রক্তরে ক্যানভাসে র্পূণতার শউিলি
তামীম আল আদনান
ছটিফেোঁটা আলোকছটায় উজ্জ্বল সন্ধ্যারাগ, যনে বধিাতার নপিুণ হাতরে কারুকাজ। উঠোন জুড়ে লপ্টেে আছে গাঢ় নীরবতা। জামগাছ তলায় সন্ধ্যার বঠৈক বসছে।ে দুধ-সাদা দাঁড়ওিয়ালা একজন বৃদ্ধরে দকিে অপলক চয়েে আছে একটা নষ্পিাপ শশিুদল। তাদরে চোখভরা উত্তজেনা। বৃদ্ধ নরিবে বলে যাচ্ছনে একটা ত্যাগরে গল্প। রক্তরে গল্প। হারানোর গল্প। বজিয়রে গল্প। শশিুদল মনোযোগী ছাত্রদরে মতন বৃদ্ধরে কথা শুনছ।ে খানকি থমেে তনিি আবার বলতে শুরু করনে- ‘একদনি সকালে ঘুম থকেে উঠে দখেি আব্বাজান বাড়তিে নাই। উঠোনে জড়সড় হয়ে পড়ে আছে আম্মাজান। আমি দৌড়য়িে আম্মাজানরে কাছে যাই। আম্মাজান আমারে বুকরে সাথে জাপ্টাইয়া ধইরা কয়- বাজান! তোমার আব্বারে মলিটিাররিা নয়িা গছে।ে আমওি আর বশেক্ষিণ এই দুনয়িায় থাকতে পারবো না। যাওয়ার আগে একটা কথা বইলা যাই তোমার।ে কথাটা মনে রাখবা- তোমার আব্বাজানরে মতন অনকে মানুষরইে মলিটিাররিা ধইরা নয়িা গছে।ে তারা আর কখনও ফরিে আসবে না। কন্তিু তুমি এখন থকেে যতদনি দশে স্বাধীন না হবে ততোদনি র্পযন্ত জীবনরে মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধে শরকি হবা। আর কারও বাবারে যনে মলিটিাররিা ধরে নতিে না পার।ে আর কোনও ছলেে যনেো তোমার মতন মা হারা না হয়। এটাই এখন তোমার জীবনরে একমাত্র উদ্দশ্যে। তারপর আম্মাজান আমারে আরো একবার বুকরে সাথে জাপ্টাই ধর।’
বৃদ্ধরে দুধ-সাদা দাঁড়ি ধুয়ে পড়ছে চোখরে জল। চোখরে জলে চাঁদরে আলোর প্রতবিম্বি হয়। সদেকিে অপলক চয়েে আছে শশিুদল। সন্ধ্যার উঠোন পড়েয়িে প্রকৃতি এখন রাতরে পোশাকে আবৃত হচ্ছ।ে বালকিার চোখে দওেয়া কাজলরে মতন অন্ধকার রাত্রি নমেে আস।ে সইে রাত্রতিে জ্যোৎস্নার পয়োলা উল্টয়িে দয়ে উজ্জ্বল শশী। চোখমেুখে জ্যোৎস্নার আলো মখেে বৃদ্ধ আবার বলতে শুরু করনে- ‘তারপর টানা নয় মাস যুদ্ধ হয়। মা-বাবা হারনোর তীব্র শোক আর প্রতশিোধরে অনল বুকে জ্বালয়িে অপক্ষো করছলিাম একটা সোনালী ভোররে। তারপর সত্যি সত্যি সইে দনি আস।ে ১৬ই ডসিম্বেররে কুসুমতি র্সূযরে সাথে ভসেে আসে বজিয়রে স্লোগান। পতাকা হাতে ফরিে এসে দখেি কোথাও কছিু নইে। আব্বা আম্মার কবরে ঘাস জন্মছে।ে আমি তাদরে কবররে পাশে দাড়য়িে চৎিকার করে গয়েে উঠ—ি জয় বাংলা, বাংলারই জয়।’
জামগাছ তলায় গাঢ় হয়ছেে অন্ধকার। বাতাসে ভসেে আসছে একটা সুর- জয় বাংলা, বাংলারই জয়। অন্তরক্ষিরে বুকে হাসছে উজ্জ্বল শশী। হাসছে বৃদ্ধ। নষ্পিাপ শশিুদলরে চোখ বয়েে বয়েে পড়ছে মায়ার শশিরি।