শব্দমালা
মোহাম্মদ ইমাম হোসেন
ওহে প্রেমিক! রজনী যে তোমার যায় যে বয়ে!
ওহে প্রেমিক, বসন্তের রাত্রি বয়ে যাই,
মনের মাঝে মধুরাত্রের দোল খেলে যায়
তুমি আছো দীর্ঘ চিন্তামগ্ন হয়ে,
ঐদিকে তোমার লগ্ন বয়ে যাই,
দীর্ঘশ্বাসে তোমার অতিত ভুলে
তোমার অপ্রস্ফুটিত ভাষণা গুলোকে
অবকুন্ঠিত কুন্ঠিত জীবনে হেলা কর না,
জীবনকে সদ্য ফুটন্ত লাল গোলাপের মত না ফুটিয়ে তুলে
এই মূল্যমান রজনীকে চলে যেতে দিও না।
ওহে প্রেমিক! রজনী তোমার যায় যে বয়ে,
কোথায় তুমি? কি ভাবছো?
এখনি তোমার প্রশান্তির পথ খোজে নাও,
নিরব নিঃস্তব্দ কোলাহলহীন রজনীতে
কত শত বেদনা বিধুর অতিত মনে হবে
সবকিছু ভুলে এই রজনীকে শুধু তোমার করে নাও,।
আমায় ভালোবেসো..
আমি তোমার কাছে সর্বক্ষণ সুখ চাই না
মাঝে মাঝে কষ্ট দিও,
গভির সঙ্কট পূর্ণ মুহুর্তে যখন কষ্ট গ্রাস করবে
তখন আমায় আপন করে নিও।
যখন তোমায় নিয়ে বুক ভরা আশা নিয়ে সপ্ন দেখি,
তখন তুমি আমার হবে বলে আশা দিও,
শত জনম সে আশায় আশায় অপেক্ষা করব,
ইচ্ছে হলে ভালোবেসে হাত বাড়িয়ে দিও।
ভালোবাসায় শুধু সুখ আমি চাই না,কষ্টের অনলে পুড়ে,
নিজের ভালোবাসাকে খাঁটি করে,
আমার হৃদয় মাঝে আপন নীড়ে,
তোমায় পেতে চাই আপন করে।
তোমার নিষ্পাপ মনের ইচ্ছে মত আমায় ভালোবেসে আপন করে নিও,
ভালোবেসে তোমার দুটি হাত বাড়িয়ে দিও।
যে কবিতা বুঝে না
যে কবিতা বুঝে না, সে ভালোবাসা বুঝে না,
যে কবিতা বুঝে না, সে প্রেম বুঝে না,
যে কবিতা বুঝে না, সে নিষ্ঠুর
যে কবিতা বুঝে না, সে অবুঝ।
যে কবিতা বুঝে না, সে কারো মন বুঝে না
যে কবিতা বুঝে না, সে কারো দূঃখ বুঝে না
যে কবিতা বুঝে না, সে আনন্দহীন
যে কবিতা বুঝে না, সে বে-রসিক।
যে কবিতা বুঝে না, সে মানুষের নিরব ভাষা বুঝে না,
যে কবিতা বুঝে না, সে চোখের ভাষা বুঝে না,
যে কবিতা বুঝে না, সে অনূভুতিহীন
যে কবিতা বুঝে না, সে উপলব্ধিহীন।
যে উপলব্ধহীন সে প্রকৃত ভালোবাসা বুঝে না,
আর যে ভালোবাসা বুঝে না, সে মনুষ্যত্বহীন পাষাণ।
মিথ্যা আশ্বাস
বলছো তুমি, তোমায় ছাড়া
থাকব কেমনে বল,?
মিশে গেছ হৃদয় মাঝে
মন যে কেমন হল।
বলছো তুমি, তোমায় আমি
অনেক ভালোবাসি,
তুমি ছাড়া মুছে যাবে
আমার সকল হাসি ।
বলছো আরো, আমাকে খুব
ভালোবাস তুমি,
আমায় ছাড়া শূণ্য তোমার
হৃদয় মরুভূমি ।
এতকিছু বলেও এখন
আছো সুখে বেশ,
এগুলো না বলেও এখন
আমার জীবন শেষ।
গন্তাসী মানেই ধর্মহীন
মানুষের মাঝে কিসের এত হিংসা
কিসের এতো বিবেদ,
কিসের এতো খুন-খারাপি
কিসের এতো বেদাবেদ।
কিসের জন্য নিরিহ মানুষ
একের পর এক হয় লাঞ্চিত,
কিসের জন্য প্রতিটা মানুষ
নিজেদের অধিকার হতে বঞ্চিত।
কিসের জন্য এতো খুনাখুনি
চতুর্দিকে বেয়ে চলে মানুষের রক্ত
সৃষ্টি সেরা জীব মানুষের মন
পাষাণের মত হয়েছে শক্ত।
কিসের জন্য মসজিদ, মন্দির গীর্জা
উপাসনালয়গুলো আজ নিরাপত্তাহীন
সন্ত্রাসী কোন ধর্মে তুমি,কোন বর্ণে
আসলেই সন্ত্রাসী তুমি ধর্মহীন,বর্ণহীন।
নাই কোনো ধর্ম, আর নাই কোনো বর্ণ
নাই তোমার দেয়ার মত কোনো পরিচয়
তুমি সন্ত্রাসী, তুমি নির্বোধ, তুমি পাষাণ
তুমি কি জানো ? একদিন তোমার হবে ক্ষয়।
সে তুমি নন্দিনী
নন্দিনী
লক্ষ মানুষের ভিড়ে যে ছবিটা ভেসে উঠে
সে হলে তুমি,
হাজার ব্যস্ততায় যে মানুষটির কথা মনে পড়ে সে হলে তুমি
প্রতিটা মূহুর্তে যাকে আমি মিস করি সে হলে তুমি,
বিষন্ন মনে যাকে মনে পড়লে মন ভালো হয়ে যায় সে হলে তুমি,
বুকে হাজার কষ্ট নিয়েও যার কথা স্মরণ হলে আমি আনন্দিত হয়ে যায়
সে হলে তুমি,
রোজ রাতে যে আমার সপ্নে বিরাজ করে সে হলে তুমি
যার কথায় আমার মন ছোঁয়ে যায় সে হলে তুমি,
নন্দিনী,
তুমি আমার প্রতিটা মূহুর্তের ভাবনা
তুম মিশে আছো আমার হৃদয়ের প্রতিটি রক্তের কণায় কণায়
আজ তোমাকে ছাড়া আমি আমাকে কল্পণা করতে পারি না
আমি আমাকে তোমার মাঝে খোঁজে পায়,
শত জন্মের সপ্ন তুমি, তুমি আমার সুখ
তোমায় পেলে মুচে যাবে যত আছে দুঃখ।