শব্দমিছিল
সকাল রয়
বিষপান করার ছলে
আমার সকল ইচ্ছের জলে
তুমি ঢেলে দাও বিষ
আমি হাসিমুখে বিষ করি পান।
অমরত্বের জন্য করি না কোন প্রার্থণা,
সকল অঞ্জলী থাকে জমা।
কান্নাকে ফড়িঙ করে উড়িয়ে দেই
তোমার চলার পথে,
অভিমান জমে থাকে তার ডানায়।
আমার সকল ইচ্ছের জলে—
তোমার ছায়া ভাসে
তুমি হাসো,
পৃথিবী দুলে উঠে
দুলে উঠে কলমীদুল।
মাঝদুপুরে ডুবে যাবার জন্য নদীতে নেমে যাই
তারপর নেমে যাই ইচ্ছের জলে—
তুমি ঢেলে দাও বিষ
আমি হাসি মুখে বিষ পান করি।
তারপর
কদমচাঁদ কহিলো-
হে বন্ধুবর, আমার কাছে নেই শব্দমুগ্ধতা!
তবুও জীব-কল্পনার আকাশে মেঘলাঙ্করণ সৃষ্টি করিতে কলম ধরিয়াছি,
আমার অর্থ-দলবল কিংবা তৈল বৃক্ষ জঙ্গল নেই!
আমি কী তবে সাহিত্য-আকাশে অপার্থিব অর্জুন?
আমি হাসিয়া বলিলাম, বৎস্য,
তুমি এমনিতেও পার্থিব কিছু নও! তথাপি শব্দজঙ্গল ছড়িয়ে
ছাপাখানার পাপ সৃষ্টি হইতে নিবৃত থাকো
তাহার পর..
করমচাঁদ...
ফাগুন আসেনি
তোকে দেখিনা;
কতদিন, হিসাব করা হয়ে উঠবে না কখনো
হতে পারে দিন-মাস বা আরো বেশিক্ষণ
কিংবা হতে পারে এক আধ-বছর,
কিংবা একযুগ কিংবা তারও বেশি।
ভ্রান্তির ক্রান্তি জাল গায়ে আঁকা,
কত হয়েছে ভুল হিসেব করা হয়নি
হতে পারে দু’একটা বা আট-দশটা
কিংবা হতে পারে শতেক কিংবা সহস্র
কিংবা লক্ষাধিক কিংবা তারও বেশি।
ফাগুন আসেনি,
কতদিন পেরোলো বলা মুস্কিল
হতে পারে অষ্টাদশ বয়সে শুরু বা উনিশ-কুড়ি,
কিংবা,দ্বাদশ-ত্রৈয়োদশ বয়সে কিংবা, পঞ্চদশ-অষ্টাদশ
কিংবা, ত্রিশোর্ধ কিংবা, তারও বেশি।
নরম পালক নিয়ে বুকে;আছিস সুখে
শুকতারা হাতে; চন্দ্র কপালে
বিশেষনে আরও কত কি!
যদি নদী হতে চাস কখনো
কাছে ডাকিস;
কুরুক্ষেত্র হবো না।