চিনের মরমী কবি : বেই দাও

 



চিনের মরমী কবি

বেই দাও 

অনুবাদ : আকিব শিকদার 


বেই দাও একজন নির্জনতাপ্রিয় কবি। চিনের যে ক’জন কবি কবিতায় মরমীবাদ আগলে রেখেছেন, কবি বেই দাও তাদের মাঝে একজন। বেই দাওকে বলা হয় রহস্যবাদী কবি।

 বেই দাও শব্দটির অন্য উচ্চারণ “পেই তাও” এবং শব্দটির অর্থ “উত্তরের দ্বীপ”। কবির জন্ম ১৯৪৯ সালের ২ আগস্ট বেইজিং এ হলেও কবির শিকড়টি চিনের উত্তরের একটি দ্বীপে প্রোথিত। বেই দাও এর প্রকৃত নাম ঝাও ঝোনকাই। কবি নির্জনতা পছন্দ করেন বলেই হয়তো ‘বেই দাও’ ছদ্মনামটি বেছে নিয়েছিলেন। মরমী এ কবি চিনের লোকদের হৃদয়ে হৃদয়ে আসন করে নিয়েছেন।



সময়ের গোলাপ 


যখন দারোয়ান নিদ্রিত থাকে ফটকে

আর তোমরা দল বেঁধে ঝড়ের সাথে বাড়ি ফিরে আসো

এই যে আলিঙ্গনে চলার বয়স- তা হলো

সময়ের গোলাপ।


যখন পাখিদের চলাচল আকাশকে সাজায়

আর তোমরা পেছনে তাকিয়ে সূর্যাস্ত দেখো

এই যে অন্তর্ধানের মাঝে প্রত্যক্ষ- তা হলো

সময়ের গোলাপ।


যখন তলোয়ার বেঁকে যায় ডুবো জলে

আর তোমরা ব্রিজের ওপরে দাঁড়িয়ে তোলো বাঁশিতে সুর

এই যে বাঁধাবিঘেœ সজোর আর্তনাদ- তা হলো

সময়ের গোলাপ। 


যখন কলম আঁকে দিগন্তের রেখা

আর তোমরা প্রাচ্যের ঘণ্টাধ্বনীতে বিস্ময়ে জেগে ওঠো

এই যে ধ্বনির অনুরণনে কম্পন- তা হলো

সময়ের গোলাপ।


মনের আয়নাতে বিম্বিত যে-কোনও মুহূর্ত

যা পৌঁছে দিতে পারে পুনর্জন্মের দরজায়

খুলে দিতে পারে সাগরের কপাট- তা হলো

সময়ের গোলাপ।



ফিরে আসা ধ্বণী


আকাশের পাখিগুলো সোনালী আলোতে উড়ে

ফিরে এসে বসে পাহাড়ি গাছের ডালে

রাতের ফানসগুলো নিভে গিয়ে 

পরে যায় মাটিতে।

আমাদের ডাক, হে প্রভু, ফিরে যায় তোমার কানে। 


আমাদের চিৎকার পাহারে সাগরে নদীতে 

কত ধ্বণী প্রতিধ্বণী হয়ে ফিরে আসে পুণরায়।

হে প্রভু, তোমার গোপন সুর ফিরে যায় তোমার কানে।



শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট