ধারাবাহিক উপন্যাস : রামবন্দনা : শাদমান শাহিদ : পর্ব ০৭


রামবন্দনা
শাদমান শাহিদ

(গত সংখ্যার পর)
 বাসায় আসতে চেয়েছিলো; নিজের প্রস্তুতি নেই বলে আনিনি। অবশ্য আরেকটা কারণও ছিলো, বার থেকে বেরিয়েই দেখি দরজার সামনে বাইক নিয়ে সোহাস দাঁড়ানো। আমাদেরকে নাকি অনেক আগে থেকেই ফলো করছে। ভাবছিলো, এতোদিন পর চাতক-চাতকী পরষ্পরকে খুঁজে পেয়েছে, কখন একে অপরকে ছাড়ে কোনো ঠিক ঠিকানা নেই, বেশি রাত হলে আবার গাড়ি পাবো না। সে-আশঙ্কাতেই সে বাইক নিয়ে ফলো করছিলো। তাছাড়া সোহাস রেণুর আড়ালে আমাকেও পছন্দ করে। রেণু যখন বাসায় থাকে না, তখন ওর চোখ-মুখ আমাকে ডাকে। আমিও একটু-আধটু খুলে-মেলে বারান্দায় এসে দাঁড়াই। কথা যা হতো, সবই দেশ-সমাজ-পার্টি কেন্দ্রিক। কিন্তু ভেতরে ভেতরে আমরা ঠিকই গুঁড়ো হতাম। সাজ্জাদকে বিদায় দিয়ে বাইক নিয়ে আমরা চলে গেলাম মিলুদের বাসায়। মিলুর জামাই নাকি হঠাৎ রেগে গিয়ে তিন তালাক বলে ফেলেছে। এখন সে ছেলে জোহানকে নিয়ে আরামবাগ বাবার বাসায় থাকে। ব্যবসায় লস, তাই বেশকিছু দিন ধরে তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। হয়তো এ সুযোগে আসলাম, একটু আধটু নেশার দিকেও ঝুঁকে গিয়েছিলো। সব মিলিয়েই ব্যাপারটা বিশ্রী হয়ে গেছে। এখন একদিকে ধর্ম আরেকদিকে আত্মীয়স্বজন-পরিবার-সমাজ, কীভাবে যে পরিবেশটা সামাল দেবে...। অনেক কেঁদেছে মেয়েটা। কোনোরকম বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বাসায় ফিরলাম। ফিরতে ফিরতে রাত হলেও সোহাসকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে একবার ক্লাবে ঢুঁ মারি। দৈনিক একবার ক্লাবে না গেলে আর সবার মতো আমারও পেটের ভাত হজম হয় না। ক্লাবে নানা পেশার মানুষ জড়ো হয়, আড্ডাও জমে বেশ। আড্ডার ভেতর থেকে দেশ-বিদেশের অনেক খবরা খবর পাওয়া যায়। সে-সাথে নিজেদের কর্মক্ষেত্রে কে কী সমস্যার মুখোমুখি হয়, বিনোদন হিসেবে তা-ও কম না। কেউ বলে, তার অফিসের ডিরেক্টর ম্যানেজার একটা চামার। কথায় কথায় তুই-তুকারি করে। অফিস টাইমের এক মিনিট এদিক-সেদিক হলে লাল কালি মারে। তিনদিন লাল কালি পড়লে নাকি একদিনের বেতন কাটা। কেউ বলে, তার কলেজের প্রেন্সিপাল একটা আস্ত লুচ্চা। সুন্দরী ম্যাডামদেরকে এটা-ওটার ছুতা ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তার সামনে বসিয়ে রাখে আর পৃথিবীর কোন কোন দেবতা নারীর প্রতি আসক্ত ছিলো এবং তারা কী কী ছলা-কলায় নারীকে বশ করতো, সেসব নারীর গর্ভে কোন কোন দেবতার জন্ম হয়েছে এবং সেসব দেবতা নিন্দিত না হয়ে কীভাবে, কোন যুক্তিতে পৃথিবীতে নন্দিত হয়েছে, তা সবই সে পুরাণ থেকে খুঁজে বের করে করে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে। কেউ বলে, আমাদের কোনো ভাবনা নেই। আমরা গভমেন্ট সার্ভিস-হোল্ডার। অফিসে গেলেও যেই, না গেলেও সেই। কারো কিছু বলার নেই। কেউ কিছু বললে আমরা সবাই মিলে তার বারোটা বাজিয়ে ছাড়ি। উদাহরণ হিসেবে পেশ করে, একবার এক অফিসার নাকি অফিসের সবাইকে অসদোপায়ে আয়-ইনকাম না করার জন্যে শপথ করিয়েছিলো, তারপর তারা সবাই মিলে কীভাবে ঐ গ--মূর্খ অফিসারকে গাট্টিগোল করে খাগড়াছড়ি পাঠিয়েছিলো, তার চমৎকার বিবরণ দেয়। এমনই নানান কথার ভেতর রহিম মিয়ার দোকানের ছোকরা ছেলেটা চা পরিবেশন করতে এসে জানিয়ে যায়, মাসুদ আহমেদকে শাদা পোশাকের পুলিশ গত রাতে ধরে নিয়ে গিয়ে এখন অস্বীকার করছে। কথাটা শোনামাত্র মাথার ওপর আকাশ ভেঙে পড়লো। বলে কী! পুলিশ অস্বীকার করলে তো মারাত্মক সমস্যায় পড়ে যাবেন সিদ্দিকি সাহেব। পুলিশের অস্বীকার করা মানে গুম। আর ওটা হত্যার চেয়েও জঘন্য।
পুলিশের হাতে গেলে টাকা-পয়সা খরচ করে কোনো-না-কোনোভাবে ছাড়িয়ে আনা যায়। কিংবা কেউ মেরে ফেললে লাশ স্পর্শ করে কান্না-কাটি করে কাফন-দাফন শেষে ঘর লওয়া যায়। কিন্তু গুম বলে কথা। এর শোকের কোনো শেষ আছে? টাকা তো শেষ হবেই আবার হয়রানির অন্ত থাকবে না। তার ওপর অন্তহীন কান্নার স্্েরাত থাকবেই।
আমরা কয়েকজন সিদ্দিকি সাহেবের বাসায় গেলাম। গিয়ে দেখি তিনি নেই। ছেলের খোঁজে সেই যে সকালে থানার উদ্দেশে বেরিয়েছেন, এখনো বাসায় ফেরেননি। কথা বললাম, মাসুদের আম্মা জাহানারা বেগমের সাথে। তিনিও সারাদিন ধরে কেঁদে কেঁদে একসার। আমাদেরকে দেখে হাতে আসমান পেলেন যেনো। কান্না বন্ধ করে সবিস্তারে বলতে লাগলেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে শাদা পোশাকে পাঁচ-সাতজনের একটা টিম ডোর বেল টিপতে থাকে। মাসুদের আব্বা তখন তাহাজ্জুদ নামাযের জন্যে বাথরুমে অযু করতেছিলো। বেলের আওয়াজে আমরা সবাই এক প্রকার জেগে গেলাম। তারপর আমি লুকিং গ্লাসে চোখ বসিয়ে দেখি দরজার সামনে শাদা পোশাকে ক’জন লোক দাঁড়িয়ে রয়েছে। এসময় মাসুদের আব্বাও বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে জানতে চাইলো, কে এসেছে? আমি তখন যা দেখেছি বললাম। তিনি তখন দরজা খুলে দিলেন। তারপর যা হবার...। মাসুদের আম্মা আবার কাঁদতে থাকেন।
আমরা বললাম, আন্টি, আঙ্কেল এমন বোকামিটা করলেন কেনো?
বোকামি করলো কোথায়? সে তো একসময় ডিফেন্সের বড়ো কর্তা ছিলো। শাদা পোশাকধারী লোকদের কর্তব্য এবং ক্ষমতা সম্পর্কে তার অজানা বলতে কিছু নেই। আবার মাসুদ বিরোধী দলীয় রাজনীতির কর্মী হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা-মোকদ্দমা ছিলো না। সে-ভরসাতেই দরজা খুলে দিয়েছিলো। এমনকি সকালেও আমাদের কাছে বিষয়টা এতো আতঙ্কের কারণ ছিলো না। টোটাল বিষয়টা পরিষ্কার হলো তো থানায় যাওয়ার পর। পুলিশ যখন অস্বীকার করলো।
এখন?
‘এখন কী হবে, আল্লা জানে গো মা।’ আবার কাঁদতে লাগলেন।
আমরা বললাম, থানায় জিডি করেছেন?
জিডি করলে কী হবে গো মা, আমার ছেলেরে তো ওরাই গুম করে ফেলেছে। চোখের সামনে পুলিশে ধরে নিয়ে এখন অস্বীকার করছে। বলে, গত রাতে থানা থেকে কোনো পুলিশই নাকি বাইরে ডিউটিতে যায় নি। ওরা বললেই হলো?  কোনটা পুলিশ আর কোনটা সিভিল পারসন তা কি আমরা চিনি না? আমাদের কথা না হয় বাদই দিলাম কিন্তু তোমাদের আঙ্কেলও কি চেনে না? চিনেছে বলেই তো দরজা খুলে দিয়েছিলো।
আন্টি, আমরা কি পত্রিকায় কোনো রিপোর্ট করবো?
পত্রিকায় রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। সাংবাদিক এসেছিলো। তারা এসে আমাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে গেছে। মাসুদের পার্টির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাও এসেছিলেন। তারাও অভয় দিয়ে গেছেন, যেভাবেই হোক তারা মাসুদের হদিশ পাওয়ার জন্যে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে।
তাহলে আন্টি আজকের দিনটা অপেক্ষা করুন। দেখুন কোনো খবর হয় কিনা। পুলিশ পারে না, এমন কোনো কাজ নেই। তারা আন্তরিক হলে মাসুদের একটা খোঁজ হবেই। এমনও তো হতে পারে, উপরের চাপে তারা মাসুদকে কোথাও আটকে রেখেছে এবং এটাকে হাতিয়ার করে তারা কোনো সুবিধা হাসিল করবার চায়।
যা ইচ্ছে করুক না, আমরা তো কোনো আপত্তি করছি না। আগে ছেলেটার খোঁজ দিক। তারপর যা ইচ্ছে করুক। আমাদের ক্ষমতা থাকলে টাকা-পয়সা দিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করবো, না হয় যা হাবার হবে।
আন্টি, আমাদেরও বিশ্বাস, টাকা-পয়সার লোভ দেখালে একটা কিছু হতে পারে। টাকা-পয়সার সমস্যা থাকলে বলুন, আমরা আপনাদের পাশে আছি। যখন ইচ্ছে ডাক দেবেন, আমরা আছি।
আমাদের কথায় মাসুদের মায়ের চোখে-মুখে একটা পাখি ওড়ে। ড্রাগনের তাড়া খেয়ে উদ্বিগ্ন পাখিটা কত অজানা নদী-খাল-বিল-জনপদ ঘুরে বেড়াচ্ছে, তবে এটাও আশা রাখছে উড়তে উড়তে ঘুরতে ঘুরতে হয়তো এক সময় বাসাটা ঠিকই পেয়ে যাবে। আমরাও তা কামনা করে চলে আসি। পরদিন আবার পনেরো আগস্ট। আমি কোনোকিছুতে না থাকলেও, অনেকের হাতে অনেক কাজ। সরকার এবছর দিবসটিকে কেন্দ্র অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সে মোতাবেক সরকারি-বেসরকারি তো আছেই; এমনকি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকে পর্যন্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানে গভীর শ্রদ্ধার সাথে সেসব নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে এবং পালন করা হয়েছে কিনা প্রমাণ স্বরূপ অনুষ্ঠানের ছবি তুলে অথবা ভিডিও করে তার কপি সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হবে। এসব ক্ষেত্রেও কেউ কোনো প্রকার ফাঁকি-ঝুঁকি করে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করার জন্যে দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘুরে বেড়াবে অদৃশ্য দেবদূতেরা। 
সে-জন্যে ক্লাবের সদস্যরা স্থির করেছে, সরকারি নির্দেশনা তো পালন করবেই, তার বাইরেও বাড়তি কিছু করে সবাইকে দেখিয়ে দেবে যে, তারাও দেশপ্রেমিক হতে পারে। গক কয়েকবছর ধরে দেখে আসছি বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গরু-মহিষ জবাই করে বিরিয়ানি পাকিয়ে খায়। এবারো খোঁজ জানা যায়, আরো তিনদিন আগেই স্থানীয় হাটগুলোতে গরু-মহিষের টান পড়ে গেছে। যে-কারণে ক্লাবের সদস্যদেরকে ঢাকা ছেড়ে নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী-ভৈরব ঘুরে, শেষে নবীনগরের বাইশমোজাবাজার পয়ন্ত যেতে হয়েছে। তারপরও গুরু পায়নি। হাতির সাইজ দুটো মহিষ কিনে এনেছে। সেগুলো যবেহ করে বিরিয়ানি পাকিয়ে নিজেরাও খাবে, মহল্লার গরিব-গোরবাদেরও খাওয়াবে।
গরু কেনার মহড়া দেখে আমার কেনো যেনো সন্দেহ হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে দিনটা বিরিয়ানি দিবস হয়ে যায় কিনা!
আমি বিষয়টা নিয়ে একদিন প্রফেসর আতাউর রহমান স্যারের সাথে শেয়ার করতে গেলে তিনি বললেন, তোমার ধারণা অমূলক নয়, তবে এটাও ঠিক কেউ তা মন থেকে করছে বলে মনে হচ্ছে না। লোকদের অভিব্যক্তি দেখে আমি যদ্দূর আন্দাজ করতে পেরেছি, কিছু একটা তরে সবাই নিরাপদ থাকতে চাচ্ছে। মহাকবি আলাওলের একটা কথা আছে না—
‘পড়শি হৈলে শত্রু গৃহে থাকা দায়,
            নৃপতি হৈলে শত্রু দেশেত ন ঠাঁই।’


গতকাল মহল্লায় একটা ঘটনা ঘটে গেছে। চৌধুরী সাহেবের মেজো ছেলে পবন নাকি তার বান্ধবীকে বাসায় ডেকে এনে বন্ধুদের নিয়ে রেপ করেছে। তারপর নানা প্রকার হুমকি ধুমকি দিয়ে মেয়েটাকে একটা রিক্সায় উঠিয়ে দেয়। মেয়েটাও চুপচাপ বাসায় চলে যায় এবং বাসায় যেয়েও কারো কাছে কিছু বলেনি। কথা বলেছে তার ব্লিডিং। মেয়েটা নাকি অনেক চেষ্টা করেছে রক্তের মুখ বন্ধ করতে। প্যাডের পর প্যাডে চাপা দিয়েছে। কাজ হয়নি। এক পর্যায়ে যখন তার মরণাপন্ন অবস্থা, তখনই সে দৌড় দেয় হাসপাতালের দিকে। এভাবেই এক পর্যায়ে ঘটনাটা সবার কাছে জানাজানি হয়ে যায়। মিডিয়াও এগিয়ে আসে, আসে পুলিশও। কিন্তু মেয়েটার মা-বাবা কারো কাছে কোনো প্রকার অভিযোগ করতে নারাজ। মেয়েটার বাবার একটাই কথা, যা হবার হয়েছে, যা জেনেছেন কেবল আপনারাই। আপনারা কোনো ধরনের রিপোর্ট না করলে আর কেউ জানতে পারবে না। ও হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেলেই আমরা আমাদের হোম-ডিস্ট্রিকে চলে যাবো। আপনার হোম ডিস্ট্রিক কোথায়, আপনি কী করেন, আপনার মেয়ে কোন কলেজে পড়তো, এ ধরনের অনেক প্রশ্নই করা হলো, শক্তগোছের লোকটি কোনো কথারই উত্তর দিলো না।
তখন আর কারো কিছু করার থাকে না। সবাই যার যার মতো হাল ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে থাকে। পুলিশও চলে যাচ্ছিলো। তখনই কে যেনো ভিড়ের ভেতর পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলে ফেললো, স্যার, আমাগোর মাসুদ মিয়ার কোনো খবর আছেনি? প্রশ্ন শুনে পুলিশ ঘাড় ফিরিয়ে তাকিয়ে প্রশ্নকর্তাকে খুঁজতে থাকে। আমরাও লোকটাকে চেনার জন্যে অনেক কসরত করলাম, কিন্তু লোকটি যে-কারণেই হোক ধরা দেয়নি। তখন পুলিশই মুখ খুলে এবং জানায় আগামিকালই তাকে কোর্টে হাজির করে এবং তখনই আমরা জানতে পারি তার বিরুদ্ধে হত্যা-নাশকতাসহ সাতটি মামলা রয়েছে। এসব মামলার বাদিদেরকে আমরা না চিনলেও পুলিশ তাদেরকে চেনেন এবং তারা যাতে সুবিচার পেতে পারে সেজন্যে পুলিশ আদালতের কাছে ত্রিশ দিনের রিমান্ড চায়। মহামান্য আদালত তখন মাসুদের দিকে এক নজর তাকিয়ে দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাতেও আমরাা খুশি। মনে মনে বলি, নিক রিমান্ডে। তবুও তো মানুষটাকে চোখের সামনে পাওয়া গেলো। এখন টাকা খরচ করলে অবশ্যই একটা কূল পাওয়া যাবে। চাহিদা অনুযায়ী মাল-মশলা দিতে পারলে রিমান্ডও নাকি পানিভাত হয়। ছেলেকে বাঁচাতে সিদ্দিকি সাহেব নিশ্চয়ই কার্পণ্য করবেন না।
(চলবে)

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট