, সম্পাদক ও সৈনিক। বাংলাসাহিত্যে দৃঢ়তা বা শক্তিময়তার যে অভাব
ছিল, তার সৃষ্টি দ্বারা তিনি অবলীলায় তা পূরণ করেছেন। তার অনবদ্য সৃষ্টিতে
বাংলা কাব্য সাহিত্য ও সঙ্গীত জগতকে তিনি অনন্য মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত
করেছিলেন। নজরুলকে মূল্যায়ন করতে হলে তার অনন্য সৃষ্টি দিয়েই মূল্যায়ন করতে
হবে। তিনি যেখানেই অন্যায় দেখেছেন, সেখানেই প্রতিবাদ করেছেন। কখনো
অন্যায়ের সাথে আপোস করেননি, এটাই তার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য। তিনি ব্রিটিশ
সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে স্বদেশী আন্দোলনের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়ে ছিলেন বিদ্রোহী
কবিতা রচনা করে। এক বিদ্রোহী কবিতাই পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে কাঁপিয়ে
দিয়ে ছিল। তিনি মাথা উঁচিয়ে বলেছিলেন- "বল বীর/ বল উন্নত মম শির!/ শির
নেহারী' আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর!/ বল বীর/ বল মহাবিশ্বের মহাকাশ
ফাড়ি/ চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি/ ভূলোক দ্যূলোক গোলোক ভেদিয়া/
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া/ উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!"
তিনি
গানের বুলবুল, উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানবতাবাদী কলমযোদ্ধা। তিনি দুখু
মিঞা, জীবনকে দেখেছেন নিদারুণ দারিদ্র্যের নিষ্পেষণে দীর্ণ-শীর্ণ হতে। সেই
কারণেই হয়তো শৈশব হতেই তিনি ছিলেন বেপরোয়া এক জীবনসন্ধানী। জীবনসত্য
অন্বেষণ করতে তিনি ছুটেছেন নিরন্তর। তিনি চঞ্চল, অস্থির, কখনওবা দারুণ
অভিমানী। অভিমানই তাহাকে বিদ্রোহী বানিয়েছে। সে কথা তিনি নিজেও অকপটে
স্বীকার করেছেন। তিনি নিজের সম্পর্কে বলেন, "এই বাঁধনহারা মানুষটি ঘরোয়া
আঙিনা পেরিয়ে পালাতে চেষ্টা করেছে। যে নীড়ে জন্মেছে এই পলাতক, সেই নীড়কেই
অস্বীকার করেছে সর্বপ্রথম উড়তে শিখেই।" কখনও যাত্রা দল, কখনও লেটোর দলের
সঙ্গে ক্লান্তিহীন ছুটেছেন দেশের নানা প্রান্তে। বিদ্রোহী চেতনার দুর্নিবার
এই বাঁধনহারা মানুষটি সারা বিশ্বটাকে দেখার সংকল্পে লিখেছিলেন- "থাকব না
কো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগৎটাকে/ কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরের
ঘূর্ণিপাকে/ দেশ হতে দেশ দেশান্তরে/ ছুটছে তারা কেমন করে/ কিসের নেশায় কেমন
করে মরছে যে বীর লাখে লাখে/ কিসের আশায় করছে তারা বরণ মরন-যন্ত্রণাকে।"
নজরুল তার কিশোর বয়স থেকেই নিপীড়িত ও নির্যাতিত সাধারণ মানুষের পাশে
দাঁড়িয়ে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তিনি শোষক শ্রেণীর
বিরুদ্ধে তার শাণিত কলম ধরেছিলেন, যা আজও এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। তিনি
শ্রমজীবীদের প্রতিনিধি হয়ে হৃদয়স্পর্শী মানবিকতা থেকে লিখেছেন- "দেখিনু
সেদিন রেলে/ কুলি বলে এক বাবু সাব তারে ঠেলে দিলে নীচে ফেলে!/চোখ ফেটে এল
জল/ এমনি করে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?" মানবতার সাথে সাম্যের বাণী
তার সৃষ্টিতে বারে বারে উচ্চারিত হয়েছে। তিনি অন্যত্র লিখেছেন- "এই হৃদয়ের
চেয়ে বড় কোন মন্দির কাবা নাই কিংবা কারো মনে তুমি দিওনা আঘাত/ সে আঘাত লাগে
কাবার ঘরে/ মানুষেরে তুমি যতো কর ঘৃণা/ খোদা যান তত দুরে সরে।"
নজরুল
ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী একজন সাম্যবাদী। তিনি ধর্মীয়
কুসংস্কার ও সাম্প্রদায়িক বিভেদের বিপক্ষে কলম ধরে একটি অসাম্প্রদায়িক ও
সাম্যের পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতেন এবং দেখাতেন। তিনি যা বিশ্বাস করেছেন-তাই
বলেছেন এবং তাই করেছেন। যে কারণে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেছেন- "ধর্মের জন্য
মানুষ নয়, মানুষের জন্য ধর্ম।" জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের উর্ধ্বে
ছিলেন বলেই তিনি লিখেছেন- "গাহি সাম্যের গান/যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব
বাধা ব্যবধান/ যেখানে মিশেছে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রিস্টান।" বাাংলর
সাধাারণ হিন্দু মুসলমান হাজার বছর ধরে পাশাপাশি বাস করে আসছে। ধর্মীয়
কুসংস্কারের বাইরেও সমাজপতিরা নিজ স্বার্থে সমাজে প্রতিহিংসা ছড়িয়ে ধর্মীয় ও
জাতিগত সম্প্রীতি বিনষ্ট করে। তাই তাদের হুঁশিয়ার করে নজরুল অন্যত্র
লিখেছেন- "হিন্দু না ওরা মুসলিম ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?/ কান্ডারী! বলো ডুবিছে
মানুষ, সন্তান মোর মার।" আমাদের সমাজে নারী ও পুরুষদের আলাদা করে দেখা
হলেও নজরুল উভয়কে মানুষ হিসেবে দেখতেন। তিনি সুগভীর ভাবে উপলব্ধি করতেন,
নারী মুক্তি ব্যতীত সমাজ ও দেশ এগিয়ে নেওয়া অসম্ভব। দেশের অর্ধেক জনশক্তি
অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকলে দেশ ও জাতি অন্ধকারে ডুবে থাকবে। তৎকালীন সমাজে
নারীদের অবদান স্বীকৃত ছিলো না। পুরুষই সর্বেসর্বা আর নারীদের দেখা হতো
পরনির্ভরশীল দূর্বল হিসেবে। নজরুল বিশ্বাস করতেন, এই পৃথিবীতে যত কল্যাণকর
কাজ আছে, তার সবকিছুতেই পুরুষের পাশাপাশি নারীর সমান অবদান আছে। পক্ষান্তরে
পৃথিবীতে রক্তপাত, হাসাহাসি, বেদনা, দুঃখ, কষ্টের যে স্রোত বহমান- তাতেও
নারী-পুরুষ সমানভাবেই দায়ী। তাই তিনি লিখেছেন- "সাম্যের গান গাই/ আমার
চক্ষে পুরুষ রমনী কোনো ভেদাভেদ নাই।/ বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির
কল্যাণকর/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।/ বিশ্বে যা কিছু এলো
পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি/ অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।"
নজরুল
সমাজচেতনা ও রাজনৈতিক জগতের সর্বোত্তম কবি, যিনি গণমানুষের সঙ্গে
সাহিত্যের যোগসূত্র স্থাপন করেছেন। তিনি ছিলেন কর্মে ও চিন্তায় স্বাধীন।
দাসত্বের বন্ধন মুক্তি ও প্রাচীন সংস্কারের শৃঙ্খল ভঙ্গ করার সংগ্রামে
উচ্চকণ্ঠ। তার সৃজনশীল কর্মে এসব প্রকাশ পেয়েছে পরতে পরতে। তার কাব্যের
বাণী, গানের কথা কিংবা ক্ষুরধার লেখনী বুলেটের চেয়ে শক্তিশালী ছিল। মাত্র
২৩ বছরের সাহিত্যজীবনে তিনি বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতকে সমৃদ্ধ করেছেন।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলন পর্যন্ত
বিপুল প্রেরণা জুগিয়েছে তার গান, রচনাবলি ও কবিতা। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে
তিনি 'বিদ্রোহী কবি' এবং আধুনিক বাংলা গানের জগতে 'বুলবুল’ নামে খ্যাত।
নজরুল তার সাহিত্যকর্ম এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে অবিভক্ত
বাংলায় পরাধীনতা, সাম্প্রদায়িকতা, সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ, মৌলবাদ এবং
দেশি-বিদেশি শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন। এ কারণে ব্রিটিশ সরকার তার
বেশ কয়েকটি গ্রন্থ ও পত্রিকা নিষিদ্ধ করে। এমনকি কারাদণ্ডেও দণ্ডিত করা
হয়। তারপরেও তিনি দমে যাননি। বরং এতে আরও বেশি উৎসাহ পেয়েছেন। রাজবন্দীর
জবানবন্দী এবং প্রায় চল্লিশ দিন একটানা অনশন করে ইংরেজ সরকারের
জেল-জুলুমের প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। এই জন্যেই তাকে গ্রন্থ
উৎসর্গ করে শ্রদ্ধা জানান নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নজরুল যখন
আলীপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি তখন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ তার বসন্ত গীতিনাট্য
তাকে উৎসর্গ করেন। এ ঘটনায় উল্লসিত হয়ে কাজী নজরুল জেলখানায় বসে লেখেন
তার অনুপম কবিতা 'আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে'। সমকালীন অনেক রবীন্দ্রভক্ত ও
অনুরাগী কবি-সাহিত্যিক এই বিষয়টি ভালো চোখে দেখেননি। কেউ কেউ অভিযোগ করলে
রবীন্দ্রনাথ তাদের নজরুল-কাব্যপাঠের পরামর্শ দেন এবং বলেন, "যুগের মনকে যা
প্রতিফলিত করে, তা শুধু কাব্য নয়, মহাকাব্য।" নজরুল বাংলা গজল গানের
স্রষ্টা। গণসঙ্গীত ও গজলে যৌবনের দুটি বিশিষ্ট দিক সংগ্রাম ও প্রেমের
পরিচর্যাই ছিল মুখ্য। নজরুল গজল আঙ্গিক সংযোজনের মাধ্যমে বাংলা গানের
প্রচলিত ধারায় বৈচিত্র্য আনেন। তার বেশিরভাগ গজলের বাণীই উৎকৃষ্ট কবিতা
এবং তার সুর রাগভিত্তিক। আঙ্গিকের দিক থেকে সেগুলো উর্দু গজলের মতো
তালযুক্ত ও তালছাড়া গীত। নজরুলের বাংলা গজল গানের জনপ্রিয়তা সমকালীন
বাংলা গানের ইতিহাসে ছিল তুলনাহীন। ইসলামী সঙ্গীত তথা বাংলা গজল রচনারও
পথিকৃৎ তিনি। এছাড়াও তিনি অনেক উৎকৃষ্ট শ্যামা সংগীত ও হিন্দু ভক্তিগীতিও
রচনা করেন। নজরুল প্রায় তিন হাজার গান রচনা এবং সুর করেছেন। যেগুলো নজরুল
সঙ্গীত বা "নজরুল গীতি" নামে পরিচিত এবং বিশেষ জনপ্রিয়।
ছোটগল্প,
উপন্যাস, নাটক, গান, প্রবন্ধ-নিবন্ধ লেখা এবং সাংবাদিকতা করলেও তিনি মূলত
কবি হিসেবেই খ্যাতিমান। ব্যক্তিত্বের অনমনীয় দৃঢ়তায় নজরুল যেমন
সাম্রাজ্যবাদ ও অসাম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, ঠিক তেমনি সমকালীন সমাজের
হিন্দু ও মুসলিম সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে নিজের জীবন ও সাহিত্য দিয়ে
বিদ্রোহ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তার মতো অসাম্প্রদায়িক মানুষ পাওয়া বিরল।
১১ জৈষ্ঠ্য ১৩০৬ বঙ্গাব্দে (২৫ মে ১৮৯৯ সাল) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান
জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে জাতীয়
কবির মর্যাদা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনেন। বাংলা সাহিত্য ও
সংস্কৃতিতে কবির অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তনে কবিকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত
করে। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে নজরুলকে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের
নাগরিকত্ব প্রদান এবং ২১ ফেব্রুয়ারি 'একুশে পদকে' ভূষিত করে। ১২ ভাদ্র
১৩৮৩ বঙ্গাব্দে (২৯ আগস্ট, ১৯৭৬) তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নজরুল তার একটি গানে
লিখেছিলেন, "মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিয়ো ভাই/ যেন গোরের থেকে
মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাই।" জাতীয় কবির এই ইচ্ছার বিষয়টি বিবেচনা করে
কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাধিস্থ করার
সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং সে অনুযায়ী তার সমাধি রচিত হয়। জাতীয় কবি কাজী
নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্মের মূল্যায়ন করে সাহিত্য সমালোচকরা অকপটে স্বীকার
করেন, নজরুল কট্টর ভাবে ব্রিটিশ বিরোধী অবস্থান না নিলে সাহিত্য বিষয়ক
পৃথিবীর প্রায় সকল তকমা তার নামের পাশে শোভা পেত। তবে নজরুলকে কোন তকমা
দিয়ে নয়, বরং তার অমর সৃষ্টি দিয়ে মূল্যায়ন করতে হবে।