কয়েকটা তিল গোপন একটা চোখে
একটা তিল লিখে রাখা আদর
মুচকি হাসিতে মেলে নকশী চাদর।
এই তিলটা হেঁটে হেঁটে বেড়ায়
একটা নগর শীত আবেশে হারায়।
আরেকটা তিল ঢেকে রাখা প্রেম
চোখের ভ্রু কালো একটা মেঘের নাম।
বৃষ্টি নামা নীল সমুদ্রে জমেছে হেম
তাকিয়ে থাকা কাজল পাখির সর্বনাম।
ছোট্ট একা তিল নগরগড়া অসুখ
তোমার আমার পৃথিবী, নাই কোন বিসুখ।
কতগুলো কবিতায় লিখে রাখা রং ঢং
সেই রাতেও চাঁদ ছিল, কয়েকটা চুমুর ভং!
কয়েকটা তিল গোপন একটা চোখে
খসে পড়–ক নিজ দেশে, যে দিল পাহারা।
চাতাক পাখি সেই তিলটা কার দুঃখে
ভালো নাই, তবুও চাই ভালো থাকুক তারা।
আড়ি
গভীর রাতের গল্প বলি
রাতজাগা ঐ পাখিটার ডাক,
কি জানি এতো করে ব্যাঙ ডাকে;
ফুলের বিয়ে ভেঙ্গে গেছে কোন গাছটার?
বুদ্ধ পূর্ণিমার ঐ চাঁদ দেখো-
ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে মেঘের আড়ালে,
ঐ নদীটার নাম কেন তবে আড়িয়াল খাঁ
শব্দ করে বিমানখানি কাদের নিয়ে উড়ে গেল,
মনের ভেতর নিঃসঙ্গতা তোমার খুব ঘুম ফেল..।
সন্ধ্যার বৃষ্টি ভেজা এক বিলে
সন্ধ্যার বৃষ্টি ভেজা এক বিলে
ফুটেছে কিছু শাপলা, পদ্ম..
অনাহারী এক বার্মিজ বালিকা
ফুল গুলো তুলে নিল সযতনে,
গ্রামের এক পাশে মহুয়া তলায়
বসেছে এক আদিম রাতের বাজার,
মেয়েটা ক্ষুধায় ফুলগুলো বিক্রি করে
আনমনে যখন, গাছটার দিক তাকালো,
দেখলো- কতগুলো ফুল না পাওয়ার দুঃখে
মৃত মায়ের করুণ চোখের সবটুকু মায়া নিয়ে
এক অচেনা যুবক ফুল মনে করে এক নজর
মেয়েটার দিক তাকালো, তখনই একটা ফুল ফুটলো,
বেখায়ালে মঙ্গোলিয়ার রাস্তায় একটা দূর্ঘটনা ঘটলো
দুইটা ফুলের মতন নিষ্পাপ শিশুর শরীর ছিঁড়ে গেলো,
এক জাপানিজ কবি তাঁর কবিতায় চেরি ফুল লিখলো..
পরদেশী কবিতা
আমার দেশের আকাশে আজ অযুত নিযুত তারা। তোমায় আমি খুঁজতে খুঁজতে হলেম দিশেহারা। কতদূরে তোমার দেশ সে আকাশে জ্যোৎস্না বুঝি? আমি পাগল দিকভোলা উল্টো হয়েও খ্ুঁজি..। তোমার জন্যে কতগুলো ফুল হয়ে যায় শাড়ি। আমার খালি ইচ্ছে করে ছেড়ে দি ঘর বাড়ি। হঠাৎ করে উড়াল দি এই আকাশখান পাড়ি.. হঠাৎ কখন তোমায় দেখি স্বপ্নে ভাসা চোখে, তার ভেতরে হৃদয়খানি আছে দারুণ সুখে..। তুমি প্রিয় ভালো থাকো রাতদিন আমি পাগল চাই। বলো, পৃথিবীতে এমন কি আছে তোমায় দিতে না’ নাই। তুমি যা চাও তাই হবে, সবকিছু তাই এতো সুন্দর, যুগে যুগে তোমার জন্যে দিবো পাড়ি আটলান্টিক বন্দর।
নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়