জীবনানন্দ দাশ কি ফেসবুক চালাতেন !
ইলিয়াস বাবর
আচ্ছা, জীবনানন্দ দাশ বুদ্ধদেব বসু প্রমুখদের দেখলে নিজেকে লুকিয়ে রাখার প্রয়াস চালাতেন কেন? তিনি নিজেও তো জানতেন, বুদ্ধদেব তার অকৃত্রিম সুহৃদ, মহান সতীর্থ। তবে কি জীবনবাবু বুদ্ধদেবের হৃদয়-দোলন বুঝতেন না? যারা হালকার উপর ঝাপসা খবর রাখেন সাহিত্যের, তারাও এটা মানতে চাইবে না। কেননা, ভালো আপনি বাসেন গোপনেÑ তা সময়ের প্রেক্ষিতে উন্মুক্ত হয়ে যায়-ই! বুদ্ধদেবের জীবনানন্দের প্রতি প্রেম, তাকে প্রকাশ্যে আনবার অকৃত্রিম চেষ্টা আজকের স্বার্থবাদী সময়ের জন্য উজ্জ্বল উদাহরণ। সে যাক, যে মানুষটি ভীষণ রকম লাজুক, অর্ন্তমুখীÑ তিনি আজকের দিনে পৃথিবীতে থাকলে, আমাদের বৃদ্ধপ্রায় (জীবন্মৃতÑ যারা অতীতের রেকর্ড আর কবিতাকৃতিকে সম্বল করেই মুখ দেখান বিভিন্ন পর্দায়) কবিদের মতো ফেসবুক ব্যবহার করতেন? কিংবা বয়সের তারুণ্য হেতু মজে থাকতেন ফেসবুকে? তিনি কি তার ওয়ালে নিজের কবিতা পোস্টাতেন নাকি বন্ধুস্বজনের (হতে পারে বিভিন্ন কাগজের সম্পাদক এবং রাজধানীকেন্দ্রিক কোন দৈনিকে সাহিত্যপাতা দেখেন) প্রকাশিত কবিতাও বাজারি ভাষায় উপস্থাপন করতেন এমন সামাজিক মাধ্যমে? অথবা ট্যাগের বিষয়টা তিনি ঠিকঠাক বুঝতেন? না, প্রশ্নের বানে ক্লান্ত করার শখ আমার মোটেই নেই, তবে? হালের উৎসাহী, বিশেষ করে খ্যাতিলিপ্সু তরুণ কবিদের (ক্ষেত্র বিশেষে বয়স্কজন) ফেসবুকে কবিতা পোস্ট, তাতে লাইক-কমেন্ট আদায় করে নেয়ার কায়দা, ব্যাপারটুকু বেশ দৃষ্টিকটুই মনে হয়। কবিতায় ফেসবুকীয় হক আদায় না করায় বন্ধুতালিকা ছাঁটাই, ইঙ্গিতবাহি পোস্ট প্রদান বা ব্লক করা ইত্যাদিতে আমরা রীতিমতো অভ্যস্থ। কবি জীবনানন্দ দাশ কি এসবে মেতে থাকতেন? তার যা স্বভাব, পারতেন বলে মালুম হয় না। ফেসবুকীয় অত্যাচারের আরো রকমফের আছে। কবিতা কোন মাধ্যমে (হোক কাগজ বা অনলাইনে) প্রকাশিত হলে তা পোস্টানোর পর বন্ধুতালিকায় থাকা কবিদের মেনসন করা হবেÑ অতঃপর বাধ্য হয়েই তারা মহান হযরতের প্রকাশিত কবিতায় নজর দিতে বাধ্য হবেন। মজার বিষয়, কমেন্ট না করে যাওয়ার উপায় নেই, ইনবক্সে এসে অনুনয় করবেই। বুঝেন ঠেলা, এমনতর মধুর অত্যাচারের। বুদ্ধদেব বসু হয়তো জীবন বাবুরে জিজ্ঞেস করবেনÑ বাবু, অমুক কবিতাটার গতর সাধু-চলিত ভাষায় মিশ্রিত কেন? শরমিন্দা মানুষÑ হোক না কবি, তাই মুখ লুকায় জীবনবাবু। কিন্তু ফেসবুকের যুগে জীবনানন্দ কোন দিকে যেতেন? বাহ, দারুন, সেইরামÑ এমন সব মন্তব্যে নিজেকে সামিল করতেন? নাকি স্যাডো ইমু দিয়ে বেদনার কথা জানাতেন? সে যাকÑ কবিতার বারোটা সম্ভবত এভাবেই করছি আমরাÑ ফেসবুকের কবিতাকর্মীরা। কে কয়টা লাইক-কমেন্ট পেল তাতেই যদি কবিতার মানদন্ড নির্ধারণ হয় তবে তার দরকার নেই কবিতা নামের উচ্চমার্গীয় শিল্পমাধ্যমে থাকা। সরাসরি স্টার হবার অনেক পথ খোলা আছেÑ গান-অভিনয়-আরো আরো। সুন্দর একটা ছবিতে বেশি লাইকের মানে নিশ্চয়ই এমন নয় তার স্থান একটি শিল্পসম্মত কবিতার অধিক। হঠাৎ বাহবা পায় কবিরাজ-সরকারেরা, কবিতার শ্রমিকেরা নয়। স্বভাবকবির যুগ ইতিহাসে আছে; গোঁড়ামি আর সম্প্রদায়ের গোলামি যারা করে তাদের গন্তব্যও আস্তাকুঁড়ে সুতারাং কবি হয়ে উঠেন সর্বসাম্প্রতিক প্রতিভূ। তাকে আয়ত্বে রাখতে হয় ভূগোল-ইতিহাস-অর্থনীতি-বিজ্ঞান-দর্শন ও অপরাপর বিষয়াশয়েও। হাজার বার গদ্যকবিতার কথা বলবো কিন্তু ছন্দজ্ঞান না জেনে যে এঁকে যেতে চায় কবিতার মুখÑ সে মূর্খ্য। প্রযুক্তির ক্রমাগত ধেঁয়ে চলা সময়ে, পেনড্রাইভ জেনারেশনের সময়ে আর যাই হোক মূর্খ্যতা আর গোয়ার্তুমির স্থান নেই। ঝোলা কাঁধে হেঁটে যায় কবিÑ এমন বাক্য বিরল। কেননা এখনকার কবিরা স্মার্ট। কবিরা আধুনিক একইসাথে সচেতন ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। যার আত্মসম্মান থাকে না সে মানুষ হয় কীভাবে? যে লেখক নিজের লেখার দায় নিতে পারে না, ভোগেন গোষ্ঠীর তাবেদারিতে তাকে দিয়ে শিরদাড়া ঋজু রাখা সম্ভব? সে তো কেবল গুরুর কথাতেই সমর্থন দেয় অন্ধভাবে, বিশ্রুত হন সমসাময়িক সাহিত্যের ধারা থেকে। আজ এখানে কাল ওখানে লম্ফ দিয়ে কার উপকার হয়েছে কোনদিন? শিল্পের জায়গা অহমের জায়গাÑ কিন্তু কবিকে জেনে রাখতে হয় তার পরে শুরু করা তরুণটি শ্রম-সাধনায় তাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে, সূচিপত্রে তার নাম থাকতে পারে অগ্রজেরও আগে! তবে অগ্রজের অর্জনকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়ার পক্ষাপাতী কেউ কখনো থাকেনি, এখনো না। কিন্তু তর্জন করা অগ্রজদের বোঝা প্রয়োজন, তাকে বড় করে তুলতে হলে অনুজকে পাঠক বানাতে হবে, আজ্ঞাবহ নয়। যেমনি জীবনবাবুকে আবিষ্কার করতে দিনমান লেগে থাকেন একজন মান্নান সৈয়দ।
শুদ্ধ মানুষ না হলে, চেতনার জায়গায় নিজেকে বিকশিত আর যাচাই করে নিতে না পারলে কবি হওয়া যায় নাÑ অন্তত এ যুগে। কবি সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সত্ত্বা। সে কারো পিতা, কারো স্বামী, কারো স্ত্রী, কারো ভাই, কারো মা, কারো প্রিয়তমÑ ফলে নিরন্তর সমস্যা আর সম্ভাবনার ভেতরেও তাকে ঠিকিয়ে রাখতে হয় সামাজিক সম্পর্ক, শৃংখলা। অপরিচ্ছন্ন মন দিয়ে শিল্প হয় না, কবিতা হয় না। ক্ষুধার ভেতর, তৃঞ্চার ভেতর, আনন্দ-বেদনার ভেতর, সমাজ-সংসার, চাকরি-ব্যবসার ভেতর থেকেই তাকে খুঁজে নিতে হয় সঠিক মুহূর্তটি। নিজেকে শত কাজের ভেতরে রেখেও অর্ন্তগত সংগ্রাম চলমান রাখতে হয় শব্দের খোঁজে, উপমার খোঁজে; একটি দারুন কবিতা নির্মাণের পেছনে যে শ্রম, যে সাধনাÑ তা-ই শেষপর্যন্ত একজন কবিকে আলাদা করে আর দশজন পার্থিব মানুষের সাথে, এমনকি স্বকালের কবিতাকর্মীদের সাথে। কবির সাথে এখানেই সাধারনের পার্থক্য; চিন্তার অগ্রগামিতা, ভাবনার শৃংখলা মূলত এ ক্ষেত্রেই। বেফাঁস কথাবার্তা, অসংলগ্ন আচরণ, সময়-কান্ডজ্ঞানহীনতা উন্মাদের উপসর্গ, কবি কেন তার দায় নেবে? তবে সত্য এই, কিছু অশিক্ষিত, কিছু মূর্খ্য এমনতর আচরনে নিজেদের ব্যস্ত রাখে; আফসোস, তারা নিজেদের দাবী করে কবি। হতে পারে কৌশলও! শোনা যায় বলিউডে কোন ফিল্ম মুক্তি দেয়ার আগে স্বেচ্ছায় বির্তকের সূত্রপাত করেন ফিল্মে যুক্ত মানুষেরাই... বাজার ধরার আশায়, আলোচনায় থাকার আশায়। কবিতাকে কি বাজারের আর দশটা পণ্যের সাথে মিলিয়ে ফেলবো? গোড়ামূর্খের মতো আবোল-তাবোল খিস্তিতে মাতিয়ে তুলবো ফেসবুকের দেয়াল! এমন স্বঘোষিত কবিসংঘে কবি জীবনানন্দ দাশ কি ফেসবুক চালাতে পারতেন?
বিশ্লেষণ আর যুক্তিতে কারো সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা করা নিশ্চয়ই অপরাধ নয়। এমনটা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ করেছেন, নজরুল নিয়ে হয়েছে। জীবদ্দশায় জীবনবাবুকে তেমন তো পাত্তাই দেয়নি অনেকে। এর অর্থ এই নয়Ñ বেয়াদবি করবো! প্রশ্ন আসুক, বিশ্লেষণ আসুক নতুন ভাবে, যোগ হোক নতুনতর ভাবনাÑ এটা না হলে কি প্রবাহমান সাহিত্য-নদীটা গতিবান থাকে? তাই বলে ফেসবুকে নাম ধরে, ক্ষেত্রবিশেষে ব্যক্তিগত আক্রোশে অগ্রজ কবিকে তুলাধুনা করবার অধিকার কেউ দেয়নি কোন অনুজকে। কথা হোক কবিতার শরীর নিয়ে, কথা হোক নতুন ফর্ম নিয়ে, কথা হোক ভাংচুর নিয়ে। নয়া ধারণা আমদানী না হলে কে গাইবে নতুন গান? নতুনকে প্রেষণা দেয়ার কাজ রবীন্দ্রনাথ করেছেন, যদ্দুর জানি এখনকার অনেক লেখক-সম্পাদক-অগ্রজই আছেন কবিকণ্ঠে কিশোরমাখা আবেগে তারুণ্যের সৌন্দর্য দিতে, পরিণতির অলংকার পরাতে। তা কে বোঝাবে ফেসবুকে সাহিত্যপেইজ খুলে রাখা ভুল বানানের এডমিনকে, বারবার মেনশন করা যশোপ্রার্থীকে? সাপ্তাহিক ক্রেস্ট, সনদ দিয়ে কবি বানানো যায় না বন্ধু। দরকার চর্চা আর পাঠচক্র। আড্ডা আর আলোচনা।
এতকাল পরে এসেও জীবনবাবু তুমুল পঠিত কেন? তার কালের প্রতাপশালী অনেকেই এখন মৃতÑ এ দিকটা আমাদের প্রস্তুতিতে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। শুধু আলোচনায় থাকার জন্যে ফেসবুকে জঘন্য পোস্ট দেয়া, অসংলগ্ন মন্তব্য করে যদি কবি হওয়া যায়, কবির স্বীকৃতি আদায় করা যায়, তবে জীবনবাবু নয় বরং মোহিতলাল মজুমদারই থাকতো আমাদের প্রতিদিনের আরাধ্য। যার পা-িত্য অকাজের দোকানদারিতে ব্যস্ত রাখে তাকে পতনের হাত থেকে কে বাঁচাবে তবে? যেকোন প্রযুক্তিই ব্যবহারের দুটো দিক থাকে। তা একান্তই ব্যবহারকারীর উপর নির্ভর করে। তবে সুবিধাভোগী যখন কবি, তখন তার দ্বারা রাজনীতির পোস্টারে মুখ দেখানো, তাও ফেসবুক পোস্টে চাউর করা হয় তবে তার রুচি নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। কারন, যিনি লিখেন সেখানেও থাকে তার রাজনীতির প্রচ্ছন্ন ছাপ, বিশ^াসের রাশটা সে কিছুতেই চাপা রাখতে পারে না। তাছাড়া জগতের অন্যান্য লাভবান কৌশল জানে না বলেই তো কেউ একজন কবিতায় আসে! নিজেরে নিয়ে মেতে থাকার আর প্রচারের নানা মাধ্যম অবিরল নয় বরং সহজলভ্য, ফলে ফেসবুকে কবিতা নিয়ে রাজনীতি আর কবিতাকেন্দ্রিক ব্যাপারগুলো হয়তো খুব খেলো হয়ে যায় আর অলক্ষ্যেই উন্মুক্ত করে দেয় নিজেদের ভিখিরী রূপ।
টীকা দিয়ে, আল মাহমুদীয় ঢঙে কাঁচা বানানে লোকজ শব্দের নামে অস্পষ্ট আঞ্চলিক টোনে থাকলেই আলাদা হয় না কেউ। দরকার চিন্তার স্বাতন্ত্র্যবোধ। এজন্য পূর্বাপর কবিতারাজ্যে একটু পর্যটন করে আসা সচেতনদের অবশ্য কর্ম। কিন্তু দেখে দেখে মুখচিনা সম্পাদকদের কিংবা কবিতার বড়ভাইদের নিয়ে নির্লজ্জ্বভাবে দলালী করা, ইনবক্সে খাতির করা, ছবি তুলে পোস্ট দেয়ার অবিরাম কাজের চেয়ে একটা ছোটকাগজ পড়া বা ভিন্নতর ভাষার কোন কবির বা দেশেরই প্রত্যন্ত অঞ্চলের হোক খ্যাত কিংবা অখ্যাতদের কবিতা পড়া অথবা কবিতাভাবনার সাথে নিজের অভিজ্ঞতাটুকু গোপনে শেয়ার করা অনেক বেশি জরুরী বলে মনে হয়। সে কথা বলবে কে? অনেক ক্ষেত্রেই অগ্রজেরা অনুজদের ব্যবহার করা, স্তাবক বানিয়ে রাখার মতো সময়ে কে তবে এসব বলতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনবে? অকবিদের নিয়ে কিংবা মুখসুন্দরী বে-গুণী রমনীদের খাতির-জেরে টিভির আলোচক করে তো আমাদেরই জেলা শহরের খ্যাতিমান কবিরা! সুন্দর চেহারাই যদি সাহিত্যের কিংবা আলোচক হবার মানদন্ড হয়ে থাকে তো বুঝুন ঠেলা! সেই তথাকথিত গবেষকদের ছবি আবার আপলোড দিয়ে কিছু লাইক আর কমেন্ট না কামালে কি চলে? একজন কবি কখনোই ফেসবুকের মতো মাধ্যমে বলতে পারেন না, এবার কি আমার বই করা উচিত? সে প্রশ্ন বরং গোপনীয়Ñ তারই একান্ত পাঠক কি জানাশোনা অগ্রজের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করলেই পারেন। সৃজনশীল কাজ প্রথমত নিজের জন্যে, তাই কি করা উচিত, কেন করবো, কোন মাধ্যমে করবো, তা প্রথমত নিজের কাছেই প্রশ্ন রাখা দরকার। হঠাৎ মতামতের উপর, কিছুটা লাভ ইমোর ভেতরই যদি কবিতা হারিয়ে যায়, তো আঁধারের দিকে পা দেয়া। আশার কথা, এরপরেও দেশে এখনো আছে রুচিশীল আর ব্যক্তিত্ববান কবি। এসবের ভেতর দিয়েই দাঁড়িয়ে যায় একজন প্রকৃত ভাবুক, একজন শব্দপ্রেমিক, একজন কবি। কবিতা যদি সত্যিকার অর্থেই হয়ে উঠে, ফেসবুকে মেনশনের দরকার পড়ে না, প্রয়োজন থাকে না ইনবক্সে গিয়ে মন্তব্য করার দাওয়াত। কবিতার ঐতিহ্যিক ও ব্যাকরণিক স্বার্থ সম্পূর্ণ হলে অবশ্যই লোকে বলবে, পাঠক পড়বে, সমালোচক আলোচনা (আলোচনা মানে শুধু গুণগান করা নয় তা ভুলে যায় অনেক কবিই। নিজের সে সীমাবদ্ধতাকে ফলাও করে দেখাতে যায় ফেসবুকেÑ তাতে সাহিত্যের কী লাভ জানা নেই আমাদের, নিজেকে ইতিবাচক বোঝাতেই হয়তো এ পলিসি। তা করতেই পারে তার স্বাধীনতার কল্যাণে। কিন্তু ইউটার্ন ঘুরে নিজেকে পবিত্র কিংবা শয়তান বানানোর এ খেলা আজকাল বেশ জমছেও ফেসবুকে।) এতসব দেখাদেখি আর ধাপ্পাবাজির ভেতরেই আমাদের বসবাস। সাহিত্যের উত্তরাধিকারে যোগ হওয়া নতুন সদস্যটি হয়তো এ কারণেই পুণরায় পিছিয়ে দেয় সামনে দেয়া পা-জোড়া। অথবা নিজের ভেতরেই ধারণ করতে চায় এসব কায়দা। মন্দ কীÑ ‘নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?’ আমরা ভাসতে থাকি চলমান ¯্রােতে, সময়ের পুঁজে ভাসতে ভাসতে আমার পেছনে খালি ছুটতে থাকে প্রশ্নটিÑ জীবনানন্দ দাশ কি তবে ফেসবুকে একাউন্ট খুলতেন? তিনিও কি তবে বাহ, বেশ, সুন্দরÑ কমেন্টের জন্য কাউকে কাউকে অহেতুক মেনশনও করতেন?