ভালোবাসা তোমার জন্য
ইমতিয়াজ সজল
ইফতেখার আজ সকাল বেলা করে বারান্দায় বসে কি যেন ভাবছে। অফিস হয়ত বন্ধ তাই কোথাও যাবার তাড়া নেই। এমন সময় আর্নি তার রুম পেরিয়ে বারান্দায় হাজির, হয়ত দরোজা খোলাছিলো তাই কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি।
-কি মিস্টার! অফিস কি আজ যাবেন নাহ।
-নাহ! আজ অফিসে যাবো না, একে তো বন্ধ তার উপর ভালো লাগছে না।
আর্নি দ্রুত সরে এসে কপালে হাত দিয়ে।
-কই শরীরের তাপমাত্রা তো ঠিক আছে। তেমন কিছু হয়েছে বলে তো মনে হচ্ছে না।
-আসলে মন ভালো নেই..
-কেনো? আজ আবার মনে কি হলো!
-সত্যি কথা বলতে তুমি চলে যাবার পর থেকে আমার পুরোটাই ভালো নেই সব-থেকে বেশি মন ভালো নেই, কিছু করতে এখন আর ভালো লাগে না।
-আমাকে এতটা ভালোবাসো কখনো তো বলো নি।
-ভালোবাসি অনেক তবে কখনো বলা হয়নি বা বলতে ইচ্ছেও হয়নি কারণ তোমাকে আমি সব-সময় আমার কাছে পেয়েছি, তবে আজ অনেক করে ইচ্ছে করছে তোমাকে এক-বার বলি আমি তোমাকে কতটা ‘ভালোবাসি’
-ভালোবাসার মানুষ গুলোর এই একটা সমস্যা মানুষ-গুলো হারিয়ে গেলে রিয়েলাইযেশন হয় কে কাকে কতটা ভালোবাসে।
-আচ্ছা তোমাকে কি আর ফিরে পাওয়া হবে না...
মোবাইলের রিংটোন এ ইফতেখারের খেয়াল ফিরলো। কিছু ফোন কল এসেছে আর্নিদের বাড়ি থেকে, তারপর চোখে পড়লো আর্নির মেসেজ “তোমার জন্য পাঠালাম ডিভোর্স পেপার, এবার তুমি মুক্ত” ইফতেখারের চোখ লাল হয়ে এলো। এতক্ষন যা হলো সব কি কল্পনা ছিলো। গভীর করে আর বলা হলো না “কতটা ভালোবাসি তাকে”