ধারাবাহিক উপন্যাস : জোসনা রাতে জাগে আমার প্র্রাণ : পর্ব ০৪


জোসনা রাতে জাগে আমার প্রাণ
আবুল কালাম আজাদ

[গত সংখ্যার পর]
বাবা বোধহয় ব্যাপারটা ধরতে পরল। বলল, এখানে কিন্তু তোর জন্য একটা শিক্ষা আছে।
অন্তর তাকাল বাবার মুখে। বাবা বললেন, সৎ ও পরিশ্রমী হবার শিক্ষা।
অন্তর বলল, বাবা, তুমি আগে কখনো চন্দ্রা গিয়েছো?
হ্যাঁ গিয়েছি।
কাল যে বললে পাহাড়, সমুদ্র দেখেছো কিন্তু বন দেখোনি?
সে তো বহু আগের দেখা! সেই দেখা কি আর সেভাবে মনে আছে?
কত আগে.......?
তখন আমার বয়স প্রায় তোর মত। তুই যেন এখন কোন ক্লাশে পড়িস?
প্রশ্নটা শুনে পারভেজ হাসান ঝট করে পেছনে তাকাল। বাবা ছেলেকে জিজ্ঞেস করছেন-তুই যেন এখন কোন ক্লাশে পড়িস? যে কেউ বিস্মিত হবে এতে।
বাবা বলল, তুমি এভাবে পেছনে তাকালে গাড়ি তো খাদে চলে যাবে।
অন্তর বলল, বাবা, আমি এবার ক্লাশ এইটে উঠবো। এবং আজই ঘটবে সেই ঘটনাটা।
ও তাহলে আমি তখন আর একটু বড় ছিলাম। আমি তখন নাইনে পড়ি। তখন আমাদের স্কুল থেকে পিকনিকের আয়োজন করল। ঠিক করল, গাজিপুর চন্দ্রার বনে যাবে। চাঁদা পঞ্চাশ টাকা। পঞ্চাশ টাকা এখন কোনো পিকনিকের চাঁদা হয় না। বাড়ির ছাদে পিকনিক করলেও না। পঞ্চাশ টাকা চাঁদার কথা শুনে তোর দাদা বললেন-পঞ্চাশ টাকা খরচ করে জঙ্গলে যেতে হবে না। এ টাকা দিয়ে বাড়ির সবাই মোড়গ-পোলাও খেতে পারব। শেষ পর্যন্ত তোর দাদীর কারণে তোর দাদার কাছ থেকে পঞ্চাশ টাকা বের করতে পারলাম।
তখন কি বনটা খুব ঘন ছিল?
হু, গাছ ছিল অনেক। পাখি ছিল। প্রাণীও ছিল। চিতাবাঘও ছিল।
খুব মজা করেছিলে নিশ্চয়?
মজা সেভাবে হয়নি। আমাদের সহকারি প্রধান শিক্ষক খালেক স্যার পাকানো এক বেত নিয়ে শাসন করে চলছিলেন-এ্যাই ছেলেরা, লাইন হয়ে হাঁটো। ইচ্ছে মত এদিক-ওদিক যাবে না। হারিয়ে গেলে বিপদ হবে। বিপদ শুধু তোমাদের না, আমাদেরও। আমরা লাইন হয়ে হাঁটছিলাম। লাইন একটু বাঁকা হলেই পিঠের ওপর সপাং করে বেত পড়ে। কিছু দেখা বা আনন্দ করার দিকে মন নেই আমাদের। লাইন বাঁকা হল কিনা সেই চিন্তায় অস্থির। এরকম অবস্থায় লাইনের সামনে কি যেন এক ঝামেলা মেটাতে খালেক স্যার সামনে গেছেন। পেছন থেকে আমি আর আমার বন্ধু মঞ্জুর আহসান (যার গাড়িতে এখন আমরা বসে আছি) লাপাত্তা। ও, সাথে আমাদের আরেক বন্ধু অমল ঘোষও ছিল।
বাবা থামলেন। অন্তর তাকিয়ে রইল বাবার মুখে। মূল গল্প কিন্তু এখান থেকেই শুরু। অথচ বাবা এখানে এসে চুপ। অন্তর বলল, তারপর কী হল?
আমরা এলোমেলো কিছুক্ষণ ছুটে চলে গেলাম অনেকটা গভীর জঙ্গলে। আকাশ ছোঁয়া গাছ। নিচে কাঁটা-গুল্মের ঝোপঝার। সে সব আমাদের কাছে কোনো বাঁধা ছিল না। মুক্তির আনন্দই ছিল আসল।
বন্য প্রাণী দেখেছো?
অজস্র! কাঠবেড়ালী আমাদের খুব কাছ দিয়ে ছুটোছুটি করছিল। বন বেড়াল, বেজি, গুইসাপ, ভোঁদর, সজারু, শেয়াল, খাটাশ, বাগডাশ ছিল প্রচুর। একটা শেয়াল তো আমাদের সাথে খুব মজা করছিল।
শেয়াল মজা করছিল?
মজাই বলা যায়। আমাদের সামনে অনেকটা জায়গা জুড়ে আগাছা ঢাকা মাঠ। তারপর আবার বন। দেখি বেত ঝোপের পাশে একটা শেয়াল। আমাদের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে আছে। ও যেন কোনোদিন মানুষ দেখেনি। আমরা ওর দিকে একটু এগিয়ে গেলাম। ও সরে না। আর একটু এগোলাম। ও তাও সরে না। আরও এগোলাম। তখন একটু সরলো। ঠিক আমরা যতটুকু এগোই ও ততটুকু পিছোয়। পিছিয়ে আমাদের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকে। আবার আমরা পেছালে ও এগোয়। আমাদের বন্ধু অমল বলল-ও হয়তো শেয়াল না-অন্য কিছু। আমাদের সাথে মায়ার খেলা খেলছে। এভাবে মায়ায় ফেলে আমাদের কোথাও নিয়ে যাবে। শেষে আমরা আর এগোলাম না।
আচ্ছা বাবা, তোমরা যে তিনজন দল থেকে উধাও হয়ে গেলে অন্যরা তা টের পেল কখন?
দুপুরে খাবার সময়। দুপুরে খাবার সময় খালেক স্যার বললেন তিনটাকে তো দেখছি না। আমরাও তখন টের পেলাম আমাদের পেটে প্রচন্ড ক্ষিধে। কন্ঠে তৃষ্ণা। আমরা পা বাড়ালাম আমাদের পিকনিক স্পটের উদ্দেশ্যে। কিন্তু হায়! আমরা যে পথ হারিয়ে ফেলেছি। এদিক-ওদিক হাঁটতে হাঁটতে আমরা ভীত বিহ্বল হয়ে পড়লাম। মনে শঙ্কা জাগল, আমরা হয়তো আর পথ খুঁজে পাব না, খুঁজে পাব না আমাদের সঙ্গিদের-তারা পাবে না আমাদেরকে। তাই যদি হয় তবে উপায়? আমরা যে নির্ঘাত মারা পড়বো। তখন শুনলাম কতগুলো শেয়ালের হুক্কাহুয়া ডাক। দিনের বেলা শেয়ালের ডাক! সেই শেয়াল কি তার সঙ্গিদের খবর দিয়েছে যে, বনের ভেতর তিনটি ছেলে পথ হারিয়ে ফেলেছে? ওরা কি আনন্দ করে আমাদেরকে খাবে? যখন আমাদের বসে মাথা চাপরে কান্নাকাটি করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই, তখন আমাদের সামনে দিয়ে যাচ্ছে এক লোক। তার মাথায় একটা ঝাঁকা। আমাদের দেখে সে থমকে দাঁড়াল। বলল-তুমরা দেখছি ভদ্দ লোকের পোলাপান। সমস্যা কী? জঙ্গলের মধ্যি ক্যান?
আমরা বললাম আমাদের বিপদের কথা। সে বলল-পিকনিকের দল কুন জায়গায় গাড়ি থামায় তা আমি জানি। আসো আমার সাথে।
আমরা হাঁটতে লাগলাম তার পেছনে। মঞ্জুর আমাকে কুনুইয়ের গুঁতো দিল। গুঁতো দিয়ে বোঝাল, সে ভাল লোক না খারাপ লোক তা কে জানে। শেষে আরেক বিপদে না পড়ি। তবে তখনও মানুষের ওপর যথেষ্ট বিশ্বাস করা যেত। বিপদের সুযোগে মানুষ মানুষের ক্ষতি খুব কমই করতো। বেশ একটু সময় হাঁটার পর আমরা শুনতে পেলাম, বিমল স্যার মাইকে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলছেন-আলম-মঞ্জুর-অমল, তোমরা যেখানেই থাকো না কেন অতিসত্বর আমাদের গাড়ির কাছে চলে এসো। আমরা তোমাদের জন্য খুবই চিন্তিত হয়ে আছি। সেই লোকটা বলল-মাইকে কি তুমাগো নাম কইতেছে? আমি বললাম-জি।
তুমরা না কইয়া বার অইছো?
জি।
খুব খারাপ কাম করছো। নিজেরা তো বিপদে পড়তাই, তাগোও বিপদে ফালাইতা। এই রকম কাম করা তোমাগো মোটেও উচিত হয় নাই। তোমাগো তো শেয়ালেই খাইয়া ফালাইতে পারতো।
বিমল স্যার ঘোষণা দিয়েই চলেছেন। কোনো থামাথামি নাই। তাঁর গলা অনেকটা বসে গেছে যেন। কন্ঠটা কেমন কাঁদো কাঁদো।
আমাদের কাছে পেয়ে সবাই যেন ধরে প্রাণ ফিরে পেল। খালেক স্যার বললেন-আগে খা, তারপর তোদের পিঠে গজারি গাঠের ডাল ভাঙবো।
আমরা গোগ্রাসে পোলাও আর মুরগির রোস্ট গিলতে লাগলাম। সেই লোককেও স্যাররা না খেয়ে আসতে দিলেন না। দেখি আমাদের সাথে সব স্যার খেতে বসেছেন। তার মানে আমাদের চিন্তায় তাঁরা সবাই না খেয়ে ছিলেন। কি ভালোবাসা!
পরে কি তোমাদের পিঠে গজারির ডাল ভেঙেছিলেন?
না, ব্যাপারটা বোধহয় খালেক স্যার ভুলে গিয়েছিলেন।
বাবার শৈশবের বন ভ্রমনের অভিজ্ঞতা অন্তরের খুব ভালো লাগল। বাবা এখন অনেকটা ভীতু মানুষ। কিন্তু শৈশবে নিশ্চয় এমনটা ছিলেন না। সাহসী না হলে দল ছেড়ে এভাবে বনের মধ্যে লাপাত্তা হতে পারতেন না। অন্তর বলল, বাবা, এখনও কি তেমন বন্য প্রাণী দেখতে পাব?
এর উত্তরে মুখ খুলল পারভেজ হাসান। বলল, যতদূর সম্ভব দু’/একটা কাঠেেবড়ালী ছাড়া আর কিছু দেখতে পাবে না। আমাদের দেশে যেমন আশঙ্কাজনক হারে মানুষ বেড়ে যাচ্ছে, তেমন আশঙ্কাজনকভাবে বন ও বন্য প্রাণী কমে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে আমি সুন্দরবন গিয়েছিলাম। আশা ছিল বাঘ মামার সাক্ষ্যাত পাব, হরিণের ঝাঁক দেখবো। দেখবো তারা কাজল টানা মায়াময় চোখে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। কিন্তু না, সে সবের কিছুই দেখলাম না। দেখার মধ্যে দেখলাম দু’/একটা বাচ্চা কুমির খালের পাড়ে শুয়ে রোদ পোহাচ্ছে। হ্যাঁ, হরিণ দেখলাম-তবে জীবিত না। চোরাকারবারিরা মেরে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের বুকে গুলির ক্ষত। সুন্দর হরিণগুলোর দিকে তাকিয়ে বুক ভেঙে যাবার উপক্রম। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে হরিণ দেখা যায় না, অথচ আমেরিকায়......।
পারভেজ হাসান থেমে গেল। তারও বোধহয় বাবার মত অভ্যাস আছে কথার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থেমে যাওয়া।
অন্তর বলল, আমেরিকায় কী আঙ্কেল?
আমার স্যার কিছুদিন আগে আমেরিকা বেড়িয়ে এলেন। তিনি বললেন, সেখানে নাকি হাইওয়েতে হরিণ চাপা পড়ে। এত বন্যপ্রাণী সেখানে যে তারা লোকালয়ে চলে আসে।
কিন্তু চাপা পড়ে কেন?
সেখানকার হাইওয়ে তো আমাদের হাইওয়ে না। এই যে দেখ আমি হাইওয়েতে চলছি। একটু পরপরই আমাকে বাঁক নিতে হচ্ছে। থামতে হচ্ছে সিগনালে। অ-সিগনালেও থামতে হচ্ছে বারবার। আর সেখানে একশ’ মাইল চলে যাওয়া যায় সূতা টানা সরল রেখায়। গাড়ির সাধারণ গতি ঘন্টায় ৭০/৮০ কি.মি। হঠাৎ করে রাস্তার পাশ থেকে কোনো বন্য প্রাণী গাড়ি সামনে চলে এলে থামানোর উপায় থাকে না।
পারভেজ হাসানকে অন্তরের ভাল লাগল। সুন্দর করে কথা বলে। বলবে না কেন। সে তো আর সব ড্রাইভারের মত না। সে বাংলা সাহিত্যে এম.এ।       

(৩)
যখন বনের ধারে গাড়ি থামল তখন সকাল নয়টা। বাবা বলল,    নাস্তাটা সেরে নেই।
গাড়ির পাশে সবুজ ঘাসের ওপর চাদর বিছানো হল। নাস্তার প্যাকেট খোলা হল। তখন দেখা গেল, মা ভেবেছে শুধু ক্ষুধার কথা। তৃষ্ণার কথা ভাবেনি। খাবার দিয়ে বিশাল বিশাল ব্যাগ ভরে দিয়েছে। কিন্তু এক ফোটা পানিও দেয়নি। অন্তর বলল, বাবা, এখন উপায়?
বাবা বললেন, উপায় তো একটা বের করতেই হবে। খাবার ছাড়া দুই দিন থাকতে পারব, পানি ছাড়া বোধহয় আর এক ঘন্টাও থাকতে পারব না।
বাবা পারভেজ হাসানকে বললে, হাসান, তোমার গাড়িতে কি বোতল-টতল নেই?
সাধারত থাকে, কিন্তু আজ নেই।
অভাগা যেদিকে যায় মহাসাগরও শুকায়ে যায়।
স্যার, আপনি একবার আমাকে পারভেজ ডাকছেন, আবার হাসান ডাকছেন।
তোমার নাম পারভেজ হাসান। পুরো নাম ধরে ডাকা যাবে না। ডাকতে হবে হয় প্রথমটা, নয় দ্বিতীয়টা। আমি বুঝতে চেষ্টা করছি, কোনটা ডাকলে ভাল লাগে।
স্যার, আপনি বরং হাসান নামে ডাকেন।
অন্তর হাসানকে সাপোর্ট দিয়ে বলল, জি বাবা, তুমি হাসান নামে ডাকবে। আমি ডাকবো, হাসান আঙ্কেল।
বাবা বলল, না, আমি ডাকবো পারভেজ নামে। পারভেজ হল এজন স্টেটম্যানের নামের প্রথম অংশ। পাকিস্তানের সাবেক স্টেটম্যান। স্বৈরাচারী স্টেটম্যান। পাকিস্তানের আর্মি থেকে সব জাদরেল স্টেটম্যান উঠে আসে। সেই ’৪৭ থেকেই আসছে। আইয়ুব, ইয়াহিয়া, জিয়াউল হক, পারভেজ। কখন যেন কিয়ানি-ফিয়ানি নামের কেউ উঠে আসে। এসেই মাশাল্লা-ফাসাল্লা দিয়ে.......। ওদের দেখেই তো আমাদের জেনারেলরা শিখেছিল। আর্মি চালায় দেশ...যতসব......!
বাবা চলে গেছে রাজনীতিতে। দেশ হোক, বিশ্ব হোক রাজনীতির কথা বলতে বলতে বাবার মাথা গরম হতে থাকে। তারপর শুরু করে নেতাদের গালাগাল। রাজনৈতিক নেতাদের ওপর বাবার কি যে ক্ষোভ!
বাবা বলল, পারভেজ নামে ডাকবে, কিন্তু অন্তর ঠিকই জানে, বাবা তাকে হাসান নামে ডাকবে। তার অপছন্দের মানুষের নাম সে বারবার মুখে আনবে না।
অন্তর বলল, বাবা, জেনারেলদের চিন্তা রেখে এখন পানির কথা ভাবা উচিত।
ও হ্যাঁ, পানির কথা-পানির কথা তো ভাবতেই হবে। ওয়াটার মিনস লাইফ। এটা ছাড়া তো চলবেই না।  
হাসান বলল, স্যার, আপনারা একটু বসুন। আমি পার্শ্ববর্তী গ্রামে গিয়ে দেখি পানি আনা যায় কিনা।
তোমাকে বেশ কষ্ট করতে হবে।
কষ্ট কোনো বিষয় না স্যার। আমারও তো পানি খেতে হবে। জান বাঁচানো ফরজ।
তাহলে যাও, একটু বেশি করে আনবে যাতে সারাদিন খাওয়া যায়।
অন্তর বলল, বাবা, আমিও হাসান আঙ্কেলের সাথে যাব। বনের ধারে গ্রামগুলো আমার দেখা হবে। বাড়তি অভিজ্ঞতা।
বাহ! বুদ্ধমান ছেলে। স্বল্পবুদ্ধির বাবার ঘরে বেশি বুদ্ধির ছেলে। বেশি বুদ্ধির লোকরা সব সময় এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চায়। রথ দেখতে চায়, কলাও বেচতে চায়। যাও, তুমি কলা বেচে এসো।
হাসান আর অন্তর পানি যোগার করতে গেল। বাবা গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে রইল। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগল, ওদের পানি নিয়ে আসতে কতক্ষণ লাগতে পারে? দশ/পনেরো মিনিটের মধ্যে আসতে পারবে না নিশ্চয়। ঘন্টা লেগে যাবার সম্ভাবনাই বেশি।
এই একাকি সময়টা বাবা কিভাবে কাটাবে? চা খাওয়া যেতে পারে। পেট একবারে খালি। খালি পেটে চা খেলে অনেকের পেটে মোচর দেয়, বাবার সেরকম কিছু হয় না। দুই কাপ চা খেতে পনেরো মিনিট লেগে যাবে। বাকি থাকবে আরও পয়তাল্লিশ মিনিট। এই সময়টা গাড়িতে বসে গান শুনে কাটানো যেতে পারে। হাসান কী ধরনের গান শোনে সেটাই কথা। বর্তমানের হুক্কা-হুয়া ধরনের গান হলে শোনা যাবে না। তবে হাসানের সে জাতিয় গান শোনার কথা নয়। বাংলায় মাস্টার্স একটা ছেলে হুক্কা-হুয়া জাতিয় গান শুনবে না। বরীন্দ্র সংগীতই তার প্রথম পছন্দে থাকার কথা। [ক্রমশ...]



শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট