বৃষ্টিগুচ্ছ
অসীম মালিক
মনকেমনের নদী
মনকেমনের বৃষ্টি শুরু,
ইচ্ছেকুঁড়ি ফোটে।
আজীবনের দায় লিখেছি
বৃষ্টি ভেজা ঠোঁটে।
মনকেমনের বর্ষা দিনে
ইলসেগুঁড়ি ঝরে।
জলনুপুরের শব্দ শুনে
তোমায় মনে পড়ে।
মনকেমনের জলছবিতে
উছলে ওঠে মন।
জানলা খুলে চেয়ে দেখি
ভেজে পলাশ বন।
মনকেমনের আষাঢ় মাসে
বৃষ্টি হতাম যদি।
তোমার চোখেও চাঁদ ভাসাত
আমার চোখের নদী।
তানপুরা
রোদে পুড়ে
জলে ভিজে
সীমানা ভুলেছি।
চোখে-চোখ
হাতে-হাত
জানলা খুলেছি।
দূরে মানে
দূর নয়।
রোদ ছায়া ঘর,
জল মাটি
মাখামাখি
কেউ নয় পর।
ভেজা স্মৃতি,
বেলি ফুলে।
বকুল মনের দ্বারে।
মেঘে বাঁধা
তানপুরা
কোনো দিন হারে !
তার নেই দেখা
আষাঢ়ের ঘনঘটা,
মন উচাটন।
ভাঙা সাইকেল, ফুটো ছাতা
মন করে টনটন।
রিমঝিম বারিধারা,
গুরু গুরু মেঘ।
শেডের ছায়ায় প্রেমিক-প্রেমিকা
অসীম আবেগ।
জল পড়ে মনে,
মন ভেজে একা একা।
ল্যাম্পপোষ্টে ভিজছে শালিক
শুধু তার নেই দেখা।
তুমি মেঘ হলে
তুমি মেঘ হলে
আকাশের কোলে।
একা একা ভেসে যাই
আষাঢ়ের জলে।
মেঘ মাটি যা যা বলে,
চোখে সব ফলে।
দু’টি চোখ এক হলে
কত তারা জ্বলে।
বর্ষায় বেড়ে ওঠা,
সবুজের সমারোহ।
দু’টি বুকে পাতা ঝরে
ফাল্গুনে অহোরহ।