গন্তব্য ভুলে বেখেয়াল.. অতঃপর
মহিউদ্দিন বিন্ জুবায়েদ
স্বজনের কর্মসূচি..
হাসিখুশি নানা আয়োজনে। নব চাঁদ যেন বরণে আগ্রহ।
এগিয়ে যায় দিন মাস ও বছর ¯্রােতস্বিনী নদী যেমন।
মন প্রসারিত হয়। ধান কাউনের মাঠে
দূর্বা ঘাসের গালিচার আন্তরনে..
ফুল পাখি বন অপরূপের দেশ। স্বপ্ন দেখায় ভুল ঠিকানার।
গন্তব্য ভুলে বেখেয়াল.. অতঃপর
সময় নিঃশেষ ডাকে সাড়া দিয়ে একাকিত্ব
বাসন্তী প্রিয়তমা
মো. রাসেল হাসান
আজ কোকিল ডেকে ভেঙ্গে দিল আমার কাঁচা ঘুম,
বসন্ত আজ দিয়ে গেল আলতো করে চুম।
স্বপ্নে দেখি মোর প্রিয়সী
আমার জন্য বেশ উদাসী
হাজার ফুলে সেজে এসে উঠলো আমার কোল।
ভাঙল যখন মিথ্যা স্বপন পড়লো হিয়ায় রোল।
খোঁপায় গাঁথা চামেলী, জুই, অশোক ফুলের পাপড়ি,
গলে ছিল কৃষ্ণচূড়ার আগুন ঝরা ঝাপড়ি,
গালে ছিল অপার যাদু,
ওষ্ঠে খোদার রাখা মধু।
স্বর্গ থেকে আসলো যেন এই রূপসী হুর!
দু’জন মিলে গিয়েছিলাম
অনেক বহুদুর।
আমি শোনায় কাব্য এবং সে শুনালো গান।
একটি কোকিল দিয়েছিল ভাঙিয়ে অভিমান।
গানের ফাঁকে চুম দিত সে।
দীঘল, আঁধার চুল বাতাসে
দুলছিল আর ছড়াচ্ছিল স্বর্গীয় এক ঘ্রাণ।
হঠাৎ আমার মধুর স্বপ্নের ঘটলো অবসান।
মনের প্রিয়া মনেই আছে, হয়নি প্রিয়সী।
ভিনদেশি ওই প্রিয়াটাতো চাঁদের অধিবাসী।
দেখাই দুইয়ের হবে নাকো,
মিথ্যে স্বপ্ন কেন আঁকো!
জানালে শুধু বসন্ত এসেছে, আসোনি তুমি প্রিয়তমা-
তুমিই বলো এর শাস্তি কি দিব, নাকি করে দিব ক্ষমা।
আগমনী
রিপলু চৌধুরী
আজ সাতসকালে নতুন করে অন্যরকম ঘ্রাণ আসছে নাকের ডগায় ,
সেই ঘ্রাণে ঘুম ভেঙে গেল আমার,
শুনতে পেলাম কোকিলের মিষ্টি কন্ঠ কুহ কুহ ডাকছে,
চোখ মেলে দেখতে পেলাম পূর্ব আকাশে সূর্যের এক অমায়িক হাসি।
তাহা দেখে আমি বাড়ির সামনে ছুটে আসি,
দেখতে পাই শিমুল আর কৃষ্ণচূড়া লালে পরিপূর্ণ
নানান রঙের পাখি কিচিরমিচির ডাকছে
কোকিল পাখি শিমুল আর কৃষ্ণচূড়া ডালে বসে কুহ কুহ গান গাইছে,
বাতাসের সাথে ভেসে আসছে এক সুগন্ধি গন্ধ।
সেই পাখির কন্ঠ আর সুগন্ধি সুবাসে ছুটে আসে এক নতুন আগমনী,
সেই আগমনী বলে দেয় বসন্ত এসে গেছ,
আম গাছে মুকুল ফুটছে ডালিম গাছের ডালিম পাকছে
প্রকৃতি ফিরে পায় নতুন এক পরিবেশ
প্রকৃতি বলে দেয় বসন্ত এসে গেছে।