ই-পেপার : ধানশালিক : সংখ্যা ১৪০ : বসন্ত আয়োজন

ই-পেপার : ধানশালিক : সংখ্যা ১৪০ : বসন্ত আয়োজন
তারুণ্যের শিল্প সরোবর : ধানশালিক : সংখ্যা ১৪০
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০


বসন্তের আগমন...

বসন্তের আগমন...


বসন্তের আগমন
শেখ একেএম জাকারিয়া

‘দখিনা মলয়বায়ু
জুড়ায় এ প্রাণ
কাননে কুসুম কুঁড়ি
ছড়ায় সুঘ্রাণ,
কতসুখ কথকতা
গগনে ও পবনে
হৃদয় আকুল মম
এ বসন্ত বনে।’

শীতল সন্তাপ : সাদিক আল আমিন

শীতল সন্তাপ : সাদিক আল আমিন


শীতল সন্তাপ
সাদিক আল আমিন

...তারপর আবার লোকটা বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলো। কাদাময় নগ্ন মাটির শুকনো বুক ঝিরঝির ফোঁটায় থিতু হয়ে ভিজতে থাকলে মাটির মতো সেও শক্ত কাঠ হয়ে থাকা শরীরটা বৃষ্টির পানিতে ঢিলেঢালা করে নিতে লাগলো। মাটির মতো হতে চাইলেও কাদা আর মাংসের পার্থক্য বুঝতে পারলোনা। নাম তার নিজাম। নিজু বলে ডাকে সহকর্মীরা। বয়স হবে চল্লিশের ওপর। নিজেরও ধারণা নেই এ বিষয়ে। বিয়ে-শাদি সব পানির আর জলজ প্রাণীদের সাথে। মানুষের সাথে হয়নি।

পরকীয়া : সালমা বিনতে শামছ

পরকীয়া : সালমা বিনতে শামছ


পরকীয়া
সালমা বিনতে শামছ

আমাদের বাসাটা ছিলো ইন্দিরা রোড,
ওহহ, আমাদের নয় ; আপনার বাসা।
আমি যখন  নব বধূ হয়ে প্রথম এ বাসায় আসি,
দক্ষিণ কোণের আপনার রুমে আমাকে থাকতে বলা হয়।
প্রথম দু’দিন আমি একটুও খেয়াল করিনি এ রুম জুড়ে একটা বিশাল বারান্দা রয়েছে,

সেদিন মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়,
ঘুম ভেঙ্গে মৃদু আলোতে তাকিয়ে দেখি আপনি, বারান্দায় বসে আছেন, কাঁচের ডোরে লম্বা পর্দা দিয়ে ঢাকা বারান্দাটা প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যায়,
মৃদু আলোতে খেয়াল করলাম আপনি হাসছেন ; ওহহ কথা ও বলতেছেন..... কানে মোবাইল ফোন।

বসন্তের পদাবলি : ০১

বসন্তের পদাবলি : ০১


যখন ভালোবাসা নেমে আসে
অনিন্দিতা মিত্র

যখন ভালোবাসা নেমে আসে স্মৃতির ধুলোপথ বেয়ে তখন তোমার উঠোনে ছড়িয়ে পড়ে অভিমানের সোহাগ রেণু। নক্ষত্রের দল বুকে পাথর চেপে আছাড় খায় সমুদ্রের ফেনায়, শত শত পাখি ঘুরপাক খেতে খেতে মিলিয়ে যায় জলের গভীরে। গভীর থেকে আরো গভীরে যেতে যেতে তারা কুড়িয়ে নেয় শূন্যতা, একাকীত্ব জমা হয় বনভূমির পথে ,পথে পাইন ঝাউয়ের উচ্চতা ছোঁয় অন্ধকার। অপেক্ষার পারদ চড়তে চড়তে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় উপেক্ষার ভান্ডার। তবু ভালোবাসা নেমে আসে বসন্তের প্রজাপতি হয়ে। অনিন্দিতা মিত্র ,পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা ।


বসন্তের পদাবলি : ০২

বসন্তের পদাবলি : ০২


বসন্তবরণ ভালোবাসার দিনে
সোহেল রানা 

আজ বসন্তবরণ ভালোবাসার দিনে
শুধু চারুকলা প্রাঙ্গনই নয়,
শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসই নয়;
অমর একুশে গ্রন্থমেলাই নয়,
আজ উৎসবমুখর মানুষের যে
ঢল নেমেছে-
তাদের বেশভূষা, চালনবলন
সবকিছুতেই একটা বার্তা:
“মধুর বসন্ত এসেছে এবং মধুর মিলন
ঘটাতেই যে এসেছে।
রাজধানী ছড়িয়ে- আজ পুরো বাংলাদেশ
বাসন্তী উৎসবে মাতোয়ারা রেখেছে।

আজ মাধবীলতা ভালোবাসা দিবসে-
ভালোবাসার অবারিত দুয়ারে
লাল-নীল,
কেউ হিমু সেজে হলুদ পাঞ্জাবি পরে
প্রিয়জনের সান্নিধ্যে সময় করছে পার,
কেউ কপালে টিপ, মাথায় খোঁপা,
কেউবা কানে গুঁজে দিয়েছেন
গোলাপ তরতাজা;
প্রত্যায়ের প্রকাশে বিনিময় ফুল
আর হাতে হাত রেখে
চলতে চলতে পথও যেন ধরেছে গান।
আহা, রিনিঝিনি লাল চুড়ি- প্রেমিকার লাল শাড়ি,
সেই শব্দ যেন আন্দোলিত করছে
লাল অথবা সফেদ পাঞ্জাবি।

বসন্তের পদাবলি : ০৩

বসন্তের পদাবলি : ০৩



বাউণ্ডুলের অক্সিজেন
সানাউল্লাহ বিপুল

একটু অক্সিজেন হবে?
আমি বাঁচতে চাই
পুরনো স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার এক কুটিরে
বদ্ধ অবস্থায় আমি আমার স্বত্বাকে
হারিয়ে চলেছি নিরবধি
আমি একটু অক্সিজেন চাই।

একটু অক্সিজেন হবে?
আমি হাফ ছেড়ে বাঁচতে চাই
এই ঝঙ ধরা শিকলে
গতরে পঁচা পঁচা দাগ,
এখন শুধু পোকা কিলবিল
করাই বাকী রইলো
আমি মুক্তি চাই।

শব্দমালা : জুবায়ের দুখু

শব্দমালা : জুবায়ের দুখু


শব্দমালা
জুবায়ের দুখু


অসমাপ্ত বিষাদ চিহ্ন

মায়াবতী তোমার চোখে নেই মায়া
নেই বিন্দু পরিমাণ ভালোবাসা-
আজীবন তোমার অপেক্ষায় পড়ে রইলাম শম্ভুনাথ রোড হাসপাতাল।

তুমি জীবনানন্দ দাশের প্রেমিকা নও
তার কবিতার নও বনলতা সেন-
এখানে বুকের আগুনে পুড়ে ছাই-জলবাহী চোখ।
মায়াবতী একশো বছর পরও তুমি আমার
তোমার চোখে ভালোবাসার নামে যদিও থাকে অসমাপ্ত বিষাদ চিহ্ন।


দ্বীপ সরকারের কাব্য : ‘ডারউইনের মুরিদ হবো’

দ্বীপ সরকারের কাব্য :   ‘ডারউইনের মুরিদ হবো’


দ্বীপ সরকারের কাব্য 
‘ডারউইনের মুরিদ হবো’

কবির মুকুল প্রদীপ

‘এই একঘেয়েমি বিরুদ্ধাচার কেন? সহনশীল হলে ক্ষতি কি হে দাপুটে আকাশ?
একটু নিরপেক্ষ হতে শেখো ,   

আকাশকে মাটিতে নামিয়ে, সম্মুখে দাঁড় করিয়ে কবিরাই বোধহয় এভাবে প্রশ্ন করতে পারেন। উপদেশও দিতে পারেন, কেননা তিনি কবি, কোনও সাধারণ মানুষ নয়। এটা অবশ্যই মিথ্যে নয়। তবুও এভাবে কবিদের এলিয়েন বানিয়ে ফেলার প্রয়াস কিংবা মহৎ ভাবাটা রাজনৈতিক; পীড়াদায়কও বটে। তবে প্রকৃত কবি অবশ্যই একটি ভিন্ন সত্তা লালন করেন, সাধারণের মাঝে থেকেও অসাধারণ হয়ে ওঠার প্রয়াস পায় তাঁর জীবন ও কাব্যে। কবি দ্বীপ সরকারের কাব্য, ‘ডারউইনের মুরিদ হবে’' পাঠের পর আমারও তেমনটাই মনে হয়েছে। কারণ জীবনের ভেতর থেকে জীবনকেই বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে খুঁজে ফিরেছেন কবি, যার ভেতরে স্পষ্ট হয়েছে কবির বোধ, নির্মাণ দক্ষতা এবং আত্মপ্রতিকৃতি।
গুহাযুগ থেকে কৃষিনির্ভর ও আধুনিক জীবনে আসতে মানুষকে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। যাপনপদ্ধতির সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে চিন্তার জগত, ফলত কবিতার ভেতরেও এইসব বিবর্তন লক্ষ করা যায়। তাই বিজ্ঞজন ও বিদগ্ধ পাঠক মনে করেন ইতিহাসের বিশুদ্ধ নির্যাস কবিতার ভেতরেই দৃশ্যমান হয়। সময়ের কবিতায় পাঠক এমন বিশ্ববীক্ষা পছন্দ করেন। কিন্ত‘ ফ্রয়েডের মনস্তত্ত্ব আমাদের দাঁড় করিয়ে দেয় অন্য আর এক অভিজ্ঞতার সম্মুখে, প্রমাণ করে দেন মানুষ আসলে স্মৃতিকাতরতা নামক এক রোগে আক্রান্ত। কারণ মানুষ প্রকৃতি সাংঘর্ষিক, বহন করেন দীর্ঘ যাপনাভিজ্ঞতার প্রতœ, ফলশ্রুত সভ্যতার আড়ালে মানুষকে ভোগ করতে হয় বহু শারীরীক প্রতিবন্ধকতা। কবিরাও এর ব্যতিক্রম নন, কবিরাও যাপন অভিজ্ঞতা, দর্শন, স্মৃতিকাতরতায় আক্রান্ত হন, ফলে তাঁদের কবিতাকর্মটিও হয়ে পড়ে একরৈখিক। ‘ডারউইনের মুরিদ হবো’ কাব্যে কবি দ্বীপ সরকার এমন অভিজ্ঞতাকে সচেতনভাবে অতিক্রম করার প্রয়াস পেয়েছেন, আবার আক্রান্তও হয়েছেন।

স্বপ্ন ভাঙ্গার গল্প...

স্বপ্ন ভাঙ্গার গল্প...


স্বপ্ন ভাঙ্গার গল্প
সৈয়দ আসাদুজ্জামান সুহান

আফজাল হোসেন ঢাকা শহরে একটি স্বনামধন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়ো করে কোনো রকমে তৈরি হয়ে সকাল ৯টার মধ্যে অফিসে যান, আবার রাত ৯টার মধ্যে বাসায় ফেরেন। অফিসে যাওয়া ও আসার মধ্যে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামে আটকে এক ঘণ্টার পথে তিন ঘণ্টা চলে যায়। তিনি এই বৃত্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলেন। এর বাইরে কোথাও সময় দেওয়ার মতো সময় তাঁর ছিল না। বিয়ের আগে অফিস ছুটির পর বন্ধুদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরতেন। কিন্তু বিয়ের পর বাসা, আর অফিস। ছুটির দিনে ঘুমিয়ে ও বাজার সদাই করে এবং পরিবারের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে তাঁর দিন কেটে যায়। বলতে হয় আফজাল সাহেবের নাগরিক জীবন এমনই নির্ঝঞ্ঝাট ছিল। নিজেকে আধুনিক ও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে অফিসের কলিগ ও বন্ধুদের অনুরোধে তিনি নিজের একটি ফেসবুক আইডি চালু করেন। প্রথম দিকে তেমন একটা সময় দিতেন না। মাস ছয়েক পর তিনি ফেসবুকে বেশ সক্রিয় হলেন। অফিস থেকে বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে বিছানায় শুয়ে ফেসবুকে ঘণ্টাখানেক সময় দেওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেল। ক্রমেই তিনি ফেসবুকের প্রতি ঝুঁকে গেলেন। এখন তিনি অফিসে, গাড়িতে বসে ফেসবুকে নিয়মিত সময় দেন। ঘণ্টা দুয়েক সময় ফেসবুকে না ঢুকলে তাঁর মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয়। বর্তমানে তিনি এতে অনেকটাই আসক্ত বলা যায়।

ধারাবাহিক উপন্যাস : অনিঃশেষ অন্ধকার : পর্ব ১০

ধারাবাহিক উপন্যাস : অনিঃশেষ অন্ধকার : পর্ব ১০


অনিঃশেষ অন্ধকার
আবুল কালাম আজাদ

[গত সংখ্যার পর]

১৯.
এইচ.এস.সি পরীক্ষার রেজাল্ট বের হবে। বাবা বাইরে যাননি। শত কাজ ফেলেও তিনি বাসায়। মা আগের দিনই অফিসে ছুটি লিখে এসেছেন।
সকাল নয়টা। তার ঘুম ভেঙেছে বেশ আগে। ঘুম ভাঙার পর থেকেই কেমন যেন বমি বমি লাগছে। বাথরুমে গিয়ে কয়েকবার ওয়াক ওয়াক করেছে। মনে হয় মুখ ভরে গলগল করে বমি বের হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছু বের হয় না। সারা শরীর ঘেমে যায়। মাথা ঘোরে। কিন্তু বমি হয় না। অবশ্য কয়েকদিন আগে থেকেই একটু একটু বমি ভাব হচ্ছিল।
রেজাল্টের টেনশনের জন্য কি এমন হচ্ছে? সে জানে, তার পরীক্ষা ভাল হয়নি। সরাসরি না বললেও আকার-ইঙ্গিতে সে বাবা-মাকেও কথাটা বুঝিয়েছে। বাবা-মাও বুঝে গেছেন অনেকটা। মোটামুটি একটা রেজাল্টের জন্যই তারা নিজেদের প্রস্তুত করেছেন। আর সুমনের সাথে সম্পর্কটাও তারা প্রায় মুখ ফুটে স্বীকৃতি দেবার মতোই স্বীকৃতি দিয়েছেন। তারপরও এতটা খারাপ লাগছে    কেন?
সে মাত্রই বমি করার আপ্রাণ চেষ্টা করে এসেছে, তখন সে পেটের ভেতর অদ্ভূত একটা ব্যাপার লক্ষ্য করল। সে তখনই বুঝলো, ব্যাপারটা আগেও কয়েকবার ঘটেছে তবে ততটা স্পষ্ট ছিল না। সে তেমন করে বুঝতে পারেনি তাই পাত্তা দেয়নি। এবার ভীষণ স্পষ্ট। দলার মত কি যেন একটা পেটের ভেতর নড়াচড়া করছে। একবার উপরের দিকে ধাক্কা দিচ্ছে, একবার নিচের দিকে, একবার ডানে, একবার বামে। সে হাত দিয়ে উপলব্ধি করল। হ্যাঁ, ঠিক দলার মত।
ঠিক তখন বাবা এলেন তার ঘরে। বললেন, রেজাল্ট নেটে দেবে কখন ?
এত অস্থির হচ্ছো কেন বাবা?

ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশন : ক্রাইটেরিয়ন : পর্ব ১০

ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশন : ক্রাইটেরিয়ন : পর্ব ১০


ক্রাইটেরিয়ন
সৌর শাইন

[গত সংখ্যার পর]

ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইউনিট-টুয়ের ১১০ নম্বর কেবিন। কদিন ধরে হাসপাতালে শুয়ে আছি জানি না। শ্রবণ ইন্দ্রিয় সজাগ হবার পরপরই আব্বুর কথা শুনতে পেলাম। উনি ডাক্তারের সাথে কথা বলছেন।
স্পষ্ট শুনলাম ডাক্তার বললেন, মিঃ ফারদিন মজুমদার, আপনার ছেলে এখন যথেষ্ট আশঙ্কা মুক্ত। কিছুদিন পরেই তাকে বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন।
ডাক্তার চলে যাবার পর আব্বু ধীরে ধীরে বলল, সোম, আগে জানলে তোকে কিছুতেই ঐ জঙ্গলে পাঠাতাম না। তোর মা, খুব কেঁদেছে। বলতে বলতে আব্বু কেঁদে ফেলল।
আব্বু আরো জানাল বিভিন্ন মিডিয়ার নিউজ রিপোর্টার আমার সাথে কথা বলতে উদগ্রীব হয়ে আছে। ওরা জানতে চায়, সেদিন কী ঘটেছিল সেখানে? কিভাবে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হলো।

ঘটনাটা এতদূর যাবার পেছনে প্রধান কারণ বনে আগুন ছড়িয়ে পড়া। গত এক সপ্তাহ ধরে শালবন জ্বলছে। দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে নানা দিকে। গত ছয়দিনে কয়েকটি জেলা জুড়ে আগুনের বিস্তার ঘটেছে। বনের আশপাশে গ্রামগুলোও রক্ষা পায়নি। সবকিছু পুড়ে ভস্ম। শুধু টিকে আছে রিয়ন সাহেবের বাড়িটি। সংবাদে জানা যায়, দাদাজানের ঐ ঘরে কেবল ডায়েরি-খাতা-বইপত্র ও কাঠের আসবাব পুড়েছে।
জ্ঞান ফেরার পরদিন। উৎসব এল। একগুচ্ছ রজনীগন্ধা নিয়ে সে বেডের পাশে বসল।
সোম।
চোখ মেলে তাকালাম।
কিরে, এখন কেমন আছিস? দেখ কারা এসেছে।
তাকিয়ে দেখলাম উৎসবের ডান পাশে দাঁড়ানো ওর স্ত্রী মোহনা। বামপাশে দুটো শিশু।
আমি হাসার চেষ্টা করলাম।
উৎসব, বনের আগুনটা নিভেছে?
না, সোম। এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তবে বৃক্ষ ও প্রকৃতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফায়ার বিগ্রেড কাজ করছে। দু’এক দিনের মধ্যে সবঠিক হয়ে যাবে।