লুকোচুরি প্রেম
পাতার আড়ালে আঁকা লুকোচুরি প্রেম;
ভালোবেসে হয়ে ওঠে ইরানি গোলাপ!
শিউরে উঠার অনুভূতি সুখেথ
আমার এ প্রাণ রাঙিয়ে বিলীন!
গল্পের মায়াবীরাত ভাসে যমুনায়...
দুটোচোখে নীরবেই ধীরে নদী বয়!
চন্দ্রাবতী মন
মায়াবী পূর্ণিমারাত।
কারো কারো চোখে মেঘের তীব্রতা বাড়ে;
ঢেকে ফেলে চাঁদ!
ঘোলাটে দুচোখ যার, তখন দুচোখে তার
পূর্ণিমাও অমানিশা...
চন্দ্রপুকুরে যে ডুবে- তার চন্দ্রাবতী মন;
অমানিশা তারে কী করে ভোগায়?
বেসাতী প্রেম
কোম্পানিওয়ালা মন, ছককেটে প্রণয়-
বেসাতী সুখের প্রেম, মালিকানা হিস্যা।
এখানে ওখানে লাভ,
অঢেল পিরিতি ঋণ।
ছাপোষা নবিশ চোখ- খতিয়ান ভুল;
প্রণয়ের ভারে ক্ষতি,
সন্দেহে ছাঁটাই পিরিতের ক্লার্ক!
দুদিন উপোস রেখে পিরিতির যোগ,
খোলস পাল্টানো মুখ; স্বভাবে মুনাফাখোর।
খাতক
জলের প্রবাহে নদী ভাঙনের কথা বলে...
তার এ স্বভাব মেনে দুপাড়ে বসতি হয়।
স্রোতের করালগ্রাসে ভেঙে যায় ঘর;
ভাঙনের তোড়ে ভাসে মুখোমুখি বসা
মায়াবী উঠোন!
নোনাজল ফেলে দিয়ে নদীকে খাতক ভেবে ফিরে আসে কেউ...
ভেঙেচুরে নদীপাড় শ্রীহীন ভীষণ,
তবু কি অসুখী নদী?
চেতনার নদী তবে কেন সুখী নয়?
পরগাছা
অশত্থ জড়িয়ে নেয় খেঁজুরের গাছ,
কাঁটার আঘাত তবু বোঝে না অশত্থ;
ভীষণ দাপিয়ে বাড়ে, প্রণয়ের ভারে!
নির্বিকার বিষকাঁটা নিয়ে
হাঁসফাঁস করে তবু বেঁচে থাকে গাছ।
সে গাছে আর কে বাঁধে কামনার হাঁড়ি?
ভূঁইপতির এদিকে মনযোগ নেই;
পতিত জমিতে বৃক্ষ বেড়েছে বাড়ুক।
প্রেরক:-
মোস্তাফিজুল হক
শেখহাটি, শেরপুর টাউন- ২১০০
জেলা- শেরপুর।
মোবাইল- ০১৭১৬৯৭৯৯৩৬