পদাবলি ০২

 



অহংকার 

হাফিজুর রহমান 


এই নে-রে ভাই, একা খাবে তালের রস;

সিন্দুকে তুলে রেখে তোর অর্জিত যশ,

একটি কথা জেনে রেখো তবে

কোনকিছুই নয় অবহেলার

প্রয়োজনে আছে সবে।


কার ঘরের দুয়ারে, কখন যে যাবে কে!

কী প্রয়োজনে কেন, সময় বলবে ডেকে,

বড়াই করো না অর্থ- সম্মানের

নিমিষেই যাবে ধূলায় মিশে

সবেই হবে অপমানের।



দুর্ভিক্ষের নায়ক

আহমাদ সোলায়মান


জীবনের দিনে আর সূর্যের আলো নেই

চোখ দু’টো যেন এক কঙ্কাল নদী

সময়ের ঘড়িটার ফুরিয়েছে ব্যাটারি

দিক ভুলে সকালের ঘুম ভাঙে যদি!

কৃত্তিম হাসিগুলো ঠোঁট খুজে ক্লান্ত

পা দুটির কোনোদিন ভাঙলো না ভ্রান্ত

এই যদি হয় এক জীবনের সংগ্রাম

দুর্ভিক্ষের নায়ক দেওয়া যায় এর নাম।



মৃত্যু মায়াবিনী

সাকিব জামাল


মৃত্যুকে আমি বেশ কাছে থেকে দেখেছি, কয়েকবার।

শান্ত, শুভ্র প্রেমিকার মতো ভীষণ মায়াবিনী।

ভালোবেসে আমাকে জড়িয়ে নিতে চায় বুকে অনন্তকাল।

না, ভৌতিক কোনো রূপ নেই তার,

নেই ভয়ঙ্কর কোনো কর্কশ স্বর।

কেবল লজ্জাবতীর মতো রহস্যময়তা আছে- 

কাছে আসে আবার আসে না!

তবে সে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, অলৌকিক মায়ায়-

একদিন কাছে আসবেই। আলিঙ্গন হবে বিরামহীন প্রেমে!




এ কেমন নীরবতা?

মাহতাব উদ্দিন 


হে সাগর,

এ কেমন নীরবতা?

তব বক্ষে চলছে না তো কোনো পোত

বিশাল জলরাশির মাঝে

তুমি আজ খরস্রোতা। 

মড়মড় শব্দে ভেসে চলা ঢেউগুলো থেকে 

কান্নার আওয়াজ আসছে ধেয়ে!

যেন এক মৃত্যুপুরী। 

দূর আকাশের নীচে নৌযানে মাঝির কণ্ঠে; 

ভাটিয়ালি সুর ভেসে আর আসে না যে! 

নদীতটে বৃক্ষরাজি,

নির্বাক দাঁড়িয়ে যেন অশ্রুপাতে।



শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট