সমস্ত যুগের সম্মাননা
এমরান হাসান
সত্য বলতে চাই আজ
নির্জলা সত্য।
যারা আমায় সত্য বলা শিখিয়েছেন
সময়ের নিয়মে তাদের আবিষ্কার করেছি
বোবা ও বধির তন্দ্রাচ্ছন্ন ব্যর্থ দাবাড়– রূপে
সামন্তবাদী সৈন্যের দোলাচালে শেষ সায়াহ্নে
ঘোড়া-চালের আড়াই ঘর তারা দিব্যি ভুল মেরে বসে আছেন
রোদের তেজ বাড়তে থাকলে এসব
আবিষ্কৃত হতে থাকে।
চোখের সামনে নাচতে থাকে
পিথাগোরাস, নগ্ন আর্কিমিডিস কিংবা
সময়ের প্রয়োজনে বীতশ্রদ্ধ ভ্যানগগ।
সত্যি সত্য কিছু নেই।
যা আছে নদীজল আর স্বচ্ছ হাওয়ার
বিটকেলে বেতাল নৃত্যে উধাও হওয়া
সেই সমস্ত আশ্চর্যকথা।
লিখে আর লাভ কি?
উল্টোরথের বয়ানে সমগ্র অসত্য জেনেছে
পাথর প্লাবণ!
সত্যি সত্য বলতে নেই আজ
এসব মুছে দিয়ে নামতা শিখি সাম্প্রদায়ীকতার
নিজেকে মুদ্রিত করি পরম পামররূপে
পাড়া গায়ের মুর্খ মাতাল জানে
পুস্তকে ধরেছে জলজ্যান্ত অধিবিদ্যের পোকা!!
দীর্ঘশ্বাস
নাসিমা হক মুক্তা
কতদিন দেখি না
তোমার জলভরা বিস্ময়
জ্যোৎস্নারাত্রির অবকাশে নিবিড় মায়ায়
কতদিন হাসে না
তোমার চারুশিল্পময় চোখ !
এই দুরুত্বের কাব্যটি
কার বুকে দীর্ঘশ্বাস ফেলে?
আমি নির্জন নদীর স্রোতে ভেসে
খুঁজেছি কাকে জানি না
শত শত পা-ুলিপি, লেখা হচ্ছে তার বিষন্নতায়।
সময়
সাদিয়া রাকা
সময়
বড়’ই বেয়াড়া প্রবাহ,
সময়
এক নিষ্ঠুর দাবদাহ।
সময়
এক তুষার ঢাকা পাহাড়,
সময়
এক অনাহারীর আহার।
সময়
এক অদৃশ্য যাতাকল,
সময়
এক অত্যাচারিতের বল।
সময়
এক রঙিন ঘুড়ি,
সময়
এক কংকালসার বুড়ি।
সময়
এক কংক্রিটের দেয়ালে কাটা আঁচড়,
সময়
এক অত্যাচারীর গালে মারা চড়।
সময়
একটি সাদা কাপড়ে লাগা কালি,
সময়
সেতো ভয়ংকর চোরা বালি!