ডেডোক্রেন ভাইরাস
হিলারী হিটলার আভী
কাক ঈশ্বরের কাছে মানুষের উপমা জানতে চায়লো!
ঈশ্বর জানোয়ারের সাথে উপমা দিলো!
কাক হাবিল আর কাবিলের কথা মনে করে কাঁদলো!
এখন শকুন গরু-ভাগা নিয়ে প্রশ্ন করছে !
এরপর সাপ ময়ূরকে নিয়ে প্রশ্ন করবে!
চিংড়িমাছ কেঁচো কেন মেরুদ-হীন জানতে চাবে!
গাধা সমাজচ্যুত- তাই সে নির্বাক থাকবে!
সবশেষে আবাবিল শ্রেষ্ঠজীব শব্দটি নিয়ে একটিই প্রশ্ন করবে!
হঠাৎ মাতালের অট্টহাসির জন্যে সভা ভেঙে গেলো,
মাতালের অট্টহাসিতে ‘ডেডোক্রেন ভাইরাস’ নির্গত হলো!
‘ডেডোক্রেন ভাইরাস’ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মানুষের মস্তিষ্ককে
শতভাগ-ই বিকৃত করতে সক্ষম!
না হলে থাকুক সব, এভাবেই
আজাদ আল আমিন
যখন ছোবল দিবে একটু কম করে দিও জানোতো আমি খুব ব্যথা কাতর;
তোমার ছোবল কতটা ভয়ঙ্কর সেটা কেউ না জানলেও আমি জানি
আগের মতো যদি দাও বেদনাকাতর হয়ে ছটফট করতে হবে,
যদিও তা নতুন কিছু নয়, খুব পুরোনো.. অবিরত এভাবে যাচ্ছে
তারপরও চাই এবার একটু কম করে দিও।
যদিও বসস্তের কোকিলের ডাক তোমার কানে পৌছে যেত
অথবা শরতের স্নিগ্ধ সকালের স্পর্শ পেতে
কিংবা আষাঢের বর্ষণ, শীতের ঘনকুয়াশা আলীঙ্গন করতে
তবে তুমিও হতে কোমল মনের অধিকারী
যেখানে অনুরণন হতো অব্যক্ত আর্তনাদের।
সব বিষাদ এক করে একদিন তোমাকে দিবো
ভার বহন করতে হবে না,
শুধুমাত্র একটু স্পর্শ করে দেখো;
যদিও তোমার অনুভূতি জীবিত থাকার লক্ষণ অপ্রকাশিত,
তবুও ধূসর মরুতে একটু শীতল হাওয়া পাবার প্রানান্তকর বৃথা
চেষ্টার মতো একটু না হয় আশার সঞ্চার করলে।
কোন এক সময় উপলব্ধির ব্যপ্তি যদি প্রসারিত হয়,
বিস্তির্ণ মাঠ পেরিয়ে দিগন্তের উঁকি দিও
মাসের পর মাস, বছরের পর বছর যেখানে
তোমার সরব উপস্থিতি নেই, আছে শুধু বেলা শেষ হবার প্রতীক্ষা।
না হলে থাকুক সব, এভাবেই।
চলার পথে
বিধান সাহা
চুপ করে থাকলেও
কোন লাভ হয়নি
জীবনের চলার পথে
নতুন করে বলতে গিয়েও
হয়নি বলা
কোন কিছুই জানি
অনুভবের দ্বারে
পৌঁছে যেতে চেয়েছে
অনেক ইতিবৃত্ত
সেসব কিছুই হয়নি
আসেনি নতুন করে
নতুন প্রত্যয়
জীবন বয়ে গেছে
আপন খেয়ালে
নিবিড়তার টানে
কথা ফিরে গেছে
নিজের মত করে
কোন চিহ্ন না রেখে...
মাটির গম্বুজ
মুহাম্মদ ইয়াকুব
বিপুলা পৃথিবীর পাহাড় চূড়ায়
ঐশ্বর্যের মেলা
ঈাহাড়ের চূড়া মানে মাটির গম্বুজ
খুঁটি গাঁড়ে পৃথিবীর বুকে
এখানে নির্যাস চুষে মানুষ
শিশু, যুবা, বৃদ্ধ- স্তর বিশেষে
পেশিবহুল হয়ে দাঁড়ায় ক্রমে...
মোহন চিত্তের কাদামাটি সোঁদাগন্ধে
নির্বাক সব গন্ধবণিক
পর্বতারোহী চড়তে চড়তে দেখে
ঝর্ণাধারা ঢেউ ভেঙে নামে তীব্র বেগে
শীতল ধারায় ফুটে -
নাম জানা- অজানা ফুলের সমাহার
রিমঝিম বর্ষণ- ভেজা শরীরে
উন্নত শির ভেসে ওঠে প্রকৃতির কূলে।