আবার লাগাও যুদ্ধ
হামীম রায়হান
যুদ্ধে যাওয়ার যে গান রচেছিলো কবি,
সে সুরে লেগেছে ঘুণ,
যৌবনের উত্তাল সমুদ্রে আজ চরিত্রের
নৌকায় লাগে আগুন।
পোকায় খেয়েছে সততার ফল,
নরম মাংসের লোভে জিহ্বায় জল।
মানব গড়ার পথ ছেড়ে যৌবন আজ
অন্ধকারের পথ ধরে হাঁটে,
আবার লাগাও যুদ্ধ, যৌবন যেন
লাগে জীবন গড়া হাটে!
আবার লাগাও যুদ্ধ জীবনের তরে,
ফিরে আসুক শুদ্ধতা, যৌবনের ঘরে।
হেমন্তে হারাবার প্রত্যাশা
রাশেদ বিন শফিক
বিহানের হিম শীত গায়ে মেখে,
শিশিরে স্নান করা শ্যামলের বুকে;
হাতে রেখে হাত চলবো নগ্ন পায়ে।
পাখিদের ডাকাডাকি সুর আর
আমন ধানের ঘ্রাণে বিভোর হয়ে,
সঞ্চিত কথা সব বলে হবে চলা;
যেখানে ঊর্মি উঠে সোনা রোদ নিয়ে।
মনে করে একটি ফুল খোঁপাতে দিও,
নীল চাদরটাও গায়ে জড়িয়ে নিও,
আমার দেওয়া সে নুপুরটিও-
পায়ে দিতে ভুল না করে;
এসো প্রিয় হারিয়ে যাই হেমন্তি রূপে।
বাক্সপর্ব
সোমনাথ বেনিয়া
গুছিয়ে রাখছো, মুখ থুবড়ে পড়ছে বিষয় ভর্তি
নিজের রং ভুলে প্রভৃতির রং ধরছে জঠরে
অগোছালো কিংবা নির্ভেজাল সাজানো প্রতিরূপ
মোহময় হাসি পছন্দের অথবা বিরূপ মন্তব্য
মনে রাখবে নেই বলে ঋজু উচ্চতায় অবিচল
গোপন কুটিরে কাঞ্চন হারানোর ভয় সাবধানী
গৃহিণী জানে ভরসার সংজ্ঞা আঁচলের চাবি
শরীরের বিভিন্ন স্তরে জমিয়ে রাখা আপ্যায়ণ
খুলে দিলে মোহিত গন্ধ অনেক বছর আবদারে
প্রয়োজন ফুরালে স্ক্রাপ ভ্যালু সংস্কারে আসে
নতুন জায়গা ঝাঁটার মুখে পরিচ্ছন্ন ইতিহাস
প্রস্থান
রাহাত রাব্বানী
তুমি চলে গেলে-
কবিতারা শিখে নিলো আত্মহত্যার সূক্ষ্ম নিয়ম
খসে গেলো আমাদের প্রিয় নক্ষত্ররাজি
পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘ ভুলে গেলো শরত বন্দনা।
তুমি চলে গেলে-
বেহুঁশ প্রেমিক ভুলে গেলো দ্রুততা।
যানজট মুক্ত হলো আবেগের শহর।
তুমি চলে গেলে-
বেড়ে গেলো সূর্যের পরমায়ু।
তুমি চলে গেলে; তোমার চলে যাওয়ার পর-
এ পৃথিবীর সব ‘চলে যাওয়া’ থেমে গেলো।
দূরত্ব জানে কতোটা নিকটে এসেছিলাম।
ভবে নাহি সৎ-বাবা
শাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া জয়
শ্রেষ্ঠ সুখ নিতে গিয়ে স্পর্শ করেছো
কোমলময়ী নারী,
যে সুখ নিতে ছাড়িয়াছো
গঞ্জ-শহর কিংবা বাড়ি।
একফোঁটা নাপাকীয় জলে
ভবে এনেছো শিশু নবজাতক,
সুখ কিনতে গিয়ে জন্ম দিলে
তবে এখন কেনো পলাতক।
স্বর্গসুখ নিতে খুঁজেছ ঝিকিমিকি আলো
খুঁজেছ গভীর অন্ধকার,
নবজাতকের চিৎকার শুনেনি কেহ
নবজাতক শিশুটি কাহার।
বড্ড মানুষ আজব সমাজে
অনেকের আছেএ স্বভাব,
নবজাতকের ভার নিবে কে?
এমন সৎ-বাবা খুবি অভাব।