পরলোকে চলে গেলেন বেলাল চৌধুরী



বেলাল চৌধুরীর দু’টি কবিতা

নারীটি যখন নদী হয়ে গেল

সে কি তার মৃত্যু দৃশ্যে
পেয়েছিল পরিপূর্ণতা, কে জানে!
না হলে ঠোঁটের কোণে চিলতে হাসিটি
কি করে ফুটিয়ে তুলেছিল ঐ বিভ্রম ; ---

নগ্ন পদযুগল যেন নীরবে কওয়াকয়ি করছিল
এসেছি ঢের দূর, আর নয়,
নদীটি বহে যাচ্ছিল আপন মনে
এঁকে বেঁকে হেলায় ফেলায় . . .
ভরা জোয়ারের টানে গেল ভেসে
জ্যোত্স্না উদ্ভাসিত চরাচরকে আঁধারে ডুবিয়ে।



সেই সুখ

প্রতি মুহূর্তে বদলায় জীবন
পৃথিবী অনুভব করে বিচিত্র অভিজ্ঞতা
পাখিরাও এ ডালে ও ডালে ঘুরে ঘুরে দেখে
কখনও আটকে যায় মাঝ মাঠে
শিকারি সঠিকভাবে চলতে বাধা পায়
বদলে যায় তার স্নায়ু হাতের আঙ্গুল
নিশানা মস্তিষ্কের হোঁচটও খায় কখনও।

কিন্তু কি আশ্চর্য একমুহূর্ত এলো এখানে
আমার জীবনে যা লিখা হয়ে গেল নিদ্বর্ধিায়
হৃদয়ের খাতায় রচিত হলো কাব্যগ্রন্থ অন্তরে
শরীরের ভাঁজে ভাঁজে অনুভূত হল স্পন্দন।

জানতে চাও সেটি কি এমন অভিনব
অনুভব! শুনে রাখ সুদর্শন সুদীর্ঘ অপেক্ষার সাম্পানে
চড়ে বিশ বছর পর তোমাকে যা দেখছি মনে হচ্ছে সেই সুখ
তুমি একটুও বদলাওনি পুরোপুরি আলোর মতন।
যেন আগেরই সেই সুখ।




শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট