শব্দমিছিল
মিসির হাছনাইন
ধানের গীত
উঠান জুড়ে ইরি ধানের ঢিবি। খড়ের পাহাড়ে ঘর বানায় দুষ্ট কিশোর-কিশোরী। মনে পড়ে, রাত জেগে গরুর ধান মাড়াই; ওগো, শৈশব দৌঁড়ায়... কোথায় হারায়?
হেমন্তের শীতে গেন্ধাফুল ফুটেছে কিছু, উঠানের পাশে। ফুলের গন্ধে ভুলে গেছি কত কত ভুল। ধান নিয়ে উড়ে যায় দুপুরের বুলবুল।
খালি বিলে নাড়ার আগুনে ধান সিদ্ধ করে গেরস্থের বউ-ঝি। রাত করে কৃষক বাজার থেকে ফেরে- চাদর গায়ে বিড়ি টানে, ধানের গন্ধ শুঁকে।
পুড়তে পুড়তে ধান, ভাত হয় কৃষাণীর উনুনে। কার পায়ের নূপুর বাজে, ধানের ভিতর ঢেউ! কৃষাণীর কষ্ট বুঝে বুঝে আড়ালে হাসে কেউ।
কৃষকের বেটা আমি ধানের গীত গাই,
শহরের সস্তা হোটেলে ভাত কিনে খাই!
কনকলতা
কনকলতা চারাটা দিন দিন বড় হইতেছে বুকেরু ভিতর। নষ্টে যাওয়া জীবনটা শীতের কুয়াশায় স্বচ্ছ পাতায় ভিজতে ভিজতে ভালোর দিক হাঁটতেছে... অনুভব করতেছি, চারাটা আস্তে আস্তে বুকের হৃদপি-টা জড়ায় ধরেছে যেমন করে দেয়াল জড়ায় ধরে পরগাছা লতা।
আমার কষ্টে নাকি কনকলতারও কষ্ট হয়, বুক কাঁপে, খারাপ লাগে, মন ভালো থাকেনা, ফুলও ফোটে না।
তবুও, এইসব শীতের কুয়াশায় কারো উঠানে যেন না ফোটে বেদনার বিষফুল।
প্রেম এবং মৃত্যু
পুরোটা দিন নষ্ট হয়
জীবন ভাবতে ভাবতে...
আমার মধ্যবিত্ত বাবা
ওপাশ থেকে বলেন-
বাবা আর কতদিন!
আমি বলি-
বাবা, মা কেমন আছেন?
ভিতরে ভিতরে কিসের এতো প্রেম
আমার যে মৃত্যু হয় প্রতিদিন।
ধানশালিক ইউটিউব চ্যানেল : সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকুন : https://www.youtube.com/watch?v=YO9D0KK6Jps