এই সময়
মাজরুল ইসলাম
নোনা জলের বিশাল ঢেউ, ঢেউয়ের তীব্র ¯্রােত
ঢেউয়ের ফেনা খেতে খেতে
এক এক করে সব তারা ঝরে পড়ছে
ইতিহাসের কৃষ্ণগহ্বরে।
তোমার দিশাহীন পথচলায় বহুমাত্রিক দ্যোতনা বারে বারে
বাঙ্ময় হয়ে উঠলে
দুর্ভিক্ষের ছায়া দীর্ঘ হয়।
দেশনায়কের নোনা জলের প্রেম,
লোকসাধারণের মন ভুলানো কথায় শুরু হয়ছে
নোংরা দেশপ্রেম।
এমনটা হবে কে আর ভেবেছিলথ-
ওই লোকটা এখন উপোসি
যে নিজের ভোগ বিলাস ত্যাগ করে
অন্যকে পুষ্ট করেছে।
এখন পুষ্টি ভান্ডার শেষ হওয়ায়
অপুষ্টি অতি নিকটে !
চিন্তা করো না
দিশাহীন পথচলা শেষ
এখন তোমার ফেনাবিদ্যা দেখে সময় হাসাহাসি করছে।
ডুবজাল
বনশ্রী বড়ুয়া
পাতা ঝরা বিকেল
সোনামুখি সূর্যের বিদায়
বিষাদ নদী গোমড়া হয়ে
ফিরে যায় পাহাড়ের কোলে।
এক থালা জোনাকি
জীবনের পরতে ছড়ায় মুক্তো
থেমে যেতে যেতে
কাঁচা ভোর মাখে শিউলির গন্ধ।
ফের নদী বয়ে চলে
সোনালী মাছের মায়া সংসার
নুন তেলে পোড়া
স্বাদ নেয় অভিশপ্ত জীবন।
দূরে যেয়ো না
গোলাম রববানী
দূরে যেয়ো না
অতো দূরে যেতে নেই, যেতে নেই
যতো দূরে গেলে নয়ন ক্ষয়ে যাই ও-কি সহা যাই
বলো হৃদয়ের দাগ কী আদৌও মুছে যাই
ততো দূরে যেতে নেই
কভু তো মানাও নেই
কাছে এসো না
পাশে থেকো না
ভুল পথে ভুল বুঝে আরো দূরে যেয়ো নাকো
মনের কাছে মনের প্রশ্ন করে দেখো আরো
ভুল বুঝে যেতে নেই,
ভুলে আসতেও তো মানা নেই
দ্যাখো পথ থেমে নেই,
পথ থেমে নেই, নেই নেই
পথের মাঝে দ্যাখো কতো ভালোবাসা লুকিয়ে
আকাশের দিকে তাকাতে তো মানা নেই, হৃদয়ে
দূরে যেয়ো না কাছে এসো না পাশে থেকো না
অতো দূরে যেতে নেই দিতে নেই হৃদয়ে ব্যথা
মানচিত্র
আহমাদ সোলায়মান
ঘুম ঘুমানো রাতে জ্বলন্ত আমার দিয়ে ফিরে তাঁকায়নি কেউ
তুমি তো নিজেকে চাঁদের থেকেও সুন্দর ভেবেছ!
হৃদয়ে যে চাওয়া ছিল, আজ তা অক-৪৭এর আঘাতে বিক্ষত-
জীবন শুধু অশ্লীল মিথ্যা পেতেই ব্যস্ত
আকাশের হৃদয়ে আর ফোটেনা হাসি।
মধ্যরাতের নামে যে অন্ধকার আছে
তাকে তুমি কাজল সাজিয়ে চোখে লাগাও
আর, আমি তা দেখে হই নেশাগ্রস্থ
অথচ, এ অন্ধকার প্রতিনিয়ত আমাকে খুন করে।
একটি রোগ ছিল, ভেবেছিলাম দু’জনে রোগী হবো
তুমি ছিলে চতুর, তুমি চোখের পাপড়ি ডুবিয়ে সমুদ্রে যাও;
বলো, ওখানে একটা মানচিত্র আঁকা আছে
আমি দেখতে যাই, আগুনে হারাই,
মিথ্যের জলের মত ওখানে কোন মানচিত্র নেই।