চন্দ্রিমা
কুয়াশায় মুড়ানো চাঁদ শিশির ফেলো নক্ষত্রের ওপর-
দূর্বাঘাসের গালিচায় জলজ কুয়াশায় ফেলো নিভু নিভু নরম আলো;
জোছনারঙের দুইফালি কুমারী চন্দ্রিমা
আজ
শিশিরের গড়িয়ে পড়া দৃশ্যে হোক প্রেমের জলসা।
ঝিম ধরা এই রাত্রি শেষে ভোরে ফুটুক
শিশির ভেজা কুসুম;
কুসুমের জল পতন বড়ো সুন্দর-
ও দুধরঙের চাঁদ! তুমি তোমার রূপে সুন্দর।
জলজোছনার গান
তোমার গহিনে ফকফকা আলো শরতের উঠোনে যেন চিরায়ত শাদা কাশফুল-
সমুদ্রের উত্তুঙ্গ ঊর্মির ফেনায়িত জলোচ্ছ্বাস
খেলে যাচ্ছে জলজোছনায়-
একটা মার্জারী হামাগুড়ি দিচ্ছে দুধের বাটিতে;
দুধেল চাঁদ যেন আরও হেসে উঠছে এমন ঘনীভূত আলোর গানে।
চাঁদের মহিমায় নিজস্ব আলো নেই:
চাঁদের আছে জলজোছনার গান-
তোমার সলাজ চাঁদের বদনে যেন আনে কোলাজ-
কী অপূর্ব তুমি- তুমি ও চাঁদ যেন পাতানো সই!
অলিভের ছায়া
তুমি এমন
যেন
চাঁদ সূর্যের দূরত্ব রেখা-
সন্ধ্যা ঘনালো সূর্যের কিরণ লুপ্ত করে-
গরম সূর্যটি রেখেছে চাঁদের দূরত্ব;
তুমিও তাই!
ডুমুরের ছোট ছোট ছায়ায় যে গোল দৃশ্য
সে ছায়াদৃশ্য তোমার বুকজুড়ে-
মসজিদে
মন্দিরে
প্যাগোডায়
গির্জায়
হলো ধর্ম আর কর্মের উৎসব-
তখন তুমি জপছ আমার নামে ইশক;
যেন দ্বিপাক্ষিক কোনো
চুক্তিতে তুমি আমায় প্রেমের ঘরে
দাঁড় করিয়ে দিলে-
বলো,
প্রেম কেন মানে ধর্মের মিথ?
মসজিদে আজান হলো-
মন্দিরে হরি জপ-
প্যাগোডায় বুদ্ধের নাম-
গির্জায় যীশুর নাম-
সব নামের পর; প্রার্থনায় প্রেমই আগে আসে!
বলো তুমি কোন্ প্রেমে বেছে নেবে আমায়?
প্রেমের মাহফিলে আমি বাংলার চিরায়ত
সবুজ মেখেছি প্রেমের অবগাহনে-
আমায় আপন করে রেখো তুমি:
অলিভের ছায়ায়।