বিজয় হলো একটি জাতির সর্বোচ্চ অসাম্প্রদায়িক রূপ
সাদিক আল আমিন
বিজয় হলো একটি জাতির সর্বোচ্চ অসাম্প্রদায়িক রূপ। যেখানে ধর্মনিরপেক্ষ কিছু সংস্কৃতিকথা, উচ্ছল মানবিকতা ও ব্রতপালন ফুটে ওঠে। যেই নয় মাস ব্যাপী ক্ষতবুক জখম নিয়ে বিজয় আমাদের বুকে স্থান পেয়েছে, তা নিয়েই দীর্ঘবছর ধরে বেঁচে আছে বাঙালী। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি এক গুরুদায়িত্ব বহন করে এ বিষয়। সাহিত্যে এর প্রকাশ প্রকারান্তরে সম্পূর্ণই বলে মনে করি। কেননা একটি জাতির মনস্তাত্ত্বিক বৈচিত্র্যতা ও অনন্য রুপময়তা কেবল নিজের ভাষাতেই বোধগম্য এবং ভাব প্রকাশে সমর্থ ভাষাতেই ফুটে ওঠে ভিন্নধর্মী সংস্কৃতির রুপলাবণ্য ও ব্যঞ্জনা।
‘৭১ এর সুস্মৃতির সাথে একজন বাঙালী খুঁজে পায় বৈষম্যহীন এক জাতির খোঁজ। সে নিজেকে বাঙালী ভেবে গর্ববোধ করে। ১৬ই ডিসেম্বরের বৃহস্পতিবার যেন মনে করিয়ে দেয় গুরুতর প্রতিশোধ-পরায়ণতা-পরবর্তী এক সুখকর বিলাসী সৌন্দর্যের; ফিরিয়ে দেয় জাগতিক সমূহ সুখের উৎস, যার মাঝেই নিহিত থাকে হাজার হাজার বিজয়, যার স্রষ্টা লক্ষ কোটি বাঙালী।
লালরঙা চোখ
উপচে পড়া রক্ত থেকে হারিয়ে গেছে চোখ
ব্যস্তদিনের স্বপ্নগাঁথা পাখির মতো উড়ে যাও লীন
নির্জীব দেহে এঁকে ফেলো পতাকার চেনা রঙ
লাল কিংবা সবুজ- পিঞ্জরবদ্ধ প্রভাতে স্নানীয়
পটভূমিকা তার সমুজ্জ্বল খেলা দেখায়...
বিচিত্র জাদুর তুলিতে এঁকেছো বিজয় তুমি
হে মহা মনোহর সৈনিক...
মঞ্চস্থপূর্ব সফল নাটকের অভিনেতা সেজে
সমূহ কাহিনীর বুকে লেপেছো বিজয়-আস্তরণ
‘৭১ এর আকাশে, পাখিদের মিছিলে উড়িয়েছো
রঙিন পতাকার হৃদয়, যেখানে একদিন রক্ত ছিল
লাল বৃত্তাকার; হে মহা মনোহর সৈনিক-
নয়মাস পর এক শকুন খুঁজে পায় তোমার
স্বপ্নিল, যুদ্ধক্লান্ত হারিয়ে যাওয়া সেই লাল-চোখ
মানচিত্র
আসন্ন মজলিশ চত্তরে উল্টোমুখী দুঃখের কারাগান
গাইতে থাকে ক্ষতবুক জখমিত এক নিরীহ বাঙাল
অপেশাদার যোদ্ধার ঘামে আঁকা আছে যাদের নাম
যারা কর্তব্যরত আছে এই দীর্ঘ সময় ধরে- তারা
সময় বুঝে বানিয়ে ফেলে এক দৃশ্যমান স্মৃতিনাম
‘মানচিত্র'; আছে সেই সময় থেকেই- প্রতিবাদী শরীরে