অনিঃশেষ অন্ধকার
আবুল কালাম আজাদ
[গত সংখ্যার পর]
৫.
নিলয় চলে যাবার পর, তার চোখে তারায় শুধুই নিলয়ের ছবি। কানে বাজে তার রসিকতাপূর্ণ কথাগুলো। শরীরময় তার স্পর্শ। তার চিন্তা-চিতনাকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে নিলয়। অস্তিত্ব জুড়ে শুধুই নিলয়।
একাকি মুহূর্তে সে নিলয়কে ভাবতে ভাবতে নিলয়ের কাছ থেকে নেয়া স্পেশাল ভিডিওগুলো দেখে। সেও তার ফাইলের নাম রেখেছে স্পেশাল ভিডিও। আর মাঝে মাঝেই তার শরীর ও মন তৃষ্ণার্ত হয়ে উঠে। মনে মনে ভাবে, নিলয় ভাই আবার কবে আসবে। ‘শরীর’ বিষয়টা তার ভাবনায় এমনভাবে ঢুকে গেল যে, সে এসব নিয়ে ক্লাশের মেয়েদের সাথে এমনকি কুলসুমের সাথেও কথা বলতে লাগল।
কুলসুম, তোকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
করেন, তয় লেখাপড়ার বিষয়ে কিছু জিজ্ঞাস কইরেন না। আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারুম না।
না না, লেখাপড়ার বিষয়ে তোকে জিজ্ঞেস করবো কেন?
তায়লে কী কথা আফা?
কোনো ছেলে কি কখনো তোর শরীর ছুঁয়েছে?
এইসব কি আলাপ আফা?
অসুবিধা কী ? আমরা দু’জনই তো মেয়ে। বাইরের কেউ তো আর শুনছে না।
এই সব কথা আবার আম্মার কানে গেলে আমারে বকবো। বলবো-আমিই আপনেরে নষ্ট করতেছি। গরিবের দোষ পায়ে পায়ে। দোষ করলেও দোষ, না করলেও দোষ।
কি বাজে কথা! মা জানবে কেমন করে? নে, তুই এই তিনশ’ টাকা রাখ। কিছু কিনে নিস।
আবার টাকা দিতাছেন ক্যান ?
কোনো সমস্যা নাই। রাখতো, আমার কাছে আছে তো তাই দিলাম। যা জানতে চাইলাম বল। মানে, এ ব্যাপারে আমার এখন কথা বলতে ইচ্ছে করছে। জানি না তো কিছু।
হ’ দিছে।
কে?
আগে যে বাসায় কাম করতাম সেই বাসার ভাইজান।
চুমু খেয়েছে?
হ।
বুকে হাত দিয়েছে ?
দিছে দিছে দিছে। এখন অন্য কথায় যান।
কিভাবে দিল ? বাসায় কেউ ছিল না?
না, ভাবী গেছিল বাচ্চারে স্কুল থিকা আনতে। ভাইজানের জ্বর ছিল, তাই সে অফিসে যায় নাই।
পুরোটা বল না, কেমন করে কি হল, খুব শুনতে ইচ্ছা করছে।
আফা, এইগুলা কি মানুষ শোনে?
আমার শুনতে ইচ্ছে করছে।
আইচ্ছা, শোনেন তায়লে-ভাইজান কইল মাথাটা টিপা দিতে। মাথা টিপা দিতেছিলাম। সে ধমক দিয়া কইল-অত দূরে থিকা মাথা টিপলে হয়? কাছে আইসা বইসা ভাল কইরা টিপ। কাছে গিয়া বসলাম। আমি তার মাথা টিপতাছি। একটু পর সে আস্তে আস্তে আর শরীলে হাত বুলাইতে লাগল। হাত বুলাইতে বুলাইতে.....। আর কইতে পারুম না। বুইঝা লন।
তুই বাধা দিসনি ?
প্রথমে একটু ভয় পাইছিলাম, পরে মাইনা নিছি। শরীল তো সবারই আছে। সুন্দর একটা মাইয়ার প্রতি পুরুষের যেমন ইচ্ছা হয়, সুন্দর একটা পুরুষের প্রতি মাইয়ারও...। জন্ম নিছি ফকিন্নি হইয়া। বিয়া-সাদী হইলেও হইবো কোনো ফকীরের সাথে। অমন সুন্দর পুরুষের হাত পামু কোনোদিন? সত্যি কথা, অমন সুন্দর পুরুষ আমি আমার জীবনে দেখি নাই।
নিলয় ভাইয়ের চাইতেও সুন্দর?
ধুর নিলয় ভাই! নিলয় ভাই তার কাছে ত্যাজপাতা। নিলয় ভাইরে আমার কাছে গাঁওয়া গাঁওয়া লাগে-একটা খ্যাত।
এ্যাই, তুই কী বললি এসব? এসব কী বললি? শয়তানী! ফাজিল-বদমাশ! তুই নিলয় ভাইকে গাঁওয়া বললি। খ্যাত বললি। যা, তুই আমার সামনে থেকে এখনই বের হয়ে যা। আমি আর এক মুহূর্ত তোকে সহ্য করতে পারছি না। যা বলছি!
ওমা! রাগেন ক্যান? আমার যা মনে হইছে তাই কইছি। আপনের কাছে নিলয় ভাই রাজপুত্তুর হইলে তাই। যার চোখে যা। লাইলীর রূপ-সুরাত নাকি ভাল ছিল না, মজনু তো তার জন্যিই পাগল হইছিল।
তুই লাইলী-মজনু জানিস কিভাবে?
শুনছি, লাইলী-মজনুর পালা শুনছি গেরামে।
চুপ! চুপ! তুই আর একটা কথা বলবি না। গেট লস্ট!
তারপর থেকে নিলয় প্রতি মাসেই তাদের বাসায় বেড়াতে আসে। দু’/তিন দিন থাকে। দু’জন বাইরে ঘুরে। শপিং করে। খায়।
সেও বাবা-মাকে বলে দুইবার গ্রামে খালার বাড়ি বেড়িয়ে এসেছে। যে দুইদিন সে খালার বাড়িতে থেকেছে সে দুইদিন ছিল অপার আনন্দের। রিস্কি বাইক ড্রাইভারের পেছনে সারাদিন কেটে গেছে। সত্যিই অসম্ভব রিস্কি ড্রাইভার। মেয়েরা যেমন একদিকে পা দিয়ে বসে, তার বাইকে সেভাবে বসা কঠিন। নিলয় বলল, আমি এত স্পীডে চালাই যে, এক দিকে পা দিয়ে বসলে পড়ে যেতে পারো। ছেলেদের মতো দুই দিকে পা দিয়া বসো।
সে ছেলেদের মতো দুই দিকে পা দিয়া বসলো। তারপর সে দুই হাতে জাপটে ধরল নিলয়কে। নিলয় বলল, আরো জোরে ধরো-আরো জোরে, বাতাসের তোড়ে পড়ে যেতে পারো।
সে আরও জোরে ধরল। তার বুক লেপটে থাকে নিলয়ের পিঠে। মফস্বলের মানুষ এভাবে কোনো মেয়েকে বাইকে বসতে দেখেনি খুব একটা। তারা বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকে। সে বিস্ময়ে কিছু যায়-আসে না তাদের। নিলয় বলে-ড্যাম্প কেয়ার!
৬.
এত সুন্দর করে যে মানুষ কথা বলতে পারে তা তার কল্পনায় ছিল না। অন্য দিকে তাকিয়ে শুধু কথা শুনলে মনে হয় এফ.এম রেডিও শুনছে। না, এফ.এম রেডিওর কথা বন্ধুদের চাইতেও সুন্দর তার কথা। এফ.এম রেডিওতে কথাবন্ধুরা বাংলা-ইংরেজি মিলিয়ে বাংলিশ বলে। অনেকটা জগাখিচুরি টাইপ। তাদের বাংলার মধ্যে কিছুটা ঢং মেশানো থাকে। কিন্তু তার কথা সেরকম নয়। যখন ইংরেজি বলে পুরো একটা লাইনই বলে। আর বাংলা বললে, শুধু বাংলাই বলে। বাংলাটা খুবই সুন্দর। সেখানে কোনো ঢং-ফং নেই।
শুধু কি কথা? এত সুন্দর করে প্যান্ট-শার্ট পরতে সে খুব কম লোককেই দেখেছে। কালো প্যান্ট। সাদা স্ট্রাইপের শার্ট। সাথে পাম্প স্যু। স্যুটা কি প্রতিদিনই কালি করে? নাকি প্রতিদিনই একেকটা নতুন স্যু পড়ে আসে? চুলগুলো কি সুন্দর! দুই কানে অর্ধেকটা ঢেকে রেখেছে। বাম দিকে সিঁথি করা। ছোট ছোট ঢেউ তুলে চুলগুলো বাম দিক থেকে নেমে এসেছে ডান দিকে। কপালের কাছে এসে এক গুচ্ছ চুল ঢেউ থেকে আলাদা হয়ে গেছে। সে যখন টেবিলে ঝুঁকে পড়ে কিছু লিখে বা ছেলেমেয়েদের খাতা চেক করে, তখন সেই ঢেউ বিচ্ছিন্ন চুলগুচ্ছ তার চোখ ঢেকে দেয়। সে বার বার বাম হাতে চুলগুচ্ছকে সরিয়ে দেয়। তখন কি যে ভাল লাগে! সে যখন ছোট ছোট পদক্ষেপে স্টেজে হাঁটে আর পড়া বোঝায় তখন আরও ভাল লাগে।
টেস্ট পরীক্ষার আগে সে মডেল টেস্ট দেবার জন্য যে কোচিং সেন্টারে ভর্তি হলো সেই কোচিং সেন্টারের ইংরেজি শিক্ষক সম্পর্কে তার এরকম ভাল লাগার অনুভূতি। শিক্ষকের নাম তূর্য। তূর্য রহমান। তারা ডাকে তূর্য স্যার। তার নামটাও তার কাছে এক্সট্রা মনে হল। তূর্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
এই কোচিং-এ ভর্তি হবার পর থেকেই তার কি যেন হয়েছে। তূর্য ক্লাশ নিতে এলেই সে নিলয়ের সাথে তাকে মেলাতে থাকে। দু’জনের হাঁটা-চলা, কথা-বার্তা, পোশাক-আশাক, শিক্ষা-দীক্ষা, দু’জনের ভূত-ভবিষ্যত সব তুলনা করতে থাকে। আর প্রতিযোগিতায় সব কিছুতেই পেছনে পড়ে যায় নিলয়।
গায়ের রঙ ফর্সা, গোলগাল চেহারা হলেও নিলয়ের চেহারায় তূর্যের চেহারায় মতো অতোটা মাধুর্য, অতোটা রোমান্টিকতা খুঁজে পায় না সে। আর ভাষার দিকে তো একেবারেই মাধুর্যহীন। পরবা, ধরবা, করবা, যাইবা এরকম গেঁয়ো টানে নিলয় কথা বলে। কন্ঠটাও কেমন গেঁয়ো মার্কা। আর পোশাকটা সবচেয়ে বাজে। শরীরের সাথে লেগে থাকে জিন্সের প্যান্ট। টি-শার্টের রঙ আর ডিজাইনের যা ছিরি! আর পায়ে উচু কেডস। এরকম পোশাক ঢাকায় গুন্ডা ছেলেরা পরে।
তূর্যকে মনে হয় অফিসার, অথবা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর। আর লেখাপড়াতে তো নিলয় তূর্যের ধারে-কাছেও না। ক্লাশে পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে তূর্য নিজের সম্পর্কে কিছু বলে। তার এইম ইন লাইফ, তার হবি ইত্যাদি সম্পর্কে। অনার্স কমপ্লিট করেই সে অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে বিসিএস দেবে। বিসিএস-এ বসলেই তার হয়ে যাবে। ক্লাশের সবাই-ই বোঝে, তার না হবার কোনো কারণ নেই। অমন ব্রিলিয়ান্ট! সে নাকি একটা মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়েই পরীক্ষা দিয়েছিল। রেজাল্ট হলে দেখা গেল তার মেধা স্কোর সবার উপরে। বিসিএস হয়ে গেলে সে ম্যাজিস্ট্রেট। তারপর মাস্টার্স করে নেবে। সুযোগ বুঝে ডক্টরেটও করবে। শেষ পর্যন্ত সে যে সচিব হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
নিলয়ের সাথে তুলনা করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল-ছে অস্ট্রেলিয়া! ওখানে গিয়ে নিলয় ভাই কি করবে? বড় জোর রেস্টুরেন্টে মুরগি কাটবে। এর বেশি কিছু তো নয়? আর তূর্য স্যার ইচ্ছে করলেই ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ঘুরতে যাবেন। আর সরকারি সফর-টফর তো থাকবেই।
তূর্যের হবি গান গাওয়া। বিশ্বাবিদ্যালয়ের কালচারাল একাডেমীর সংগীত বিভাগের সদস্য সে। একদিন ক্লাশে সবাইকে গান গেয়ে শুনিয়েছিল। মহান শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান-এতদিন পরে তুমি গভীর আঁধার রাতে/মোর দ্বারে আজ এলে বন্ধু/ঠিকানা কোথায় পেলে বন্ধু।
কি মধুমাখা কন্ঠ! গান শোনার সময় তার শরীরের রোমগুলো খাড়া হয়ে গিয়েছিল। মনে অদ্ভূত এক ভাল লাগার শিহরন। এমন মধুমাখা কন্ঠের গান সে আর কখনোই শোনেনি যেন। সে মনে মনে ভাবল-তূর্য স্যার ইচ্ছে করলেই দেশ বিখ্যাত শিল্পী হয়ে যেতে পারেন।
একদিন সে কবিতাও শোনাল। কবিতার নাম-কেউ কথা রাখেনি। কবির নাম-সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। এই কবির নাম সে সেই প্রথম শুনল। অবশ্য আবৃত্তিও সে সেই প্রথমই শুনল।
এর আগে সে কোনো আবৃত্তি শোনেনি। কারও কন্ঠেই না। টিভি-রেডিওতেও না। আবৃত্তি বলতে সে বুঝত বোরিং একটা বিষয়। ছোট বেলায় বাবা তাকে আবৃত্তি শিখিয়েছিলেন-ঐ দেখা যায় তাল গাছ/ ঐ আমাদের গাঁ/ঐ খানেতে বাস করে কানা বগীর ছা। হাত-পা নেড়ে, এটা-ওটা দেখিয়ে আবৃত্তি করতো। আবৃত্তি বলতে সে এমনটাই বুঝতো। তূর্যের আবৃত্তি শোনার পর সে বুঝল, আবৃত্তি অন্যরকম একটা বিষয়। গানের চেয়ে কম ভাল লাগার নয়। কি সুন্দর প্রতিটা শব্দ! ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়েছি/দূরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড়/ বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮ টা নীল পদ্ম/তবু কথা রাখেনি বরুনা/সে এখন যে কোনো নারী/ তার বুকে এখন শুধুই মাংসের গন্ধ।
তার মনে প্রশ্ন জেগেছে-আচ্ছা, বরুনা কথা রাখলো না কেন? মানুষকে কষ্ট দেয়া কি ঠিক? যে বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে ১০৮টা নীল পদ্ম নিয়ে এল.......।
তার মনে হয়, তূর্য স্যারকে যদি প্রশ্নগুলো করতে পারতো! তাহলে খুব সুন্দর উত্তর পাওয়া যেত। কিন্তু তা কি আর সম্ভব? সে মনের প্রশ্ন গোপন রেখে বলে-স্যার চধংঃ রহফবভরহরঃব ঃবহংব টা কি একটু ভাল করে বুঝিয়ে দেবেন?
তূর্য স্যার ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি টেনে বলে, হ্যাঁ দিচ্ছি, মন দিয়ে শোনো।
কি সুন্দর তার হাসি! তূর্য স্যার ার চধংঃ রহফবভরহরঃব ঃবহংব বুঝিয়ে দেয়, কিন্তু তার মন দিয়ে শোনা হয় না।
তূর্যতে সে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ল। নিলয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার আগ্রহ কম। তারপরও নিলয়কে সে ফোন করে। আর নিলয় তো করেই। মজার অথবা অদ্ভূত ব্যাপার হল, নিলয়ের সাথে কথা বলার সময় সে প্রায়ই কল্পনা করে যে, সে তূর্যের সাথে কথা বলছে। আর এরকম কল্পনা যখন মাথায় এসে যায় তখন সে নিলয়ের কথার পৃষ্ঠে উপযুক্ত কথাটা বলতে পারে না। তখন কেমন বেখেয়ালি হয়ে যায়। তখন হু, হ্যাঁ বলে কাটাতে চায়। নিলয় একবার রেগে উঠে বলে, আমি তোমাকে বলছি-পড়ালেখা কেমন চলছে, আর তুমি বলছো-হু। মাথা খারাপ হয়ে গেল, না কানে কম শুনতে শুরু করলা ?
আরেক দিন সে বলে উঠে, জি স্যার, জি স্যার।
আর অমনি নিলয় রেগে উঠল, জি স্যার কী? আমাকে তুমি স্যার বলছো কেন? ও বুঝেছি, পরীক্ষা ঘনিয়ে আসছে। এখন স্যারদের সান্নিধ্যে বেশি থাকা হয়। স্যারদের সান্নিধ্যে থাকো ভাল, আবার কোচিং সেন্টারের স্যারদের সান্নিধ্যে চলে যেও না। তাহলে লেখাপড়া শ্যাষ। কোচিং সেন্টারগুলো হল প্রেমের আখড়া। আমাদের মফস্বল টাউনগুলোতেই যা দেখছি, আর ঢাকা শহরে তো......। কোচিং সেন্টারে সেকেন্ড ইয়ার, থার্ড ইয়ারের পোলাপান পড়াতে যায় মানে প্রেম করতে যায়। সেখানে সুন্দর সুন্দর ছাত্রীদের সামনে তারা নিজেদেরকে এমনভাবে প্রকাশ করতে থাকে যেন কোনোদিক দিয়েই তাদের সমকক্ষ কোনো ছেলে হতে পারে না।
বাজে কথা বলবেন না প্লিজ। সবাই একরকম না।
তুমি কি কোনো কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছো?
ওমা! মডেল টেস্ট দেব না? বাসায় একা একা মডেল টেস্ট দেয়া যায়?
তোমরা মডেল টেস্ট দিবা, আর সেকেন্ড ইয়ার, থার্ড ইয়ারের ছেলেগুলা তোমাদের সামনে দিবে স্মার্টনেসের টেস্ট, যোগ্যতার টেস্ট। সেখান থেকে বাছাই চলবে......।
আবার একই কথা! আমাদের এখানে ওসব নেই। সামনে পরীক্ষা, লেখাপড়া করে কূল পাই না।
তাহলে স্যার স্যার করছো কেন? দশ বছর ধরে লেখাপড়া করছো কোনোদিন তো বেখেয়ালে স্যার স্যার করে উঠলা না। আর কোচিং সেন্টারে যেতে না যেতেই.......।
ধ্যাৎ! আপনার শুধুই উল্টাপাল্টা কথা।
[চলবে...]