সব মনে মন থাকে না
সাঈদ সাহেদুল ইসলাম
এই যে পানি আমার চোখে খেলতে পারিস,
আমার বুকে লক্ষ ঢেউয়ে মেলতে পারিস
তার কী আসে যায়?
তাকেও বলিস ভিজবে না সে তোরই বরষায়?
এই যে আকাশ গোমড়ামুখে থাকতে পারিস,
বর্ষা মেঘের চাদরে মুখ ঢাকতে পারিস
তার কী আসে যায়?
তাকে বলিস মুখ যেন সে নেয় ঢেকে লজ্জায়!
শুনবি কারণ? তারও নাকি আকাশ সমান মন
আমাকে সে মনটা দিয়ে- ফেরৎ নিলো শোন!
তার যে এখন ভয়,
তাকে ভালোবেসে আমার সব হয়েছে ক্ষয়।
আলপিন
সারাজাত সৌম
একবার, তোমাকে দেখে—
আমার ভাই মনে হয়েছিলো
একবার, সেকি আমার বোন
কেন মনে হয়েছিলো—
তুমি কিন্তু তা না!
বারবার দেখার পর মনে হলো—
আমিই ছিলাম বারবার
এই ঋতুর—ঋতুহীন বনে
আমরা তো কেউ নই আর
শুধু এই ছোট্ট জামা!
তবে, কে ছিলো এমন—
কালো পাথরের ভেতর উজ্জ্বল
যেন কথা বলেই পালালো
হাওয়ায় বসে থাকা ত্রি-তল
দীর্ঘ হতে আর চায় না—
সে না আমার—না তোমার
মধ্যদিনের সুরে থাকে বিঁধে
একা একা তারার আলপিন
কখন যে মাথায় ছুটে আসে
মূলত মানুষ এমনই এক ধারণা!
গ্রীষ্ম
হাফিজ রহমান
কিছুটা বৃষ্টিঘ্রাণ শুঁকে নিয়ে এঁটেলের গায়,
কি করে গ্রীষ্ম নামে চেখে নেই কৃষকের নাকে।
প্রমত্ত গ্রীষ্ম শরীরে তার তীব্র দাহন,
ভেঙে নেয় গাছের শরীর!
মাছেদের নীড় গড়ে, ভাঙে পাখির।
তবুও প্রমত্ত হে, এতটাই প্রিয় তুমি,
তোমার কাছেই শিখি বাঁচার প্রেরণা!
শিখি, কিভাবে গাছেরা বুক পেতে তোমাকে করে প্রতিহত।
শিখি, জীবন আমাকে করবে আঘাত কত,
আমি প্রতিরোধ করব তত।
আমি বারবার ভেঙ্গে পড়ি, আর তোমার কাছে দীক্ষা নিয়ে
প্রতিবার ঘুরে দাঁড়াই। জীবনগুরু তুমি,
তাই জীবনের শেষে এসে জীবন রাঙাই,
যেমন আঘাত শেষে তুমিও সাজাও
ডালে ডালে সুমষ্ট জীবন!