শব্দমিছিল
নাঈম হোসেন লেনিল
কবিতা হলো স্মরণীয় স্পীচ
আসলে কবিতা কি? ইংরেজ কবি অডেন বলেছেন, ‘মেমোরাবল স্পীচ’ হল কবিতা। আমাদের রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ যা মেনে নেননি। তিনি বলেছেন ‘স্মরণীয় স্পীচ’ মাত্রই কবিতা নয়। তার মতে ‘স্মরণীয় স্পীচ’ শুধু কবিতা হতে পারে না কেননা তখন যেকোন ‘স্মরণীয় স্পীচ’ কবিতা হবে যা হাস্যকর হবে। আর অন্যদিকে ‘অস্মরণীয় স্পীচ’ কোথায় যাবে? জীবনানন্দ দাশের মতে, কবি হবে সমাজবাদী কাব্যচেতনাময়ী। কবিতা হবে ইতিহাসচেতনা, স্বপ্ন ও কল্পনার মহাসাগর। আমার মতে কবিতা হল, লুকায়িত এক আলোকিত জ্ঞান। ছন্দ সম্পন্ন, অথবা ছন্দহীন কিন্তু অলংকার ও উপমা অত্যাবশ্যক এবং স্বপ্ন নিমজ্জিত কল্পনাবদ্ধ অথবা বাস্তববাদী সুললিত পঙ্ক্তিমালার একগুচ্ছ দল বা চরণ যখন কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে স্পষ্ট অস্পষ্ট ধারণা ব্যক্ত করে যেকোন আঙ্গিকে তখন তাকে কবিতা বলে। কবিতার পাঠক ক্রমে ক্রমে কমে যাচ্ছে এটা ঠিক নয়, জীবনানন্দ দাশ যখন কবিতা লিখেছিলেন তখন তিনিও কবিতা পাঠক শূন্যতায় ভুগেছেন তারপরও তিনি কবিতা রচনা করে গেছেন, বলাই বাহুল্য- তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর এত পাঠক হয় যা জীবিত অবস্থায় ছিল না।তাই পাঠক না থাকলেও কবিতা লিখতে হবে। কবিতা ছাপানোর বিষয়ে অনেকেই মনে করেন যে, সম্পাদকরা পরিচিতজনদের লেখা ছাপেন। আমিও এ বিষয়ে একমত আবার দ্বিমতও কেননা অনেক সম্পাদক আছেন যারা কবিতার মানের উপর কবিতা ছাপেন তবে এরকম সম্পাদকের সংখ্যা খুবই কম। মানসম্মত কবিতা পত্রিকায় পাঠানোর পর কবিতা ছাপা না হলে একটু বেশী খারাপ লাগে, কেননা এক একটা কবিতা লেখার পিছনে এক একটা কষ্ট থাকে। কবিতা ছাপা হোক আর না হোক তাতেও কবিতা লেখা বাদ দেওয়া যাবে না। কবিতার বিষয় নিয়ে অনেকে অনেক মন্তব্য করেন তবে আমার মতে, বিষয় যাই হোক তাতে রস থাকতে হবে। আবার অনেকেই মনে করেন সমকালীন কবিতাই কবিতা যা একদমই ভুল। কবিতার বিষয় সমকালীন হলো আর না হলো সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা কবিতার রস কতটুকু।
কবি ও অকবিঃ
আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলেছেন, ‘যার কল্পনা শক্তি যতই বেশী সে তত শক্তিশালী, ধী শক্তি কল্পনা শক্তির কাছে কিছুই না’। সবাই যে কবিতা লিখতে পারলেও কবি হবে তা না। একজন ব্যক্তিকে যদি বলেন, তুমি কেন কবিতা লিখতে চাও? সে যদি উত্তরে বলে, আমি কবিতা লিখতে চাই কেননা আমার কিছু বলার আছে তাহলে সেই ব্যক্তি আর যাইহোক, অডেনের মতে, কবি হওয়ার আশা করতেই পারেন না। আবার সে যদি বলে, আমি কবিতা লিখি কেননা আমি শব্দের চারধারে থাকতে চাই, শুনতে চাই পরস্পর তারা কি বলে। এক্ষেত্রে অডেন বলেন, অন্তত এটুকু বলা যাবে যে, কাব্যকলা ও মৌলিক বিষয়ে তার আগ্রহ আছে এবং কবি হওয়ার আশা সে করতে পারে। আবার, কবি রবার্ট ফ্রস্টের মতে একজন কবিকে অবশ্যই কাব্যকলা ও কবিতার আঙ্গিকতার চিত্রে অবশ্যই কাব্যপ্রক্রিয়া সুযতেœ সন্তানের মত মমতা আদর দিয়ে লালন পালন করতে হবে। বীরেন মুখার্জীর মতে, কবি সর্বপ্রথম একজন সাধারণ মানুষ এবং সাধারণ সমাজেই তার বসবাস চিন্তার গভীরতা ও দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্যের কারণে কবি হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ থেকে পৃথক। ভাষায় প্রকরণে প্রকাশশৈলীতে কবিমাত্রই স্বতন্ত্রস্বরের অধিকারী কণ্ঠস্বান্ত্রই কবি থেকে কবিকে স্বতন্ত্র কবির মর্যাদায় অভিষিক্ত করে। হেলাল হাফিজের মতে, একজন স্বতন্ত্র কণ্ঠের কবি হলো সবার থেকে আলাদা কন্ঠস্বরের স্রষ্ঠা। আমার মতে, কবি তো তারাই যারা গভীরতম কল্পনায় মগ্ন হয়ে এবং শব্দ চয়নে দিকটা ঠিক রেখে কাব্যের সকল নিয়ম মেনে কবিতা রচনা করেন, আর যারা একক আঙ্গিকে শক্তিশালী অলংকার ও উপমার সমন্বয়ে কবিতা রচনা কেন তারা হলেন স্বতন্ত্র এবং শ্রেষ্ঠ কবি। আর অকবি এর উল্টা দিকটা। এখন এই অকবির জন্যই আজকাল পাঠকরা কবিতা এরিয়ে যেতে শুরু করেছে এবং এই অকবির কারণে পাঠকরা প্রকৃত কবিকে চিনতে পারছেন না। এখন কবিতা কারা লিখবে? জীবনানন্দ দাশ ‘কবিতার কথা’ প্রবন্ধে লিখেছেন, শুধুমাত্র কবিতা তারাই লিখবে যাদের হৃদয়ে কল্পনা ও ভিতরের চিন্তা ও অভিজ্ঞতার সারবক্তা রয়েছে। কবির চেয়ে কাকের সংখ্যা বেশী, অনেকেই এই কথা বলে কবিতা উড়ে দেন যা মোটেই ঠিক নয়, যারা কবিতা লিখতে চায় লিখুক তবে এই লেখার ক্ষেত্র অনুযায়ী বেশীরভাগই অকবি। সৈয়দ শামসুল হক তাঁর ‘মার্জিনে মন্তব্য’ প্রবন্ধে বলেছেন, কাকের চেয়ে কবির সংখ্যা বেশী এই কথা তারাই বলে যারা কবিতা ভালবাসে না, কবিতা যারা লিখে লিখুক কিন্তু পাঠককে মনে রাখতে হবে যে, কবির থেকে অকবি বেশী প্রকৃত কবির কবিতা পড়তে হবে। আর যারা অকবি তাদের ক্ষেত্রে আমার কথা, অকবি থেকে কবি হতে চাইলে কাব্যের সকল নিয়মকানুন মেনে কবিতা লিখুন কবি হতে পারবেন। আর বড় কথা হচ্ছে, অকবি থেকেই কবি জন্ম নিবে যদি সাহিত্য সাধনায় নিমগ্ন হন। পৃথিবীর প্রথম কবি যার নাম ‘এনহেদুয়ান্না’। তিনি ছিলেন একজন নারী, তিনি আক্কাদের সম্রাট সারগন ও তাঁর স্ত্রী রানি তাশলুলতুমের মেয়ে। তিনি অসম্ভব মেধাবী ছিলেন, তিনি কবিতা ও প্রার্থনাসংগীত লিখতে পারতেন। ২২৮৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ৪২ টি স্তবগান রচনা করেন যা পরবর্তীতে ৩৭টি প্রস্তরখ- থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ২২৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে পৃথিবী থেকে চলে যান।
আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে, ‘তুমি যে কবিতা লেখ তোমার কবিতায় কি কাব্যপ্রক্রিয়া বিদ্যমান’ । আমি বলব, ‘আমি আমার লেখাগুলোতে কাব্যপ্রক্রিয়ার অন্তরায় বাঁধার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করি, প্রথমে উপমা, দ্বিতীয় অলংকার এবং তৃতীয় কবিতার শরীর গঠনের জন্য ছন্দময় করে তুলি, এবং আমি কবিতা এমনভাবে লেখার চেষ্টা করি যেন কবিতার পঙ্ক্তিগুলো একটা একটা করে ভাঙলেও যেন মনে হয় এক একটা পঙ্ক্তি এক একটা অনুভূতিতে হৃদয় ছোঁয় যেন এই এক একটা অনুভূতিই এক একটা কবিতা হয়ে ওঠে।
বিলাপগীতি
আঁধারে তোমার আলোর উদ্ভাসনে উদ্ভাসিত হবো বলে
তৃষ্ণার্ত মন তোমার জলের ফোয়ারায় ভিজাবো বলে
জন্মাবধি আমার দু’চোখের অশ্রুজল ফেলতে ফেলতে
আমি অবিরত তোমার সুশ্রী প্রতিমার তরজমা করি!
অপ্রেম নিষিদ্ধ করে দিয়ে হৃষ্টতার সাথে আলিঙ্গন করে,
এবার তুমি নবীন বঁধু সেজেগুজে প্রস্ফুটন হয়ে আসো
বিগত বছরের সমস্ত অপূর্ণতা ভুলে সঞ্জীবনী হয়ে আসো
এসে ল-ভ- করে দাও ব্যর্থতার বিলাপগীতি।
অভিনব মানুষ করে দাও
প্রিয়তমা তোমাকে বলছি
তোমাকে ছাড়া আমি ভেঙ্গে চুরমার, বিবশ হয়ে যাই
তোমাকে ছাড়া আমি অস্তিত্বহীন, জরাগ্রস্থ হয়ে যাই
তোমাকে ছাড়া আমি অনুজ্জ্বল, বিনাশ হয়ে যাই
তোমাকে ছাড়া আমি চাঞ্চল্যহীন, উদাসীন হয়ে যাই
তেমাকে ছাড়া আমি আত্মহারা, মৃত শব্দ হয়ে যাই!
প্রিয়তমা তোমাকে বলছি
আমার পাঁজরের সমস্ত অস্থি আকুল ব্যাকুল হয়ে
শুধু তোমার প্রার্থনায় নিমগ্ন নিনাদিতো
আমাকে গ্রহণ করো, প্রিয়তমা আমাকে গ্রহণ করো!
ভালোবসে তুমি,
আমার নিষ্প্রাণ আত্মায় উজ্জ্বল প্রাণ ফিরিয়ে দাও
ক্লেশিত জীবন থেকে আমাকে অভিনব মানুষ করে দাও!
তোমাকে হারিয়ে ফেলে
শেষ অব্দি মায়াবতী তোমাকে হারিয়ে ফেলে
আমার বিমল বিশুদ্ধ হৃদয়ের রক্তক্ষরনের বেদনায়
আমার উদ্দীপ্ত মস্তিষ্কের দেয়ালে দেয়ালে
সাদা-কালো বর্ণহীন বিলবোর্ডে ছেপে গ্যাছে
আমি যেন নির্বোধ স্থাবর, নিরর্থক নিসাড় নিশ্চল!
শেষ অব্দি প্রণয়িনী তোমাকে হারিয়ে ফেলে
হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে উদ্দেশ্যহীন পথে
আমি যেন বোমায় বিধ্বস্ত কোনো ধ্বংস স্তুপ
আমি যেন বিচ্ছিন্ন পথে পথভ্রষ্ট কোন পথিক
আমি যেন স্পন্দনহীন কোন বিকল অমানুষ!
অবয়ব
সায়েন্টিফিক আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখছি
আমার নিজস্ব অসহায় অবয়বের প্রতিবিম্ব
যেন অশান্ত, অস্বস্তিতে ঘেরা বিবর্ণময়
দোমড়ানো মোচড়ানো একটা তরুণের প্রতিচ্ছবি
যেন বিদ্বিষ্টের রোদে পুড়ে তামাটে অলিভ রঙা অবয়ব
যেন সমস্ত শিরদাঁড়ায় ত্রস্তের অস্বাভাবিক গুঞ্জন
যেন হৃদপি- অন্ধকার গহ্বর আলোর ছিঁটেফোঁটাও নাই
যেন সমস্ত রগের রক্তে দ্রুতবেগে প্রভাবিত হচ্ছে অসংখ্য বিষ!
দগ্ধ সত্ত্বা
প্রিয়তমা,
আমার নিষ্পাপ সত্ত্বাকে বিঁধেছে নির্দয় নিষ্ঠুর আগুনের বর্শা
আমি যেন পুড়ে ছাই নিমিষে হয়েছি ছেঁড়াখোড়া
প্রিয়তমা,
তোমার সত্ত্বার রোশনাই ছড়িয়ে দাও আমার দগ্ধ সত্ত্বায়
যেন আমার সত্ত্বার সমস্ত জঞ্জালাটে বিলুপ্ত হয়ে যায়!
আর্তনাদের পঙক্তি
এই থুত্থুড়ে, জরাজীর্ণে জর্জরিত যন্ত্রণাটে জীবন ভালোই লাগে না
এই উল্লাসহীন, জ্বালাময়ী অনুত্তম অপকৃষ্ট জীবন ভালোই লাগে না
এই তমসাচ্ছন্ন, দুর্বিষহ বিশ্রী জীবন ভালোই লাগে না!
শোনো ওগো প্রণয়ী,
আমার চোখে অজস্র আর্তনাদের পঙ্ক্তি
একঝুড়ি অভিমান নিয়ে নিস্তব্ধ, স্তব্ধ থেকো না আর,
আমাকে দাও
তোমার রক্তে লালিত তোমারি আপন জ্যোৎস্না
যেন এই জ্যোৎস্নার বিনিময়ে
আবার আমি ফিরে পাই আমুদের প্রফুল্লময় সাদাটে শুভ্র জীবন।
রজনীগন্ধা
রজনীগন্ধার প্রভাময় প্রাণ কারা যেন নিয়ে গেলো
সাদা, শুভ্র উজ্জ্বল ফুল রক্তাক্ত রক্তে ভিজে লাল
ধূসোর ধুলোয় পড়ে আছে নীরস নিষ্প্রাণ রজনীগন্ধা
এই রজনীগন্ধা কোন নিঃস্ব, নিঃসঙ্গ তরুণের প্রেমিকা
জানে না কেউ জানে না,
জানে না ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল
এই রজনীগন্ধার রক্তাক্ত খ- খ- বিদীর্ণ লাশ থেকে
বাতাস চিড়ে ভাসছে অমসৃণ ছুরির আঘাত
আর একুশটি বুলেটের ঘ্রাণ!
তোমার নন্দিত ললাট
ওগো প্রেয়সী,
তুমিহীনা আমার হৃদয়ের ফুলবন যেন বোমাবর্ষণে বিস্ফোরিত হয়ে যায়!
যেন বেদনায় নিতান্ত বিস্বাদ তিক্ত হয়ে যায়
আমার দুচোখ দিয়ে সারাক্ষণ টলটল করে অশ্রু ঝরে যায়!
ওগো প্রেয়সী,
তোমার রুপের অবয়বে পাতায় পাতায় পৃথিবীর সমস্ত আলো নেচে বেড়ায়
সেই আলো ছড়িয়ে দাও আঁধারী, আলোহীন এই আমায়
তোমার প্রেমময় অধরের স্পর্শে মুছে দাও আমার মৃত্যুময় যন্ত্রণা!
যেন ভুলেও না ছোঁয় আমায় ধূলি মলিনতা কিংবা শূন্যতা।
ওগো প্রেয়সী,
তোমার নন্দিত ললাট ছুঁয়ে দাও আমার অতুষ্ট বিষাক্ত ললাটে
যেন হৃদয়ের সমস্ত বিষাক্ততা তোমার ললাটের বিনিময়ে মুছে যায়
তোমার নরম, কোমল দুটি হাত বেঁধে দাও মন্ত্রে প্রেম বন্ধনে আমার ফিকে দুটি হাতে
যেন অন্ততকাল ধরে আমি হেঁটে যেতে পারি দূর দিগন্তে সমস্ত বিপদময় পথে!
ফিরে এসো
কথা ছিলো-
প্রণয়ী হয়ে আলোর প্রদীপ্তি হয়ে আঙ্গুল ছুঁয়ে থাকবে অনন্তকাল!
অথচ, আমার প্রতিটি ব্যর্থ ভোরে, ব্যর্থ দীর্ঘশ্বাসে তুমি নাই!
সমস্ত অতৃপ্তি নিরানন্দ বিমর্ষতা নিশ্চিহ্ন করতে ফের আসবে কি?
তুমি অনুরাগে অভিমান ভুলে গিয়ে প্রণয়ের বোধে ফের আসবে কি?
দু’চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়া জলকণা জড়ো হয়ে ছেপেছে শুধুই তোমার নামের প্রতিটি অক্ষর!
এ জন্মে তুমি তোমার আত্মার কোমল নরম কোলে আমায় করবে কি গ্রহণ?
তুমি কি প্রণয়ের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিবে আমার আত্মার সর্বাঙ্গে?
তুমি কি ফের দীপ্তি হয়ে বিভাতে আমায় উদ্দীপ্ত করবে?
তুমি কি ফের আমায় আত্মিক টানে আত্মিক ভালবাসবে?
আমার আত্মার সর্বাঙ্গে তুমি প্রার্থনায় নিনাদিত হয়ে বয়ে চলছো
ফিরে এসো,
আত্মিক ভালবেসে তৃপ্ত করে দাও এই বিষন্ন আত্মাকে
ফিরে এসো প্রণয়ী তুমি আমার কাছে ফের ফিরে এসো।