অলঙ্করণ : জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশাহ
সম্পর্ক
আশ্রাফ বাবু
চুয়াডাঙ্গা ফেরার জন্য সৈয়দপুর স্টেশনে একটু তাড়াতাড়ি চলে আসে জেসমিন। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস। রিসার্ভেশন যদিও কনফার্মড, তাও কয়দিন ধরে যেভাবে সারা নীলফামারী তথা দেশে রাজনৈতিক ক্যাচাল নিয়ে উত্তাল, তাতে মনে সংশয় ছিলো আজও ট্রেন চলবে কিনা। একদিনের নীলফামারী সফরে কাজগুলো শেষ করতে গিয়ে সারাদিন খাওয়া হয় নি। ভেবেছিল, তাড়াতাড়ি স্টেশনে পৌঁছে কিছু খেয়ে নেবে। উফফ, আসবার সময় যা অভিজ্ঞতা হলো, এখনো মাথার রগ দপ দপ করছে।
মাহিন্দ্রের পেছনের সিট থেকে ড্রাইভারকে যতটুকু দেখেছি, তাতে রোগাটে চেহারা, মুখে দাড়ি, চুল অবিন্যস্ত, বয়স ৪০-র কাছাকাছি। গাড়িতে ওঠার পরে জেসমিন শুধু বলেছিল, ‘আপনি এই পথ দিয়ে কেন যাচ্ছেন, সামনের রাস্তা ধরলে হতো না’। প্রতিদিন যে হারে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। এই মধ্য চল্লিশেও নিজেকে নিরাপদ লাগে না। কিন্তু ড্রাইভার লোকটি বেশ বীরত্বের সঙ্গে উত্তর দেয়,
‘জানেন আমি বিশ বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছি। এই শহরের অলি-গলি সব চেনা। এখন তো সব মানুষ গুগল রুট ম্যাপ চেনে। ওসব আমার লাগে না’।
এরপর সারা রাস্তা দেশের পরিস্থিতি, ডি-মানিটাইজেসন, নেতা-নেত্রীদের কার্যকলাপ নিয়ে বকর বকর করে গেল। বলার সময় এক হাত স্টিয়ারিঙ্গে রেখে অন্য হাত হাওয়ায় উঠিয়ে এইস্যা ছুঁড়ছিলো, জেসমিন ভাবলো, লোকটি নিশ্চয়ই কোন ইউনিয়নের নেতা। তারপরেই খটকা লাগলো,
‘জানেন, এরপর শুধু দুই শ্রেনীর মানুষ থাকবে, একশ্রেনীর আয় লাখ টাকা এবং অন্য শ্রেনীর কোটি টাকা। দারিদ্রসীমার নীচে কোন মানুষ থাকবে না। পুরো ক্যাশলেস হয়ে যাবে। রাস্তায়, সোনা পরে থাকলেও কেউ ছুয়ে দেখবে না। ঘরে বেশী টাকা রাকলেই সরকার জেনে যাবে। তাই চুরি, ডাকাতি, ঘুষ সব ভ্যানিস’।
জেসমিন বেশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘তাই নাকি?’। বলেই ভাবলো, এই রকম কথাতো শোনেনি কোথাও। জেসমিনের উত্তর পেয়ে লোকটি আরও উৎসাহিত হয়ে প্রায় সমস্ত শরীরটাকে অ্যান্টি-ক্লকওয়াইজ ঘুরিয়ে বলে ওঠে,
......‘হ্যাঁ, জানেন না চীন আর রাশিয়াতেও একই নিয়ম। ওখানে সবাই সমান’।
......‘আরে আরে সামনে দেখে চালান, গাড়ি আসছে তো’।
রীতিমতো বজ্রকঠিন স্বরে বলে, ‘আপনার ভয় নেই। না দেখেও চালাতে পারি’। এবার লোকটিকে ঠিক স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না। আজ সুস্থমতো স্টেশনে পৌঁছাতে পারবে তো?
.........‘জানেন, এখন দেশের এই অবস্থা কেন? এটা আমাদের পূর্বপুরুষদের পাপের ফল, বুঝেছেন। যেমন, বাবার পাপের ফল নিজের সন্তানকে পেতে হয়, তেমন। দেখছেন না, এখন মানুষ নিজের কাছের জনদের থেকে বাইরের লোকের কথা বেশী শোনে আর বিশ্বাস করে। সেদিন আমার বউকে, মা বল্লো, শুটকি রান্নাতে বেশি ঝাল দিতে। বউ না শুনে নিজের মার কথামতো কাচামরিচ দিলো। ব্যাস, তেলে পুড়ে এমন রং, কেউ খেয়ে মজা পাইলনা। তাই তো রবীন্দ্রনাথঠাকুর বলেছিলেন, মঙ্গলে উষা বুধে পা, যথা ইচ্ছা তথা যা। মানে, যেখানে খুশী চলে যা। সবাই জাহান্নমে যা, বুজলেন?’।
দুত্তোরী, এতো রীতিমতো আধ-পাগলা বা মাতাল। সমাজতন্ত্র, শ্বাঁশুড়ি, শুটকি, রবীন্দ্রনাথ, মিলে মিশে চচ্চরি বানিয়ে ইচ্ছে মতো যুক্তি দিয়ে চলেছে। জেসমিনের আতংকে হাত-পা অবশ। কি করবে এখন? বেশী উচ্চবাচ্চ করলে যদি ক্ষেপে গিয়ে নামিয়ে দেয়...অগত্যা চুপ করে বসে থাকলো। গাড়ি এদিক ওদিক এঁকে–বেঁকে হর্ন দিতে দিতে এগিয়ে চললো। জেসমিনের মনে হচ্ছিল পিছনে পুলিশের তাড়া খেয়ে হিন্দী সিনেমার ঢঙ্গে কিডন্যাপাররা ওকে নিয়ে দ্রুতগতিতে ছুটে পালাচ্ছে। একেবারে দম বন্ধ অবস্থা!
নীলফামারী থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে সৈয়দপুর স্টেশনে ঢুকিয়ে ড্রাইভার যেই দাঁড় করিয়েছে, জেসমিন লাগেজ নিয়ে গাড়ির দরজা খুলে একেবারে বাইরে। অন-লাইনে পেমেন্ট করা ছিল, তাই রক্ষা। তারপরে, একটুও সময় নষ্ট না করে একেবারে স্টেশনের ভেতরে। কি স্ট্রেঞ্জ অভিজ্ঞতা! উত্তেজনা টের পাচ্ছে এখনো।
ঘড়িতে দেখলো, ৫.৩০। সময় আছে অনেক। কফি খাবে বলে এদিক-ওদিক ঝকঝকে স্টলগুলিতে উঁকি দিল। থরে থরে সব খাবার। কিন্তু দাম ও মান কোনটাই ঠিক পছন্দসই নয়। তাই পাশ কাটিয়ে কোনের দিকে একটি স্টলে গিয়ে কফি চাইল। সেখানে দুটি ছেলের মধ্যে একজনকে বেশী সপ্রতিভ লাগলো, তার বয়স,২৮-২৯।
কফি খেতে খেতে হঠাৎ দূরের ঝকঝকে স্টলগুলির দিকে আঙ্গুল উঁচিয়ে ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করলো,
......‘এখানে রাতের খাবার কোথায় ভাল পাব?’ ছেলেটি স্টলের কাঁচঘেরা কাউন্টারের উপর ঝুঁকে প্রায় ফিসফিসে জানালো,
......‘একটাও ভাল না’।
...... ‘তাহলে, কোথায় পাবো?’, বেশ শুকনো মুখে জেসমিন বলে ওঠে।
...... ‘আপনি কি খাবেন? মাছ না মাংস?’
...... ‘নিরামিশ’
...... ‘তাহলে আপা, এই সোজা প্ল্যাটফর্মের বাইরে যান। দেখবেন, (সন্দু) হোটেল। সুন্দর চালের ভাত, রুটি, দুটোই ওখানে পাবেন’।
...... ‘এ বাবা, লাগেজ আছে তো। আচ্ছা ফোন-এ অর্ডার করলে দিয়ে যাবে না?’
...... ‘না আপা। চলে যান না, কাছেই তো। এখানে লাগেজ রেকে যান। আমরা আছি, দেখে রাখবো’।
জেসমিনের সন্দিহান মন জানালো, খবরদার, বিশ্বাস কোরোনা। যত মিষ্টি কথা, তত খারাপ অভিসন্ধি। তাই চালাকি করে বলে,
......‘অতদূরে আর যাবনা। এখান থেকেই নিয়ে নিচ্ছি’। কফির কাপটা পাশের ডাস্টবিনে ফেলে ট্রলি ব্যাগের হ্যান্ডেলে হাত রাখতেই, ছেলেটি কাউন্টার থেকে বেড়িয়ে এসে,
......‘চলুন, আপনাকে নিয়ে যাচ্ছি। এই কালু দোকানটা কটু দেখিস তো’।
এরপর, জেসমিনকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই, ট্রলিব্যাগটা হাতে নিয়ে হাঁটা শুরু করে।
......‘আরে আরে করছো কি? না না আমি নিচ্ছি’, জেসমিন বেশ জোরেই বলে ওঠে। ছেলেটি হেসে বলে,
......‘ ভয় নেই, আসুন না’। কিছুটা হতবম্ব হয়ে জেসমিনের পিছু পিছু চলা শুরু করে।
ফুটবলাররা যে ভাবে ড্রিবলিং করে বল নিয়ে এগোয়, ওরাও সেইভাবে সৈয়দপুর স্টেশন নির্মাণ হকারের গলির মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে। ভিড়ের মাঝে হঠাৎ ছেলেটিকে হারিয়ে ফেলতেই ভয় পেয়ে যায় জেসমিন। ভাবে, অচেনা একটি ছেলের সঙ্গে আসা খুবই হঠকারিতা হয়েছে। লাগেজও তার জিম্মায়। নিশ্চয়ই অন্য মতলব আছে। আজকালকার দিনে নইলে একজন অচেনা মানুষকে কোন উদ্দেশ্য ছাড়া কেউ সাহায্য করে?
অবশেষে কিছুটা হেঁটে তারা সন্দু হোটেলে পৌঁছায়। ভেতরে ঢুকেই মালিককে দেখিয়ে বলে, ‘আপা কি খাবেন বলুন’।
হোটেলের ভেতরটা ছোট হলেও বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। জেসমিন খাবার অর্ডার দিতেই, ছেলেটি পাশে এসে বলে,
......‘স্টেশনের ঐ দোকানগুলোর থেকে এখানে সব গরম পাবেন। ভাল রান্না। দামও কম’।
জেসমিনের মনে হলো, কমিশনের লোভেই এইসব করছে। ফেরার সময় ছেলেটি জেসমিনের ট্রলি ব্যাগের সাথে খাবারের ঝোলাটাও বয়ে আনল। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে ব্যাগটিকে লাগেজ ট্রলির উপর চাপিয়ে দেয়। জেসমিন জানতে চাইলো সবাই তো দিচ্ছে না, তুমি কেন দিলে? ছেলেটি স্মিত হেসে বলে,
......‘আমরা কেন নিয়ম মানবো না’।
আশ্চর্য! জেসমিন অবাক হয়। ভাবে, এইসব সাহায্যের বিনিময়ে এবার নিশ্চয় টাকা চাইবে। তাই বলে ওঠে,
...... ‘তুমি যা করলে, আমি কোনদিন ভুলবো না। আপা বলে ডেকেছো, এই নাও, যা ভাল লাগে খেয়ো।’ জেসমিন ১০০ টাকা ব্যাগ থেকে বের করে।
ছেলেটি সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেয়, ‘আপা ডেকেছি, আপনাকে ট্রেনে উঠিয়ে দিয়েই যাব। এর জন্য আপনার কাছ থেকে টাকা নেবো? ভাই-এর দায়িত্ব আপাকে দেখাশোনা করা। কত নম্বর কোচ?’
কথাটা চাবুকের মত গায়ে এসে লাগে জেসমিনের। তারমানে, এতক্ষন ধরে ছেলেটিকে নিয়ে যা যা ভেবেছিল তার একটাও তো মিলছে না। টাকাটা হাতে নিয়ে নিজের দোদুল্যমান মন নিয়ে আস্তে করে বলে,
...... ‘এখানকার কোন ট্রেন কয় নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসে, কোন কোচ কোথায় দাঁড়ায়, আমার সব মুখস্থ। চলুন, নিয়ে যাচ্ছি। আসলে, আমারও এক আপা আছে। আপনাকে দেখে আপার কথাই মনে পড়ছে’।
...... ‘কোথায় থাকে তোমার আপা’।
...... ‘কুড়িগ্রাম। এই তো গত বছর বিয়ে দিলাম, ছেলে সরকারী চাকরী করে। ব্যস আমি নিশ্চিন্ত। বাবা-মা আমাকে বিয়ের জন্য বলচে, আমি রাজী হচ্ছিনা। এই আপার বিয়ে দিলাম জমি বিক্রি করে, একটু নিশ্বাস নিই’।
...... ‘তাই, বা, তুমি তো খুব দায়িত্বশীল ছেলে’।
...... ‘বাবা ঢাকা থেকে আসার পরে, দোকানে কাজ করে খুব কষ্টে ৩ বিঘা জমি কিনেছিল। সেখান থেকেই এক বিঘা দিদির জন্য বেচে দিলাম। এখন বাবা-মাকে দেখা-শোনার জন্য মাসে মাসে টাকা পাঠাই। বাবা অনেক কষ্ট করেছে এক সময়। তাই বলেছি, আমি দেখবো। তুমি বিশ্রাম নাও’।
...... ‘সত্যি, তোমার মা-বাবা খুব লাকি’।
...... ‘না আপা, আমি চেষ্টা করি সৎ ভাবে বাঁচতে, মানুষকে ভালবেসে জীবন কাটাতে। জানেন, এই স্টেশনে আমি ১০ বছর বয়স থেকে আছি। সবাই আমাকে চেনে আর ভালবাসে। দোকানের মালিক আমার উপরে ভার দিয়ে, নিশ্চিন্তে আছে। মাসে ৮,০০০ দেয়। এখানেই উপরে থাকি। এই স্টেশনই আমার বাড়ী ঘর। মাঝে মাঝে বাবা-মাকে দেখতে কুড়িগ্রাম যাই। এই হাসু ভাই চা দাও দেখি ২ টা’।
কথা বলতে বলতে প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে পৌঁছে দুটো ফাঁকা চেয়ার-এ ওরা বসে। চা দিতেই, জেসমিন টাকা বের করে। ছেলেটি জানায়, ‘এখানে কেউ দাম নেবে না’।
......‘এমা, সেটা তো তোমার জন্য। আমি....’।
......‘হাসু ভাই নেবেই না, এখানে আমরা সবাই খুব মিলেমিশে থাকি। আপনি আমার আপা তো। তাই সবার আপনজন হলেন’। চা-এর লোকটিও হেসে চলে যায়। মোটামুটি কিছুক্ষনের মধ্যে কুলী থেকে হকার, এমনকি টিকিট কালেক্টরের কাছেও জেসমিন হয়ে ওঠে ‘ওর আপা’। এরপরে চেয়ারে পা গুটিয়ে কত গল্প শোনায়। সে এক অচেনা সৈয়দপুর স্টেশনের আনাচে-কানাচের যাপন-কাহিনী।
কিছুক্ষনের মধ্যে ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢোকে। ছেলেটি জেসমিনের সব লাগেজ নিয়ে একদৌড়ে ট্রেনে উঠে সিটের নীচে ঢুকিয়ে হাসি মুখে বলে, ‘ব্যস, আপা বসে পড়–ন’। জেসমিন বসতেই, ‘আমি আসছি একটু’, বলে ট্রেন থেকে নেমে যায়। কোন কিছু বোঝার আগেই একটা বড় জলের বোতল নিয়ে ফিরে আসে।
......‘আরে আরে, আমার কাছে জল আছে তো। আচ্ছা, এটার টাকা...’। কোন উত্তর না দিয়ে ছেলেটি প্ল্যাটফর্মে নেমে যায়। জেসমিনের মুখোমুখি জানালার রড ধরে দাঁড়ায়। সারা মুখে বিষন্নতার ছাপ, চোখ ছলছল করছে,
......‘আপা, আপনি খুব ভাল। আবার এসো, আমাকে এখানেই সবসময় পাবে’।
জেসমিন হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। অনেক না বলা কথা ফুটে উঠছে ছেলেটির চাহনিতে। বিশ্বাস! ভালবাসা! এমন সময় হঠাৎ ট্রেন দুলে ওঠে। চলা শুরু হতেই জেসমিনের মনে এলো, আরে ওর নামটাই তো জানা হয় নি।
......‘তোমার নামটা?’। ট্রেন তখন অনেকটাই গতি নিয়ে ফেলেছে। তাও শুনতে পেলো,
......‘র-হ-ম-ত প্রামা-নিক’।
রহমত! রহমত! এ এক অদ্ভুত অনুভুতি! যা জেসমিনকে স্তব্ধ করে দিল। মনে মনে বললো, ‘ভাল থাকিস ভাই। দেখা হবে। আমি আবার আসবো’।
ট্রেনের গতির সঙ্গে জোরে হাওয়া লাগতে লাগলো গায়ে। জেসমিন অনেকক্ষন একদৃষ্টে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকলো। রহমতের মায়াবী মুখটা বার বার ভেসে উঠছে। হঠাৎ ওর মনে এলো, আচ্ছা, রহমত-রাও তো কুড়িগ্রাম থেকে এসেছিল। এখন রাজনীতি নিয়ে যা চলছে......এতদিন এই দেশে থাকার পরেও যদি ওদের ঘরছাড়া হতে হয়, ডিটেনসন ক্যাম্প! রক্তপাতহীন নিঃশব্দ অঙ্গচ্ছেদের যন্ত্রনার মতো জেসমিনের মন ফাফিয়ে কেঁদে উঠলো..... না, না, এ হতে পারে না, অসম্ভব। আল্লাহ এতো নিষ্ঠুর নয়। তারপর চোখ বন্ধ করে একমনে প্রার্থনা করে যেতে লাগলো, ‘রহমতের যেন কিছু না হয় আল্লাহ, কিছু না হয়, ওকে খুব, খুউব ভাল রেখো’।