নয়া কুঁড়েঘর
হাবিবাতুল উম্মে
হেটে যাচ্ছি আলপথে। চারপাশ সবুজ। জনমানব নেই। সুনসান। দূরে কোথাও শালিক চড়–য়েই ডাকাডাকি । হঠাৎ দুপুর রোদে পুড়তে ইচ্ছে হলো; ভেতরের নীলচে ধোয়াসাকে বের করে দিব । অস্থির হয়েছি বেশ । কতদিন গেল । কত রাত গেল । মাস গেল । বছর গেল । আমার আশা ফুরায় না। সময় আমার নিয়ে দারুণ খেলা খেলছে । কি চেয়েছি আ কি পেয়েছি । হিসেব করে দেখি । হিসেবের খাতা খুলে বসি । দুপুরের রোদে পোড়া বেদনার ঘুঘুর মত একা হয়ে গেছি । আশেপাশে মানুষেরা কেমন যেন হয়ে গেছে । তাদের প্রতি এক টুকরো বিশ্বাস জন্ম নিলে পরক্ষণেই ভেঙ্গে যায় । তারা বিশ্বাস রাখতে পারেনা নাকি আমি রাখতে পারিনা; সেটাও বোঝার মত বোধ খুঁজে পাইনা । সবুজের ভেতর নীল বেদনার পাখিরা হুড়মুড় করে ওঠে । আমি কতকাল এক চিলতে সুখের আশায় থাকব । সুখের আশায় ঘর বাধব । সুখ আমার কাছে সাত আসমানের তারার মত । তাকে দিনে রাতে খুজি । বাতাসে বাতাসে । গাছে গাছে । পাতায় পাতায় । আলোয় আলোয় । ছায়ায় ছায়ায় । মায়ায় মায়ায় । তবু সুখ আসেনা; সুখ কোথায় পাই । বেদনা ছাড়া সুখের দেখা নাই । কলসী ভেজা জলে নিজের মুখ দেখে মাঝে মাঝে কেঁদে উঠি । অগত্তা দুমড়ে মুচড়ে যায় বুকের ঘর । ভালো লাগে না তখন । নিজেকে বোঝাতে থাকি; বোঝাতে পারিনা । বুঝ মানে এই মন । হাহাকারে পড়ে থাকি । ঘুম নেই; ঘুম আসেনা। আমি আশা থাকি বেদনা ছেড়ে- বেদনায় বেদনায় আমি এক নয়া কুড়েঁঘর ।